নম: নম: ইশ্বর নম:
কৃপাময়তায় ঠোটের নিম্নভাগের স্পর্শ, আরাধনা...।
ভালো থাকার নির্দেশে ভালো থাকি
আরও ভালো থাকে খাদ্য ভুনার মেশিনগুলো।
ধর্মগ্রন্থের হরফের মতো কালো তলার পাতিলেরা ভালো থাকে।
পোড়ে না, পুড়তে দেয়না।
আমাদের রসুইঘর এখন উহুদ, বদর প্রান্তর-
নিত্য জিহাদ করে আলু, শষা, পটলেরা।
পরসমাচার...
আমরা শিল্পপতি হচ্ছি দল বেঁধে-
সুচারু শৈল্পিকতায় আলাদা করি মানব হাঁড় মাংস,
কারিগর সত্ত্বার ব্যবহারিক ক্লাশ বাণিজ্যের অভ্যন্তরে।
সুধীর কবর দিয়ে সুদী হচ্ছি ব্যাপক প্রয়োজনে।
আমাদের ভালো বাসাগুলোর ধর্মঘর ত্যাগে
ধর্মগ্রন্থের বাণীগুলো প্রজনন ক্ষমতা ফিরে পাচ্ছে,
নিয়মিত প্রসবে তোমার বাহক লজ্জা পায়।
এখানে পাড়ায়-মহল্লায়, গলির মোড়ে মোড়ে আজরাঈল,
পৃথিবীর বুকে ঈশ্বরেরা রাইফেল কাঁদে ছুটে।
অগ্রিম মৃত্যু সনদ দেয় কার্যকর ঈশ্বর-
গল্পচ্ছলে শোনা ঈশ্বর তুমি মৃতপ্রায় নির্জীব।
রমনীদের বুকের উচ্চতার বৃদ্ধিতে
লিকলিকে পুরুষ জিহ্বাগুলোয় লালার উৎসব।
প্রবৃত্তিগুলো জন্মানন্দের উচ্ছ্বাসে মৈথুনানন্দে
অন্ধকার কোনে- টিকটিকির খোসা পড়ে থাকে।
চুইংগামের মতো চুষে খাই কুমারীর মাতৃত্ব,
বাসর বিলাসিতায় আমরা নেই-
চেম্বার বা খাবার দোকানের সরু বেঞ্চিতেই
পারফিউম সুবাস ছড়ায়।
এখন উত্তোরোত্তর আধুনিকতার পূর্বাপর অনুশীলন, যদিও
তোমার চশমা অকার্যকর এবং কানের ময়লাগুলো জমাট বাঁধা।
অনেক আগ থেকেই পিতা হত্যা করে
মাতার গর্ভে জারজ সন্তান জন্ম দিতে শিখেছি
কই তখনতো তোমার আকাশ ভেঙ্গে পড়ে না!
অথচ আমাদের সামনে কিশোরীর সতেজ স্তনের মতো
স্বর্গের হাতছানি।
তবুও তোমার ধর্মবানীগুলো ঈশপের গল্পের মতো শুনতে পছন্দ করি।
তুমি হাসতেই থাকবে...
রমনীরা এখন আর হাতমোজা পরে না
খালে-বিলে নবজাতক পড়ে থাকে না
অথচ আমি নিশ্চিত দেখেছি-
সন্ধ্যে নামার একটু আগেও বিকেল শেষ হয় না।
এখানে সুনামি হয়-
সিডর-নার্গিসে যৌনাঙ্গ কেটে যাওয়ার সময় চিৎকার করি।
অথচ কথা ছিলো তুমি দয়ালু
যদি দূর্যোগই গজব হলো, তবে
আরাধনারত মায়ের কি হবে?
আমি পাপী হলাম- নারীতে করি অনাচার
স্ত্রী পাপী হলো- ভিন্ন শিহরণে বারংবার
আর আমার অষ্টমী কন্যা ?
যোনী ফাটা মাছুম রক্তের ভয়াল চিৎকার
তার কি হবে-
সেও কি দুর্যোগেই পেলো উদ্ধার?
পরিশেষে...
এখানে মানুষেরা মাতৃধর্ষনে ব্যস্ত,
কন্যার কাঁচা মাংস চুষতে লাইনে দাড়ায়;
তোমার শক্ত প্রতিপক্ষ, ঐশী বাণী স্রষ্টা,
মানুষই জন্ম দেয়, মানুষই বাঁচিয়ে রাখে,
খাওয়ায়, কামলীলায় ঘাম ঝরায়- আবার মানুষই মারে
আর তুমি যুবতীর কুমারী স্তনের মতো
বাতামি লেবু দর্শনে প্রয়াতৈতিহাসিক দর্শক।
দল বেঁধে আসা মনুষ্যত্বের ধর্ষনে
হারানো জ্ঞান ফিরে পেয়ে এখন খালি জানতে ইচ্ছে করে-
তোমার অইখানের কি খবর?
এখনও কি উজির নাজিরেরা মানুষকে সিজদা করে?
।। তোমার অবাধ্য ।।