বড় করে দেখতে
ছবির কাহিনী খুব গতিশীল। একদা বঙ্গদেশের রাজধানী ঢাকা বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে যায়। এয়ারপোর্ট থেকে ৪ কিলোমিটার পথ যেতে ২ ঘন্টা লাগতো। তারপর পাশবর্তী রাজ্য ভারত থেকে এক বণিক এলো নতুন ঢাকা নির্মাণের জন্য। এরপর সবাই সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিলো।
সিনেমার নাম “ওয়ান্স আপন অ্যা টাইম ইন নিউ ঢাকা”। ওয়েষ্টার্ন ধাঁচের এ ছবিটি পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশ সরকার। প্রয়োজনা করেছেন সাহারা পরিবার। পরিবেশন করেছেন রাজউক। আর অভিনয় করেছেন সমুদ্রকন্যা, সুব্রত রায়, শেখ সেলিমসহ আরো অনেকে। ছবিতে একটি মাত্র আইটেম সং আছে। গানটি গেয়েছেন ইভা রহমান।
এবার আসি ছবি নিয়ে আলোচনায়। কী দেখলাম আর কী বুঝলাম!
সুব্রত রায় দশজন গুপ্তচর পাঠাচ্ছেন বঙ্গদেশে। ওরা সকালে গোসল করে খাওয়া দাওয়া সেরে মাথায় সরিষার তেল মেখে বামপাশে সিঁথি কেটে ঘোড়ার পিঠে উঠে। এরপর শুরু হইলো গুড়ুম গুড়ুম শব্দ। ঘোড়ার ক্ষুর আর বালু উড়ার দৃশ্য। এভাবে যেতে যেতে ঘোড়ায় চড়ে রাজ্যের বিমানবন্দরে চলে আসে গুপ্তচররা। এরপর ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ বিমানে চলিলো। বিমানের সিঁড়ি দিয়ে টবগ টবগ করে উঠছে ঘোড়া বোঝাই গুপ্তচর।
বিমানের ভেতরে ঘোড়ার উপর বসে রইলো ওরা। অপর যাত্রীদের প্রতি তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রেখেছে। বিমানটি মাটির উপর দিয়ে চলছে। বাতাসে ভেসে। ভাসতে ভাসতে একসময় বিমান চলে আসে বঙ্গদেশের রাজধানী ঢাকায়।
সতর্ক দৃষ্টি নিয়ে ঘোড়ায় চড়ে বিমানবন্দর থেকে বের হলো দুর্বার গতিতে। কিন্তু প্রধান সড়কে আসতেই ঘোড়ার আত্মচিৎকার। সামনে পা দু’টো আকাশের দিকে তুলে রেখেছে। ঘোড়া আর হাঁটে না। রাস্তায় যানযট। দশ গুপ্তচর ভয় পেয়ে গেলো। কেউ চিনে ফেললে সমস্যা। মাথায় বাঁধা মাফলার দিয়ে চেহারাটা ঢেকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ঘোড়া থেকে নেমে ফুটপাত ধরে হাঁটা দিলো। পথ মাত্র দুই কিলোমিটার। পাড়ি দিতে সময় লাগলো চারঘন্টা!
এরপর পর্দায় ভেসে উঠলো “কয়দিন পর”।
দশ চর নিজের দেশে ফিরে গেলো। যাবার সময় কিছু হারবাল চিকিৎসার লিফলেট, পপকর্ণ আর গোলাপ ফুল কিনে নিয়ে যায়। গিয়ে বণিককে বললো দুই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে চার ঘন্টা লেগেছে! বণিক তখন পান করছিলেন। চরের মুখে এমন কথা শুনে হাত থেকে পানপাত্র পড়ে ভেঙ্গে গেলো! তিনি চিৎকার করে উঠলেন “না.....।“ এ চিৎকারটি কিছুক্ষণ হাওয়ায় ভেসে ধীরে ধীরে মিলিয়ে গেলো।
এরপরের দৃশ্যে বণিকের সামনে ঢাকা শহরের ম্যাপ। তিনি দেখলেন ঢাকা মাত্র দুই ভাগে বিভক্ত। দেখে আহত হলেন। এসময় তার চোখে প্রথমে রস এসে টলমল করে। পরে তা খসে পড়ে। রস খসে কাঠের তক্তা বিছানো ফ্লোরে পড়ে। চোখের বাকি রস মুছে সিনা টানটান করে ম্যাপ ছুঁয়ে কসম খেয়ে বললেন, “এ শহরকে পূর্ব পশ্চিম দিকেও ছড়িয়ে দিবো ইনশাহল্লাহ!”
