কী এমন প্রয়োজন ছিলো সেরা ১০ জন ব্লগার নির্বাচনের? যা নির্বাচন করেছে, তাও বুঝিয়ে দিলো যে, "কর্তৃপক্ষ এখনো সেরা ব্লগার নির্বাচনের যোগ্যতা অর্জন করেনি।" এটা নিয়ে এখন আবার ব্লগে তুমুল বিতর্কও হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ বিতর্কই অমূলক। অমুক নাই কেন, তমুক নাই কেন? এসব প্রশ্নই বেশি শোনা যাচ্ছে।
সেরা ১০ জন ব্লগারের তালিকা নিয়ে আমার কোন প্রশ্ন নেই। যথেষ্ট যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিরাই সেরা ব্লগারের শিরোপা জিতেছেন। তবে প্রশ্ন রইলো কেবল সেরা ব্লগার হওয়ার পেছনে যে কারণ উল্লেখ করেছে, সে কারণ নিয়ে।
কয়েকজন ব্লগারের ক্ষেত্রে সেসব কারন একটু এদিক সেদিক হবে। বাকি সব ঠিক আছে।
আমার দৃষ্টিতে কেন এ ১০জন সেরা ব্লগার -
ইমন জুবায়ের
চমৎকার তথ্যসমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি বিষয়ক পোস্ট দিয়ে থাকেন ইমন জুবায়ের। যা এক কথায় অতুলনীয়। উনার পোস্টের সংখ্যাও অবাক হওয়ার মতো। ব্লগে আর কোন ব্লগার এতো বেশি পরিমান মানসম্পন্ন পোস্ট দিতে পারেননি।
মাহমুদুল হাসান কায়রো
সরাসরি পাকিস্তানের জন্য কান্নাকাটি করে এবং শিবিরের জন্য আকুতি জানিয়েও একমাত্র এ ব্লগারটি অনেক ননছাগু ব্লগারের প্রিয় পাত্র। এ অসামান্য কৃতিত্বের জন্য তাকে সেরা ব্লগারের মর্যাদা দেয়া হয়েছে।
ফিউশন ফাইভ
বাংলা ব্লগের সুপার হিরো। বাংলা ব্লগের বিকাশে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বিশেষভাবে সেরা ব্লগার হতে পারেন।
আলিম আল রাজি
এ মানুষটির রম্যের কঠিনমাত্রার ভক্ত আমি। বছরজুড়ে প্রচুর উপভোগ্য রম্য আমাদেরকে উপহার দিয়ে সেরা দশে ঠাঁই করে নিয়েছেন।
জাহাজী পোলা
জাহাজ ছিনতাই এবং বঙ্গোপসাগরের জলদূষন নিয়ে দারুন দু'টি পোস্ট পেয়েছিলাম। খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে একমাত্র তিনিই লিখেছেন মনে হয়। কেবল এজন্য সেরা দশে ঠাঁই করা নিয়ে তৃপ্তিও না, বিতর্কেও নাই। তবে নানান সময় উনাকেও ছাগ সংস্পর্শে থেকে বেশ আমোদ করতে দেখা গিয়েছে।
শায়মা
দিনলিপি সংরক্ষনের কনসেপ্টের সাথে এ লোকটির ব্লগিং অনেকাংশে যায়। নির্ভেজাল এবং স্বাধীন ব্লগ লেখার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হচ্ছেন শায়মা।
রেজোওয়ানা
নারী ব্লগারদের মধ্যে ব্লগিংয়ে বেশ এগিয়ে আছেন। আগে সামাজিকতা করে করে পাঠক সৃষ্টি এবং পরে জনপ্রিয়তা - এ নীতিতে একক নারী ব্লগার হিসেবে তিনি সেরা দশে ঠাঁই পেতেই পারেন।
আরিয়ানা
উনার ব্লগ পোস্টগুলোয় খুব তেলতেলে কমেন্ট থাকে বলে অত ভালোভাবে কখনো পর্যবেক্ষণ করিনি। তাই নো কমেন্টস। তবে অবশ্যই সেরা দশে ঠাঁই পাওয়ার মতো নন তিনি। কর্তৃপক্ষ যে এখনো সেরা কিছু নির্বাচনের ক্ষমতা অর্জন করেনি, তা প্রমান করার জন্য তাকে সেরা দশে রাখা হয়েছে।
ডিসকো বান্দর
পরবর্তীতে আর কখনো কর্তৃপক্ষ এ ধরনের লিস্ট করবে না, এটা নিশ্চিত করার জন্যই ডিসকো বান্দরকে সেরা দশে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ উনারা বুঝিয়ে দিয়েছেন এ ধরনের লিস্ট করে আমরা যে অতি উৎসাহী মূর্খতা দেখিয়েছি, তা ব্লগারদেরকে বুঝানোর জন্য ডিসকো বান্দরের মতো একজন ব্লগারকে রেখেছি। অন্য কোন কারণে নয়। ন্যাড়া আর বেল তলায় যাবে না।
আসিফ মহিউদ্দিন
বাংলা ব্লগকে আন্তর্জাতিক মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া এবং শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ নিয়ে ব্লগে লেখালেখি, ব্লগারদের সাথে নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে মাঠে থাকার কারণে আসিফ মহিউদ্দিনকে সেরা ব্লগারদের একজন বলা যায়। পাশাপাশি যে পরিমান ধৈর্য্যের দেখিয়ে দিনের পর দিন ব্যক্তি আক্রমন মোকাবেলা করে যাচ্ছেন, তা রীতিমতো ঈর্ষনীয়। একজন শক্ত ব্লগযোদ্ধা।
তবে সে যাইহোক, এ ধরনের তালিকার কোন প্রয়োজনই ছিলো না।