সাম্প্রতিক ঘটনাবলী দেখে বুঝতে পারলাম কে কতটা অন্ধ কে কেমন অসুস্থ মানসিকতার অধিকারী। যাদের চোখ দুটো ছিলো তাদের চোখ এখন একটা হয়ে গেছে। অথচ এদেশে বাস করতে গেছে ৩ চোখ দরকার। যদি লীদের সমালোচনা করি তাহলে আমি জামাত বা বি এন পি হয়ে যাই। জেনে রাখা ভালো যে দল ক্ষমতায় থাকবে স্বাভাবিক ভাবেই তাদের দোষ ত্রুটি বেশী আলোচনা হবে। কারণ বর্তমানের চাওয়া পাওয়ার হিসেব তাদের কাছেই। আবার এদের সমালোচনা করলে আমি লীগ হয়ে যাই। এদের সবার সমালোচনা করলে আমি জাতীয় পার্টির বা বামদের হয়ে যাই। প্রচলিত সব দলের সমালোচনা করলে প্রশ্ন জাগে আমি আসলে কোন দলের? উত্তর আমি একজন বাঙালি আমি দেশকে ভালোবাসি আমি ধর্মকে ভালোবাসি আমি অন্যের অনুভূতিকে শ্রদ্ধা করতে চাই। কিন্তু আমি চাইনা দেশকে নিয়ে ব্যবসা করতে ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করতে আমি চাইনা কাউকে নির্বিচারে সাধারণ মানুষ পাখির মত হত্যা করতে, চাইনা অন্যের অনুভূতিকে আহত করতে।
দেশপ্রেম এর একটা নমুনা দেই প্রতিবেশী ভারতের সাবেক রাস্টপতি এ পি জে আব্দুল কালাম। যখন রাস্টপতির ক্ষমতা নেয় তখন যে ব্রিফকেস নিয়ে রাস্টপতি ভবনে ডুকেছিলেন যখন আবার বেড়িয়ে গেছেন সে একই ব্রিফকেস নিয়েই বেড় হয়ে যান। একেই বলে বোধহয় সততা ও দেশপ্রেম। এর মূলে রয়েছে তিনি তার অতীতকে ভুলে যাননি। আমাদের দেশের মিডিয়াগুলোর মিথ্যাচার দেখে আমি হতবাক হয়ে যাই। এরা যেনো মিথ্যাচারের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। নেতা নেত্রীদের মিথাচার যেনো মিডিয়ার কাছে হেরে যাবে। এখন পর্যন্ত ২৬ জন পুলিশ মারা গেছে। এ ঘটনাকে ডেকে রাখা হয়েছে পুলিশের ভিতরে হতাশা দেখা দিবে এজন্য হয়তো। কিন্তু পুলিশের সরকারী খাতায় ২৬ জন মাইনাস হয়ে গেছে। প্রতিটি মৃর্ত্যুই নির্মম। প্রশ্ন জাগে কারা মরছে ? সেই সাধারণ মানুষই তো মরছে। আগেও যারা মরতো। নেতারা কেউই মারা যাবেনা। তারা দেশ ব্যাবসা ধর্ম ব্যবসা করেই যাবে। চিন্তা করি কবে সাধারণ মানুষ অসাধারণ হবে নিজের ভালো বুঝতে পারবে। কারো দ্বারা ব্যবহার হবেনা। নাকি এই ভাবেই উধোর পিন্ডি বুধোড় ঘাড়ে চলবে?