কেউ একজন একটি ধর্মকে হেয় প্রতিপন্ন করতে অথবা নিজেকে প্রচার , হতে পারে নোবেল বা অস্কার জেতার জন্য সিনেমা নির্মান করছেন। ইনোসেন্স অব মুসলিম । এতো গেলো তার কর্ম । এখন আমরা যদি নিজেরা নিজেদের হত্যা সহ যাবতীয় ক্ষতিসাধন ও উগ্র কাজকর্মে জড়িয়ে যাই তাতে এসবের সমাধান হয়ে যায়না। শয়তান সবসময়ে ঢিলটুকু ছুড়ে মারে বাকি কাজ মানুষই করে ।
প্রশ্ন হচ্ছে মানবতার মুক্তির দূত মহানবী (সঃ) এর সম্মান কি এতোই ঠুনকো ? কোথাকার কে সিনেমা বানিয়েছে তাতে কি সব সম্মান নষ্ট হয়ে গেলো?এতে ইসলাম কি হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো? আজ কি হয়েছে মুসলমানদের । সবাই চিলের মুখ থেকে কান খুঁজে আনায় ব্যস্ত ।এভাবে কি কোন সমাধান আসতে পারে? এজন্য নিজেকে উপযুক্ত করে তৈরি করার বিকল্প নেই। একসময় অর্ধপৃথিবী শাসন করতো মুসলিমরা।তখন তারা জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা করতো । কোরানের শিক্ষাকে তারা করেছিলো একমাত্র পথনির্দেশ। যখন এই কোরান থেকে তারা মুখ ফিরিয়ে ভোগ বিলাসে মত্ত হয়েছে তখনই তাদের অধঃপতন শুরু যা এখনো চলমান।
যতদিনে মুসলিম সমাজ সঠিক পথে না আসবে ততক্ষণে মুক্তি আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ। শুধু সিনেমা কেন আরো কিছু করতে বেগ পাবেনা ।কারণ অর্থনীতি রাজনীতি মিডিয়া সকল ক্ষমতা এখন তাদের হাতে। এসবের জবাব একটাই হতে পারে নিজেদেরকে জ্ঞান বিজ্ঞানে ও নৈতিকতায় গড়ে তোলা। আবার কোরানের শিক্ষাকে ধারন করতে হবে। আর তখনই হারানো গৌরব ফিরে পাবে নতুবা পাকিস্তানি জনাব আহম্মকদের মত বেঘোরে প্রান হারাতে থাকবে। পাকিস্তানিরদের বোকামির গল্প আছে যা আমরা সকলেই জানি, আসলে সে গল্প যে কতটা যুক্তিপুর্ন তার প্রমান এই ঘটনায় সৃষ্ট প্রতিক্রিয়ায় দেখা যায় ,তারা ইতিমধ্যে ২৩ জন প্রান হারিয়েছেন যা অন্য কোথাও হয়নি। স্বয়ং ওবামাও যদি সিনেমা বানায় তাতে ইসলামের উজ্জলতা নষ্ট হবার নয়। যে চেতনার মহিমা পৃথিবীব্যাপী বিস্তৃত তা একটি সিনেমায় কি করে মলিন করে আমি বুঝিনা। কত পার্শেন্ট মানুষ সিনেমা দেখে বা সিনেমার শিক্ষাকে গ্রহণ করে? তার একটি জরিপ পেলে ভালো হতো। শুনিনি কোনদিন সিনেমা দেখে কেউ তার জীবনকে বদলে ফেলছেন।মিথ্যা কখনো সত্যকে অতিক্রম করতে পারেনা। কোন ধর্মকে কেউ ইচ্ছা করলেই হেয় প্রতিপন্ন করতে পারেনা কারণ ধর্মের প্রবক্তা একমাত্র স্রষ্টা। বরং যারা এসব করেছে তারা তাদের হীনমন্যতা ও চিন্তার অসুস্থতা প্রকাশ করেছে। অন্যের অনুভূতিকে আঘাতের মত নিন্দনীয় কাজ একমাত্র দুর্বলেরাই করে ।