কোন খুনের কথা বলি না। রক্তের কথাও না। ভাবি রাষ্ট্রে সার্বভৌমত্ত্বের কথা। বলি দেশের কথা। বিপথগামীদের দায় দেশপ্রেমিক নিবে না। কখনো না। হোক সে মেধাবী (?) হোক সে (সৎ)।
অপয়াজন্মা সেসব বিড়াল মেছোবাগ হওয়ার আগেই পুঁতে ফেলা হোক। নেতিয়ে দেয়া হোক স্পর্ধার ধর্মশিশ্ন। ধর্মের নামে জিহাদের নামে সম্ভাবনার সূর্যে গ্রহণ লাগতে দেবো না।
মানুষ বলেই হয়তো সেদিন রক্ত দেখে নিউরণে শিহরণ লেগেছে। হয়তো আমার মাংসেও ভয় ঢুকেছে। কিন্তু কতোক্ষণ! সে করুণা, সে আপসোস আর কতোক্ষণই বা রক্তে শীত স্রোত বইয়ে দিবে?
আমি জানি, কেন শিশুমনস্কা বালকেরা শিবির সমর্থন করে। কেন ভুলে যায় একাত্তর, কেন ভোলে আগামী? সে গল্প অন্ধকারের, পেছনে আটকে রাখার। অনুর্বর সব দর্শনের ধর্ষন কোমল আত্মার গলিতে গলিতে।
স্মরণকালের অমানবিক পশুবৃত্তি ==>>
ওসব মৃত্যুর দৃশ্য দলীয় উদ্যোগে ধারণ (শিবির প্রচারিত ভিডিওর সব অংশ মিডিয়ায় আসেনি, তাহলে তারা সমস্ত ফুটেজ কোথায় পেলো?) এবং পরবর্তীতে আকর্ষনীয় মৃত্যুমোড়কে পুরো দেশে এবং দেশের বাইরে ছড়িয়ে দিয়ে এ কোন সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা শিবির করেছিলো?
একটি গ্রাম => ইউনিয়ন => উপজেলা => জেলা ... এভাবে বিভাগ এবং পুরোদেশ। আমার গ্রামের শিবির নেতাদের পরিক্লপনা বিচার করে সঠিক ধারণা আনতে পারি জাতীয় পর্যায়ের কুলাঙারদের পরিকল্পনার।
বাড়িতে বাড়িতে, বাজারের চা'দোকানে, কিন্ডার গার্টেন, মাদ্রাসা এবং মসজিদে (!) মসজিদে এ ভিডিওর প্রচার এবং নাকি কান্না কি কথিত সব শহীদদের কাঁচা মাংস খাওয়ার মতো নয়?
কোথায় ছিলো নিজামী, গো. আজম অথবা কামরুজ্জামানেরা? অথবা আমাদের হাতের কাছের ওয়ামী//ওয়ালী? তাদের জিহাদী জোস কি গেলমান বিচারে সেসব বিপদগামী বালক//যুবকদের- যারা অন্ধ জোসে নিজেকে বিছিয়ে দেয় মৃত্যুর মিছিলে?
কুত্তা বলি, শুয়োর বলি, কীট বলি.... আরো অনেক কিছু বলি। নাহ্ ! ঘেন্না আর ক্ষোভ কমে না, কমে না।
আরেকটি ২৮ অক্টোবর, যেদিন আর যুবক মুজাহিদ নয়, মারা যাবে বুড়া মুজাহিদেরা। মারা যাবে সম্ভাবনার ভ্রুন হত্যাকারী অমানুষেরা।
আরো একটি ২৮ অক্টোবর কি খুবই সন্নিকটে?