জাতিসংঘ আজকের দিনটিকে মালালা দিবস হিসাবে ঘোষনা করেছে।১৪ বছরের এই পাকিস্তানী বালিকা কন্যা শিশুর শিক্ষার অধিকার আদায়ে যে ভুমিকা রেখেছে তারই স্বীকৃতি স্বরূপ জাতিসংঘের এই পদক্ষেপ।বিশ্বের সকল প্রতিবাদী মানুষ--সকল প্রতিবাদী নারীর জন্য নিংসন্দেহে এটি গৌরবের।একটি স্বীকৃতির দিন।
নারীর সাহসী উচ্চারন, পদক্ষেপ ---দেশ-কাল ভেদে সবসময়ই স্পর্শ করে। জোয়ান অফ আর্ক ,মেরী কুরী ,হেলেন কেলার, মাদার তেরেসা বা এই ঊপমহাদেশের রাজিয়া সুলতানা,চান্দ বিবি,রানী লক্ষীবাঈ,প্রীতিলতা------।জোয়ান অফ আর্ক এর সাহসিকতার কথা যখনই পড়ি নতুন ভাবে মনে হয় এ যেন গল্প ,বাস্তবে এরকম কখনও ঘটেনি। মালালার সময়ের বহু বহু পূর্বে এদেশের বেগম রোকেয়ার কথাই ধরা যাকনা কেন----ঐ সময়ের কঠোর অবরোধের মধ্যে থেকেও নারী শিক্ষার সুচনায় অসামান্য অবদান রেখে গেছেন , কি অসম্ভব কাজটি করে গেছেন তিনি ধীরে অথচ দৃঢ় পদক্ষেপে ।আর আমাদের দেশের ভাষা আন্দোলন হতে মুক্তিযুদ্ধতে---নারীর অবদান সেত অন্য এক গৌরবের ইতিহাস.....হয়তো এই জাতি এখনও তার সবটুকু জানতে পারেনি....তবুও নীলিমা ইব্্রাহিম, জাহানারা ইমাম,সেলিনা হোসেন এদের মত আরও কয়েকজন এর লেখার বা কাজের মাধ্যমে , আইন ও সালিশ কেন্দ্র হতে প্রকাশিত নারীর ৭১ ও যুদ্ধপরবর্তী কথ্যকাহিনী বা এমন আরও কিছু কাজ হতে মুক্তিযুদ্ধে এদেশের নারীর অবদানকে কিছুটা হলেও তুলে ধরা হয়েছে.....চলচ্চিএ ত আছেই।
নজরুল এর নারী কবিতা................... সে কবে ৫ম বা ৬ষ্ট শ্রেনীতে পড়ার সময়টাতে পড়া,তখন হয়তো সবটুকু না বুঝেই প্রায় মুখস্হ করা....কি দৃঢ় ভাবেই না তিনি কবিতার ছন্দে লিখেছেন নারীর শক্তির কথা,অবদান এর কথা....একই সাথে নারীকে সচেতন করার কাজটিও করেছেন..........বলেছেন......
মাথার ঘোমটা ছিড়ে ফেল নারী,ভেঙ ফেল ও-শিকল
যে ঘোমটা তোমা করিয়াছে ভীরু,ওড়াও সে আবরন,
দুর করে দাও দাসীর চিহ্ন , যেথা যত আভরন।
মালালা দিবস আজ।নারীর যোগ্য পাওনা আদায়,নারীর ভূমিকা,অবদান এর সঠিক মূল্যায়নের ক্ষেএে আরও একটি পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে।