মনটা কিছুটা ভারাক্রান্ত।। কেন জানি না প্রিয়দের লেখায়ও মন খুলে মন্তব্য করতে পারছি না।। সারাদিন বসেই কাটালাম।। অফিসেও যাই নি।। নেটে পড়লাম বিভিন্ন বিষয়।। একেবারে বিজ্ঞাপন পর্যন্ত।। গতানুতিক সব ঘটনা।। এখানে খুন,ওখানে ধর্ষন,সেখানে গুম।। নিকটজনরা সবাই দেশে।। আল্লাহর রহমতে, ভালই সবাই।। থাকার কথাও।। কারন কেহই সক্রিয় রাজনীতি বা কোন ধরনের লেখালেখিতে আগ্রহী নয়।। চাকুরী-ব্যাবসাই তাদের মূলমন্ত্র।। আর চলছে ফুটানীর প্রতিযোগীতা।। এই নিজেদের মাঝেও।। অঘোষিতভাবেই।। পারিবারিকভাবে মার খাচ্ছি এখানেই।। ভরসা স্ত্রী-সন্তান যা পাচ্ছে, তাতেই খুশী।।
কখন যে ধান ভানতে শীবের গীত চলে এসেছে বুঝতে পারি নি।। জোড়া খুনের ব্যাপারে স্বভাবতঃই মার্কিন রাষ্ট্রদুত দেখা করেছেন আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে।। দেখার পরে দু’জনের সাংবাদিক সম্মেলনে বলার মাঝে গড়মিল।!! কেন??
পুলিশ কর্তা বা মিডিয়াতেও প্রকারান্তরে জুলহাস এবং তনয়কে পরিচিত করানো হচ্ছে সমকামীদের মুখপাত্র হিসাবে।। কেন?? এতে কি স্বভাবতঃই ধর্মা-ধর্ম নির্বিশেষে জনগনের সামনে তাদেরকে হেয় করানো হচ্ছে না?? যেমনটি করা হয়ছিলো অন্যান্যদের বেলায়ও।। ফলাফল নিহতরা সহানুভূতিটুকুও হারিয়ে পরিনত হয়েছে/হচ্ছে করুনা আর ঘৃনার পাত্রতে।।
কিন্তু নিহতরা যাই করে থাকুক না কেন, তাদের সবচেয়ে বড় পরিচয় তারা মানুষ।। নাগরিক এদেশেরই।। বাচার অধিকার তাদেরও আছে।। রাষ্ট্রই তাদেরকে তা দেবে।।(আবার কেউ যদি বলে বসে বেডরুমের সাথে যার যার নিরাপত্বা ব্যাবস্থা তাদেরকেই করতে হবে।। তাহলে আমাদের অধিকার দিতে হবে মেশিনগানের, কারন তাহলেতো শেষ পর্যন্ত হ্যান্ডগানেরতো লাইসেন্স পাবো) বাকি মৌলিক অধিকারগুলির কথা না হয় নাই বললাম।। অন্ততঃ অপরাধীদের ধরে বিচার করলেও তো তাদের আত্মা আর স্বজনরা শান্তি পেতে পারে।। কিন্তু কোন এক রহস্যজনক ভাবে তাও হচ্ছে না।। বরং খুনের পরিমান দিন দিন বেড়েই চলেছে।। বাদ পড়ছে না কেহই।। এমনকি সরকারী দলের লোকজনরাও।। গত দু’মাসের পরিসংখ্যান দেখলেই তা বোঝা যায়।।
সাধারনতঃ বর্তমান এই ভার্চুয়াল জগতকেই শিক্ষিত শ্রেনী তথা সচেতন তরুন,যুবা আর ছাত্ররা প্রতিবাদের ভাষা পেয়েছে, ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম আর বিভিন্ন ব্লগের মাধ্যমে।। কারন এইসব স্যোশাল মাধ্যমগুলির শক্তি কোন অংশেই মিটিং-মিছিলের চেয়ে কম না।। ক্ষেত্রবিশেষে সংবাদমাধ্যম গুলির চেয়েও