ঘর থেকে বেরিয়ে কর্মচারীদের ডাকলেন। সবাই লাইন ধরে দাঁড়ালো। বণিক তাঁর পরিকল্পনার কথা জানালেন। এরপর রমেশ আর সুধাংশু নামে দুজনকে ডাকলেন। ঘরের সিন্দুক থেকে ল্যাপটপ আর মডেম নিয়ে আসতে বললেন। তারা ধরাধরি করে ল্যাপটপ আর মডেম নিয়ে আসলো। এসময় ব্যাকগ্রাউন্ডে হাঁপানির মিউজিক বাজছিলো। ল্যাপটপকে একটি বড় বাক্সে উপর রেখে দু’জনেই মাটিতে বসে পড়ে জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগলো। ছবির একটা দিক চরম লেগেছে। সেটা হচ্ছে অভিনেতাদের জোরে জোরে শ্বাস নেয়ার দৃশ্য। প্রত্যেক অভিনয় শিল্পী অনেক সুন্দর করে জোরে জোরে শ্বাস নেয়ার দৃশ্যে অভিনয় করেছেন।
এবার ডাকলেন সুদেবকে। সুদেব এসে ল্যাপটপের ঢাকনা উঠিয়ে মন্ত্র পাঠ করে সুইচ টিপলো। কিন্তু এ কী! তার চোখে মুখে আতংক! চোখ যেন ঠেলে বেরিয়ে যাবে। কাঁপতে কাঁপতে বললো “ল্যাপিতো অপেন হচ্ছে না!” ব্যাকগ্রাউন্ডে ধুম করে আওয়াজ হলো। বণিকের হাতের পানপাত্র আবারো পড়ে গেলো। পড়ার পর ভেঙে গেলো। উত্তেজিত হয়ে পিস্তল হাতে নিলেন। ক্যামেরা তখন ঘুরতেছে। একে একে সবার মুখ দেখালো। সবার মুখে অনেক আতংক। পিস্তল তাক করলেন সুদেবের দিকে। সুদেব হাত দু’টো উঁচু করে ঢোক গিলতে লাগলেন। দরদর করে ঘাম ঝরছে। এমন সময় বঙ্গদেশ ঘুরে যাওয়া গোপাল কোমরের ব্যাগ থেকে বের করে দিলেন এক জোড়া অলিম্পিক ব্যাটারি। মুখে মুচকি মুচকি হাসি। গোপালের পিঠ চাপড়ে বণিক বললেন, জিয়ে গোপাল... জিয়ে! গোপালের বন্ধু অমল ব্যাগ থেকে হুইস্কির বোতল বের করে বণিককে ইশারা করলে বণিক হাত তুলে বারণ করলেন।
ল্যাপটপ অন হওয়ার পর মডেমও অন হলো। এবার ডাকা হলো কেরানিকে। বঙ্গদেশে এক প্রভাবশালী শাসক আছে। তার কাছে পত্র পাঠাবেন। কেরানিকে বলছেন আর কেরানি লিখছেন। চিঠি লেখা শেষে ডাকা হলো টাইপিস্টকে। চিঠি টাইপ করা শেষে অনিমেষ আর নিখিলেশকে ডাকলেন। এরা দু’ভাই। বণিক বললেন ল্যাপটপটি নিয়ে বঙ্গদেশের রাজধানীতে যেতে। সেখানে শেখ সেলিম নামের এক ব্যক্তির কাছে গেলে ল্যাপটপে চিঠিটি দেখে দেখে লিখে রাখবেন। তারপর তারা যেন ল্যাপটপ নিয়ে চলে আসে।
এরপর স্ক্রীণে ভেসে উঠলো ”কয়েক মাস পর”।
ওমা, একী! কেবল ক্ষুর দেখা যাচ্ছে। আর গুড়ুম গুড়ুম শব্দ শোনা যাচ্ছে। ঘোড়ার কোন চিহ্নও নাই। হায় হায়! এবার দেখা যাচ্ছে বালু। গুড়ুম গুড়ুমের সাথে শোঁ শোঁ শব্দ যোগ হয়েছে। খাইসে! সে কী টানটান উত্তেজনা। এবার দেখলাম পুরো স্ক্রীনজুড়ে কয়েকটি ঘোড়ার মাথা উঠছে আর নামছে। তারপর একটি ক্লোজ শট। বাপরে বাপ! এবার দেখাচ্ছে সে বণিককে। পর্দা স্টিল হয়ে গেছে। বিভিন্ন এংগেলে নাম উঠলো ‘সুব্রত রায়’। দলবল নিয়ে বঙ্গদেশে যাচ্ছেন। পর্দা আবার সচল হলো। ব্যাকগ্রাউন্ডে তখন ধুম ধুম বাজতেছে।
কাহিনী ধীরে ধীরে জমে উঠতেছে। সবগুলো ঘোড়া এগিয়ে যাচ্ছে সুদীর্ঘ এক কাঁটাতারের বেড়ার দিকে। উভয়ের মাঝে ধীরে ধীরে দূরত্ব কমে আসছে। কাঁটাতারের কাছে আসতেই ঘোড়া দিলো চিৎকার। এরপর স্লো মোশনে এক লাফে কাঁটাতারের বেড়া পার। কিন্তু হায়! একটি ঘোড়া আটকে যায় কাঁটাতারের বেড়ার সাথে। পেছনে তাকিয়ে দেখলেন সুব্রত রায়। কোমর থেকে পিস্তল নিয়ে ট্রিগারে আংগুল চালালেন দুবার। ঘোড়াও শেষ, ঘোড়ার সওয়ারীও শেষ!
