বাংলাদেশ
সাঈদী বলেছেন "শেখ মুজিব ৭মার্চ ইনশাহ আল্লাহ না বললে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না।" এমনিতে ১৯৭১ এ মুসলিম দেশ পাকিস্তানের প্রতি শয়তানের নজর পড়ে। শয়তানগুলো সব পাকিস্তানি সৈন্যের কাঁধে ভর করে বাংলাদেশে চলে আসে। পরে এ দেশের মোল্লারা তসবীহ হাতে বসে বসে জিকির শুরু করলে প্রায় ৯ মাসের মাথায় শয়তানগুলো এদেশ ছেড়ে চলে যায়। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যায়।
কাজী নজরুল ইসলাম
নিন্দুকেরা বলে বিদ্রোহী কবি, বিদগ্ধগণের ইসলামিক কবি। জামায়াত ইসলাম ঘেঁষা বেশিরভাগ কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ভাগ করে নিয়ে গেছেন। উল্লেখ্য তিনি বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক ছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
যেহেতু কাজী নজরুল ইসলাম বিএনপি সমর্থন করতেন, সেহেতু রবীন্দ্রনাথ আওয়ামীলীগ সমর্থক ছিলেন। তবে উনাকে ইদানিং দেয়ালে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। রিমিক্স দৌড়ানি খেয়ে পলাতক আছেন।
বাঙালি
বর্তমানে আমার দেখা সবচেয়ে ভেজাইল্যা শব্দ। তবে এ শব্দটিকে মিস করি।
শেখ হাসিনা
যিনি নোবেল পুরস্কার পাননি। এর বাইরে উনার তেমন কোন পরিচয় নেই। তবে, নোবেল পাওয়ার চেষ্টায় আছেন। এমনিতে ফজরের নামাজ পড়ে দিনের শুরু করেন বলে দাবি করেছেন। ছাত্রলীগ নামে কতিপয় অটিস্টিক যুবকের সংগঠনের মা। জয়নাল হাজারী এবং শামীম ওসমানের মতো ডগ পুষতে ভালোবাসেন। তিনি সবচে' বড় দেশপ্রেমিক।
বেগম খালেদা জিয়া
ধার্মিক রমণী। নামের আগে মাওলানা বলুন। বাংলাদেশের ইসলামী রাজনীতির মায়ের সমতূল্য। ১১ টায় ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়ে দিন শুরু করেন। উনার স্বামী মেজর জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) অস্ত্রের বলে ক্ষমতা দখল করে রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। তিনিই সর্বপ্রথম ইসলামী পোশাক হিসেবে জর্জেট শাড়ী, টি-শার্ট জিন্স প্যান্টের প্রচলন ঘটান।
সৈয়দ আবুল হোসেন
যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের লোগো। এ মন্ত্রনালয়ের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। তিনি বিএনপি রাজনীতিতে সক্রিয় থাকাকালীন সময়ে জনকের নাম জানতেন না। কিছুদিন আগে জেনেছেন।
জাতীয় সংসদ ভবন
একটি সুরম্য দালান। দিনের বেলা ভেতরে রাজনৈতিক পতিতাদের আনাগোনা এবং গভীর রাতে চারপাশে ভাসমান পতিতাদের আনাগোনা।
** ("রাজনৈতিক পতিতাদের আনাগোনা" শব্দটি ফিউশন ফাইভের কমেন্ট থেকে নেয়া)
হাওয়া ভবন
বিএনপির কাবা শরীফ। এ শরীফের খাদেম ২০০৮ সালে রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে বর্তমানে লন্ডনে হিজরতে আছেন। উনার ছোটভাই চুরি করার অপরাধে সাধারণ শ্রমিকের ভিসা নিয়ে মালেয়শিয়াতে আছেন। সামহোয়ার ইন ব্লগে এ দু'জনের সমর্থনে অনেকে লেখালেখি করে থাকেন।
মন্ত্রী
কেবলমাত্র বাংলাদেশের সব মন্ত্রী সফল। পদত্যাগের রেকর্ড নাই। ইউরোপে হরহামেশা মন্ত্রীরা পদত্যাগ করেন। আসলে ওরা দায়িত্ব সচেতন নয় বলেই যখন তখন দায়িত্ব ছেড়ে চলে যান।
ইসলাম
ইদানিং "সত্যিকারের ইসলাম" খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ইসলামের কোন দোষ ধরলেই বলতে হবে "এটা ভাই সত্যিকারের ইসলাম নয়"। কোন ইমাম যদি বালক বলাৎকার করতে গিয়ে ধরা পড়েন, তাহলে বলতে হবে "ইসলাম এটা অনুমোদন করে না। মুসলমানের খাতায় এ ইমামের নাম নাই।" আর যদি কোন হিন্দু পুরোহিত এ কাজ করে, তাহলে বলতে হবে "শালা মালাউনের বাচ্চা!"
