দু’চোখে ঘুম।। পাতা ভারি হয়ে আসছে।। কিন্তু আমি জানি শুলেই এই ঘুমটা পালিয়ে যাবে, সেই সুদুর অচেনায়।। এখানে আমি যদি আমার জীবনে কাউকে হিংসা করে থাকি , তবে তাদরকেই, যারা বালিশে মাথা দেয়া ২ মিনিটের মাথায়ই নাক ডাকতে শুরু করে।। অর্থাৎ এই জগতে আর নেই।।আমি কেন জানি তেমন হতে পারি না।। তাহলে কি আমি সুখী না?? প্রশ্নটার জবাব পাবো কোথায়??
ফেবু আর ভাইবারে গল্প করে আবারও ফিরে এলাম এখানে।। কিন্তু বড় প্রশ্ন, কি নিয়ে লিখবো?? সমাজের অনাচার না রাজনীতির ভন্ডামী?? না শাসকদের কুটনামী ?? না বিরোধী দলের পঙ্গুতা।। সব কিছুই নিয়ে কেউ না লিখছে বা লিখে চলেছে।। তাহলে?? আসলে নিশীরাতের এই সময়টাতে লেখার কিছুই পাচ্ছি না।। দেশে থাকলে কিছু একটা ইস্যু বিরোধী দল না পেলেও আমার মত খুতখুতে স্বভাবের লোক অবশ্যই খুজে পেতো।।
আজ আমরা সরকারের চোদ্দগোষ্টি উদ্ধার করছি, আমাদের চাহিদা পূরন না করাতে।। কিন্তু একবারও ভেবে দেখি নি বা দেখতে চাই না, আজ তথাকথিত বিরোধী বলে আমরা যারা আছি, তাদের কেন ক্ষমতা থেকে পদচ্যুত হয়ে এমন নমশুদ্র ( দয়া করে এই সম্প্রদায়ের লোকরা ক্ষমা করবেন।। কথা প্রসংঙ্গেই লিখছি।। সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন হয়ে নয় )।। এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না যে. ক্ষমতায় যে থাকে, সবার দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকে তারই প্রতি।। আগের কোন একটি লেখায় আমি একথা জানিয়েছিলামও।। আমার তথাকথিত দোষ বা দুর্নীতির কথা প্রকাশ করতে , লোকে আগে আব্বার নাম নিয়ে তারপর বলতো আমার কথা।। আশা করি এরপর আর বুঝানোর কিছু নেই।।
তাই আমিও গুরুজনদের পদাংক অনুসরন করেই, যা লিখি তা হয়তো সরকারের বিরুদ্ধেই যায়।। তবে মাঝে মাঝে এটাও বলার বা বুঝানোর চেষ্টা করি যে, আজ আমরা যে যাই বলি না কেন, দায়ী আমরাই।। বিশেষ করে বিরোধীদলগুলোই।।
পর্যলোচনা করে দেখুন, এরশাদ পরবর্তী ক্ষমতার কথা।। তৃনমূল পর্যায়ের কর্মী থাকা সত্বেও লীগ পরাজিত হলো একটি সম্পূর্ন নূতন দলের কাছে!! যা ছিল তাদের কাছে দুঃস্বপ্ন বা বিরাট চপেটাঘাতের মতই।। কিন্তু ৫বছরের শাসামলে সুখী হতে না পেরে লীগকেই ফিরিয়ে আনলো জনগন।। বুমেরাংয়ের মত ফিরে এলো আবার বিএনপি।। লীগ টেবিলে ফেললো টেক্কার ট্রাম্প।।
এলো ১/১১। মঈনরা এলো প্লান অনুসারেই।। উপভোগও করলো ক্ষমতার স্বাদ।। প্রয়োগের চেষ্টাও চললো মাইনাস টুর।।যদিও সবার ভাষায় অবৈধ।। কিন্তু তার বিচার করছে কে?? কিন্তু পরাজিত বাঙ্গালীর চিরন্তন আবেগের কাছে।। মাঝে মাঝে শুনি কছু কথা, তারপর??
হেমন্তের মতই বলতে হচ্ছে,, তার আর পর নেই।। সেই থেকে নেই কোনই নির্বাচনেরই গ্রহনযোগ্যতা।। দায়ী কে?? সেই আমার অপরাধের মতই, আমার জন্মদাতা!!
বললে তো বলা যায় অনেক কথাই।। কিন্তু তা হবে বাপে খেদানো, মায়ের তাড়ানো ছেলের মতই।। সেই যে বেছিলাম আমাদের ভবিষ্যৎ আমরাই গড়েছি।। আরও বলেছিলাম দ্বিতীয় টার্মে বর্তমান বিরোধীদলের পচন ধরেছিলো মাথা থেকেই।। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হলে না হয় কেটে বাদ দিয়ে বেচে থাকা যায় কিন্তু মাথা বাদ দিয়ে!! তারেক,কোকো থেকে নিয়ে আমান, আব্বাস, খোকন, ফালু নিয়ে কে বাদ পড়েছে?? নাজমুল আর মওদুদদের ইতিহাসতো সেই এস এ খালেকের মতই।। সরকার বদল হলে তার আর করার কি আছে>>!!
কৃতকর্মের ফল বলে কিছু বিশ্বাস করতাম না।। আজ এই বয়সে তা নিয়ে নূতন করেই ভাবতে হচ্ছে।। কেয়ামতে কি বিচার হবে বা তা নিয়ে আমি দোজখ না বেহেশতে যাবো, তা জানেন একমাত্র আল্লাহই।। কিন্তু কিছু কিছু কর্মের ফলাফল যে আমরা এই বাস্তব জগতেই পেয়ে থাকি, সেটা অনেকেই বুঝতে পারি না বা উটপাখর মত চোখ বুঝে থাকি।।
প্রসঙ্গক্রমে পার্শবর্তী দেশের নির্বাচন কমিশনের কোমড় দেখুন।। যার শক্তি দেখে দুর্গার মত শক্তিশালিনী তৃনমূল সরকারের ও সুর দিনে দিনে সপ্তম থেকে নেমেই চলেছে।। ফলাফলই প্রতিশোধ নেবে।। প্রশ্ন আমাদের কমিশন আর পুলিশ তথা বিজিবি কি তা পারবে??
আসলে আমরা দেখেই যাই শুধু, শিখি না।। ইচ্ছেও নেই।। দুগ্ধপোষ্য হয়ে আর সরকারের সাথে আতাত করে ভালইতো আছি।। আমরা ভাল থাকলেই, সব ভাল।। বাকীসব গোল্লায় যাক।।
আমাদের সমাজ আর তেনাদের সমাজের মাঝে যে পার্থক্য অনেক।। রাজা আর প্রজার।। প্রজার কাজই তো শুধু জয়ধ্বনী করা!!
আসলেও বড়ই বিচিত্র আমাদের মতিগতি।। শুধু মেয়েদের দোষ নয়, বিধাতা বোধহয় বাঙ্গালির মনের গতিও বুঝতে অক্ষম।।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০১৬ ভোর ৬:০৩