ঘোড়ার দৌড়ের গতি কমে এসেছে। সবগুলো ঘোড়া এক যায়গায় দাঁড়ালো। সামনে কাঠের সাইনবোর্ডে ঝুলছে “বঙ্গদেশ”। সাইনবোর্ডের সামনে শেখ সেলিম। শাসকপক্ষের প্রভাবশালী নেতা। শহরের শিশুরা ফুলের মালা নিয়ে শেখ সেলিমের দু'পাশে দাঁড়িয়ে। সেলিম সাহেব হাত তালি দিয়ে অভ্যর্থনা জানালেন। একে একে সব শিশু তাদের হাতের মালা বণিক সাহেবকে পরিয়ে দিলেন।
পাশে শহরের সবচেয়ে বড় হোটেল। বাঁশের সাথে ঘোড়া পার্কিং করে দলবল নিয়ে ঢুকলেন হোটেলের ভেতরে। কাউন্টারে গিয়ে বললেন, “হুইস্কি...!“
এমন সময় হোটেলে আক্রমন করে বসলো শাহ আলম নামের এক ডাকাত সর্দার। তার দলের নাম বসুন্ধরা। হোটেলে ঢুকেই প্রস্রাবের কাঠি ধরে চারপাশে ঘুরে মুততে লাগলো। কিন্তু পরক্ষণেই ঘটনা ঠান্ডা। যেন শাহ আলমের মুতেই আগুন ঠান্ডা হয়ে গেলো! বণিকের লোকেরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলো। দমাদম সবার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। সুব্রত রায় শাহ আলমের হাতে একটি কাপড়ের পুটলা ধরিয়ে দিয়ে বললেন, “এখন এটা নিয়ে যা। পরে আবার দেখা করিস!”
গল্পে শাহ আলম বেশ বিশ্বস্ত ডাকাত। মুদ্রার পুটলা নিয়ে ঘোড়া দৌড়িয়ে সোজা চলে যায়। চোরা হামলা করে না।
এরপর আসল জিনিস। আইটেম সং। মিউজিকের তালে তালে একের পর হুইস্কির বোতল খুলে দলের লোকদের দিকে ছুঁড়ে মারছেন সুব্রত রায়। ইভা রহমান নেচে নেচে গেয়ে চলছেন, “মাই নেম ইজ সাহারা/দিবে কে পাহারা?/আহা কী জওয়ানী/হবে কে হয়রানি?/জোরে জোরে নাও নিশ্বাস... আহ্ বিশ্বাস!/ভেঙ্গো না বিশ্বাস!!”
এমন সময় দলবল নিয়ে হুড়মুড় করে আসেন বঙ্গদেশের প্রভাবশালী শাসক সমুদ্রকন্যা। হোটেলে ঢুকেই পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করে জানান দিলেন গান বনধ! সুব্রত বণিক দূর থেকে হাত নাড়ালেন। এগিয়ে দিলেন বোতল। হাতে ঠেলে পাশে সরিয়ে সমুদ্রকন্যা বললেন, “আগে আলাপ, পরে খানাপিনা!”
