পৌষের বেহায়া বাতাসকে
উপেক্ষা করে কনকনে শীতের রাতে
উচ্ছল মাইক্রোবাস যেন জ্ঞানহারা
দিগ্বিদিক-
ভাবালুতায় তেমনি আমিও ভাসমান।
বুকে পিঠে শুদ্ধতার স্লোগান চেপে
কথা ছিল সুসময়ের বাতাস টেনে
ঝড় তুলবে ঠোঁটে ফিরে আসবার সিম্ফনি
আমি সাত সমুদ্র পার হয়ে
কলেজ রোডের দোরগোড়ায় গিয়ে
তোমার নাম ধরে ভীষণ উত্তাল এক
বোবা চিৎকারে কয়েক মুহূর্ত
ঝুলতে থাকলো মূর্তিমান পেন্ডুলাম হয়ে।
রাস্তার শেষ মাথায়
গাড়ী না যাবার ব্যারিকেড
স্পষ্ট জানান দেয় এবার ও হবে না - মৈত্রেয়ী
এদিক ওদিক দু’একজনকে
জিজ্ঞাসা- না, জানে না কেউ
কোন বাড়িটায় একসাথে
তিন ছেলে হারানোর দীর্ঘশ্বাস
মানিপ্লান্টের সাথে পেঁচিয়ে
নারকেল গাছের ডগায় ঝুলে আছে
চল্লিশ বছর ধরে- নির্ঘুম--
জানা নেই ঠা ঠা গুলির শব্দে
মেয়েটা কেন গায়ে চাপালো
সফেদ সাদা শাড়ি।।
তীব্র শীতে এক বিরোহী বৃষ্টির অনুভবে
মনে হলো আমি যেন দেবী -
শরীরের উপত্যকায়
নানা কাড়া আকাড়ার আগমন
আজকাল আঁচড় বসায় না বিবেকের সফেদ দেয়ালে
তবে আমারই বা তোমাকে দেখবার এতো কাতরতা কেন
হে মির্চা এলিয়াদ?