জাতীয়তাবাদ
গর্ভে থাকতে মায়ের পেটে লাত্থি মেরে যে ব্যক্তি মেরে ফেলতে চাইবে, জন্মের পর তাকে বাপ ডাকতে হয়। বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদের সোল এজেন্ট হচ্ছে জিয়া পরিবার। চরম মাত্রার উদারপন্থী এ পরিবার জন্মশত্রুকে বাপ ডাকে।
দৈনিক প্রথম আলো
কোন পাঠক নাই, কেবল মানুষের দোয়ায় শীর্ষস্থান দখল করে আছে। সব দোষ প্রথম আলোর। প্রথম আলো থাকতে ইন্টারনেট ডিসকানেক্ট হয় কেন, এ টেনশনে গত ২দিনে ৩ শতাধিক লোক নিখোঁজ হয়েছেন।
দৈনিক আমার দেশ
"হুদার কার্টুন" নামে একটি বিভাগ আছে। কারণ প্রথম আলোতে "শিরিরের কার্টুন" নামে একটি বিভাগ আছে। এ পত্রিকার সম্পাদককে তারেক জিয়ার খাদেম বলে ডাকে দুষ্টু পোলাপানরা।
সৌদী আরব
ঘরে মেয়েরা ন্যাংটা থাকে, বাইরে পুরুষেরা পর্দা করে। শিরচ্ছেদ করা হয়। সৌদী আরবে কাবা শরীফ আছে। মুসলমানরা হজ্জ করতে যায়। হজ্জ মৌসুমে তাদের অনেক আয় হয়। এ দেশের পুরুষরা নারীর পাশে বসে টাকা উড়ায় আর পুরুষ পাশে থাকলে সেক্স করার চেষ্টা করে।
বামপন্থা
ডানপন্থা যতোদিন আছে, বামপন্থার আয়ু ততোদিন পর্যন্ত। অহেতুক সময় নষ্ট না করে হয় বামপন্থী, না হয় ডানপন্থী হয়ে যান। কারণ তৃতীয় কোন হাত অবশিষ্ট নাই।
নাস্তিক
আস্তিক শব্দটির সাথে ছন্দের মিল আছে। শুনতে মন্দ না।
পাকিস্তান
একটি মুসলিম দেশ। ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে প্রচুর শয়তান আছর করে। আল্লাহর পক্ষের যোদ্ধারা শয়তান তাড়াতে এসে হেরে যায়। পরে দেশটি বাংলাদেশ নামে আত্মপ্রকাশ করে। এখন পাকিস্তানে অন্যদেশের সেনারা এসে সোনা কেটে নিয়ে যায়। ঢাকার মগবাজারে পাকিস্তানী মুজরা নাচের ভিডিও বিক্রি করা হয়।
বিপ্লব
গুগল সার্চ এঞ্জিনে ইয়াহু লিখে সার্চ দাও। এটা না পারলে "দুনিয়ার মজদুর এক হও" বলে ডাক দিয়ে ১০/১২ জন নিয়ে মিছিল করো।
অশ্লীলতা
মেয়েটি খুব অশ্লীল। ভালো করে চেয়ে দেখ, মেয়েটি বুক উঁচা করে হাঁটে। ছি: কি অশ্লীল! দেখেছিস, মেয়েটির পাছা কি বিশ্রীভাবে দোলে। আরে আরে দেখ দেখ... মেয়েটির বগলের কেশও দেখা যাচ্ছে। অশ্লীল! অশ্লীল!!
ধর্ম
যার যার ব্যক্তিগত বিষয়। তবে সবাইকে দাওয়াত দিয়ে বিরক্ত করতে হয়। দলগতভাবে ধর্মকর্ম করলে প্রাপ্তি বেশি। তবে, ধর্ম যারযার ব্যক্তিগত বিষয়।
---------------------------------------------------------
বি:দ্র:
ভবিষ্যতে আরো কিছু প্রিয় শব্দ নিয়ে আসতে পারি।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৩:৫৭