বিচলিত কন্ঠে সমুদ্রকন্যা বললেন, আমার শহরের মানুষের দু:খ কষ্টের শেষ নাই। বসবাসের যায়গা নাই, গ্যাস নাই, বিদ্যুত নাই। এভাবে চলতে পারে না। আপনিও প্রস্তাব দিলেন, তাই আলাপ করতে আসলাম। শহরের পরিস্থিতি একেবারেই খারাপ। সকাল বেলা কোন মাইয়া ডেটিং করতে বার হলে যাইতে যাইতে সন্ধ্যা। ততক্ষণে প্রেমিক পোলা আরেকটা প্রেমিকা নিয়ে বাড়ি চলে যায়। এতই অসহনীয় হয়ে উঠেছে রাজধানীর যানজট পরিস্থিতি। আপনার কোন পরিকল্পনা থাকলে বলেন।
► হ্যাঁ আমার ইচ্ছা আছে বাংলাদেশের চেহারা বদলে দেয়ার। এ দেশ আমার মায়ের দেশ। মাতৃভূমি। আমি দেশটার চেহারা বদলে দিবো। সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা দেশটির রাজধানী মখমলের কাপড়ের মতো মসৃন হয়ে যাবে। নতুন শহর হবে, নতুন লাইফ স্টাইল হবে।
► চাপা বনধ করে সোজা বাংলায় বলুন কী কী করতে চান!
► সুন্দরবনের অদূরে নদীর উপর একটি দৃষ্টিনন্দন পার্ক নির্মাণ করতে চাই। যেটা হবে পৃথিবীর ষষ্ঠতম সুন্দরী পর্যটন স্পট। পরিবেশবাদীরা ঝামেলা করবে। সমস্যা নাই ওদেরকে কয়েকটা দোকান দিয়ে দিবো।
► রাজধানী নিয়ে কিছু বলুন বণিক সাহেব! রাজধানী থেকে সুন্দরবনের দূরত্ব অনেক। ওদিকে পরে যান।
► তা ঠিক বলেছেন, রাজধানী হচ্ছে সবার আগে। আমি আর্সেনিকমুক্ত পানি নিয়ে কাজ করতে চাই। অনেক বড় প্রকল্প নিতে চাই।
► রাজধানী নিয়ে কথা বলুন!
► বিদ্যুত সেক্টরের জন্য তিনটা প্রকল্প ঠিক করে রেখেছি। দেশে বিদ্যুতের কোন অভাব থাকবে না। ফেরিওয়ালা চিল্লায়া চিল্লায়া বিদ্যুত বিক্রি করবে। সেলুন দোকানদারও বিদ্যুতের ফ্লেক্সিলোড বিক্রি করবে। এরপর ধরেন গ্যাস, তেল... (এ অবস্থায় এসে বণিককে থামিয়ে দিলেন সমুদ্রকন্যা।)
► বণিক সাহেব কী মশকরা করতেছেন? রাজধানী নিয়ে কথা বলুন।
► আপনি রাজধানী নিয়ে কথা বলবেন, সেটা আগে বলবেন না! তা কী কী করতে করতে চান?
► একই প্রশ্নতো আমারো। আপনি কী কী করতে চান?
► আপনার রাজধানী নিয়ে আমি কী করবো? আমাকে জিজ্ঞাসা করতেছেন কেন?
► কিন্তু আপনিতো এসেছেন নতুন ঢাকা নির্মাণের বিষয়ে কথা বলতে।
► সেটা এতো লোকজনের সাথে আলাপ করার কী আছে! এ আলাপ পরেও করা যাবে। চলেন গান শুনি।
বণিক চিল্লায়া উঠে বললেন, এই গান লাগায়া দাও! আবার আইটেম সং বাজতে শুরু করলো। “মাই নেম ইজ সাহারা/দিবে কে পাহারা?/আহা কী জওয়ানী/হবে কে হয়রানি?/জোরে জোরে নাও নিশ্বাস... আহ্ বিশ্বাস!/ভেঙ্গো না বিশ্বাস!!”
রাতে নেচে গেয়ে সবাই ঘুমিয়ে পড়লো। সকালের সূর্য উঠার দৃশ্য। বণিক মশাই হোটেল থেকে বেরিয়ে দেখলেন বাইরে কেউ নাই। দলবল নিয়ে ঘোড়ার বাঁধন খুলে পিঠে উঠে বসলেন। তারপর চিল্লায়া চিল্লায়া কইতে থাকলেন, “এই শহরবাসী। তোমারে শহরের উন্নয়নে আমি অবদান রাখবো। এ শহরে বারো কুটি আম্রিকান ডলার বিনিয়োগ করুম। আমার জন্য দোয়া করবা।“
এরপর সবাই ঘোড়া দৌড়িয়ে চলে গেলো। ক্যামেরা আর এগুচ্ছে না। ওরা ফ্রেমের বাইরে যাবার পর পর্দায় লেখা উঠলো “সমাপ্ত”!
ক্যামেরার কাজ, মিউজিক, লাইটিং সব কিছু এক কথায় চমৎকার হয়েছে। অভিনয়টা সবচেয়ে ভালো হয়েছে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেখার মতো বেশ সামাজিক একটা সিনেমা। আপনারা সবাই দেখতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:১২