বেশী।। এখানেও আছে সরকার সমর্থক,আছে বিরোধীপক্ষও, সাথে আছে যারা নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে ঘটনাবলী দেখতে চান।। উল্লেখ্য রাজপথের চেয়ে বিরোধীপক্ষ এখানেই প্রতিবাদের ভাষা খুজে পান, নিজ নিজ দৃষ্টিতে।। নেতাদের মত পাখির চোখে নয়।। এখানে সবাই নেতা, নিজ নিজ ভূমে।। নেতারা যখন অন্যজগতে মগ্ন এরা তখন স্ত্রী-সন্তানকে ঘুম পাড়িয়ে বসেন, নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে।। আর এটা যেয়েও যদি তারা নিরাপত্বা না পান, তখন সরকারের উচিৎ সবকিছুই বন্ধ কে দেওয়া।। বাশ থাকবে না,বাশুরীও বাজবে না।।
কেন যেন মনে হচ্ছে এসব লেখালিখিই কারো কারো মাথাব্যাথার কারন।। এতো খুনও সেজন্যই।। ফলাফল এ্যাক্টিভ ব্লগার কমে যেয়ে ধীরে ধীরে তা বন্ধের পথে নেওয়া।। কিন্তু এটা সফল হবে কি?? ব্লগাররা তো কারো পাকা ধানে মই দেয় নি।। হয়তো দিয়েছে।। তা না হলে আজ পর্যন্ত একটি ছাড়া বাকিগুলি হিমাগারে পড়ে আছে কেন, নিহতদের সাথে?? নিহত অধ্যাপকের (যাকে অনলাইন এ্যাক্টিভেট বলেও পরিচিত করানোর চেষ্টা হয়েছিলো) উনা কন্যার কান্নাভেজা প্রতিবাদের সুরও বলছে,আব্বু এসব কোন কিছুর সাথেই জড়িত না।। কারন কন্যাটি জানে যে, তাহলে পুরো ঘটনাটিই হিমাগারে চলে যেতে পারে।। অন্ততঃ আজ পর্যন্ত সেটাই দেখা যাচ্ছে।।
আচ্ছা জঙ্গী কথাটির সঠিক অর্থ কি??আইএসকে না না ধরা গেল, কিন্তু কথিত আনসারুল্লাহকে কেন নির্মূল করা যাচ্ছে না?? আলংকারিক অর্থে প্রচলিত সমাজব্যাবস্থার বিরুদ্ধাচারী।। অন্য অর্থও থাকতে পারে।। প্রায় প্রতিদিনই পড়ি এতজন/ততজন জঙ্গী বিপুল পরিমান দা,কুড়াল আর জেহাদী লিফলেট/পুস্তিকাসহ ধরা পড়েছে।। মনে শান্তি পেয়েছি, দেশটা বাচলো।। কিন্তু যখন দেখি চাপাতি ব্যাবহারে খুন করা জঙ্গীরা থেকে যাচ্ছে ধরা ছোয়ার বাইরে, তখন মনের কোনে ভয়ে কালো মেঘ জমে উঠে।। বাস-গাড়িতে আগুনবোমা ছোড়া,বা জ্বালিয়ে দিয়ে নিরিহ মানুষ হত্যাকারীদের যখন সরকার নির্মূল করে দিতে পারে।। সেখানে এদের পারছে না কেন?? চলুক না ক্রাক অভিযান।। স্বাগত জানাবো আমরাই।। আসলে ওঝার সরিষাতেই ভুত থাকলে,সেটা দিয়ে ভুত তাড়ানো যায় না।।
সবশেষে বলবো পুলিশের এএসআই মমতাজের কথা যিনি জীবনকে ঝুকির মুখে দিয়ে হলেও একজনকে ধরেছিলেন।। তাকেও কুপিয়ে আহত করে হত্যাকারীরা নিরাপদেই পালিয়ে যায়।। যদিও তার অন্যান্য সঙ্গীরা কি করছিলো, প্রশ্নটা জাগলেও তার প্রচেষ্টাকে সন্মান জানাতেই হয়।।