(প্রকাশিত মেয়েটির ছবিটা উল্লেখিত সাইট থেকে নেয়া)View this link
আমি গত ৫ বছরের ও বেশী সময় ধরে ঢাকার কমলাপুর থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত ট্রেনে যাতায়াত করছি,সেই সুবাদে আমার নিজ চোখ থেকে দেখা বিষয় টি সবার সামনে তুলে ধরে যথাযথ কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মুলত সমস্যাটা আসলে আমাদের ভেতর, সেটা হল- আমরা আমাদের সমাজের সকল প্রকার অসংগতি গুলো আমরা খুব মজা করে দেখি এবং সেগুলো উপভোগ করি কিন্তু সেগুলো নিয়ে কিঞ্চিৎ ভাবলে ও পরে মনে মনে বলি, দরকার কি রে বাবা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো । তাই নয় কি ?
ঘটনা –
২-৩ মাস আগের ঘটনা। ট্রেনটির নামটি মনে হয় জয়ন্তিকা , দুপুর ১২ টায় ছাড়ে। আমি সেই ট্রেনের যাত্রী কমলাপুর থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত, জানালার পাশে বসে আছি, একটি ৪-৫ বছরের বাচ্চা সহ এক যাত্রী আমার সামনে জানালার পাশে বসা, ট্রেন টি চলতে চলতে হটাত বনানী ষ্টেশনের কাছাকাছি এসে হালকা স্লো করতে করতে একসময় বনানী রেইল গেটের কাছাকাছি এসে থেমে গেল,
হয়তো বা লাইন ক্লিয়ার ছিল না, বাচ্চাটি জানালার বাইরে ঝোপের কাছাকাছি পড়ে থাকা কনডম দেখে খুব উদগ্রীব হয়ে বাবাকে বলল , বাবা বাবা দেখ কত বেলুন পড়ে আছে !! বাচ্চাটি প্রশ্ন করল, আচ্ছা বাবা এখানে এত বেলুন কে ফেলেছে ? বাবা নিরব এবং আমার সাথে চোখাচোখি এবং কিছুটা লজ্জা পেয়ে গেল কিন্তু নিরব ভাবে বাচ্চাকে বলল বাবা দেখ দেখ কি সুন্দর একটা পাখি দেখা যাচ্ছে। এরকম লজ্জাজনক পরিস্থিতিতে আমরা যদি কেউ পড়তাম তাহলে আমাদের জবাব কি হত ? কেউ বলতে পারেন।
নগর পতিতাদের অভয়ারণ্য ঃ
দিনে দুপুরে জনসমুক্ষ্যে কিছু সংখ্যক মেয়ে এবং ৪০ ঊর্ধ্ব মহিলা অনায়াসে যৌন মিলনে লিপ্ত হচ্ছে কোন রকম বাধা বিঘ্ন ছাড়াই,আমরা প্রতিদিন সেই দৃশ্য উপভোগ করছি চলতি পথে এবং মাঝে মাঝে সিনিয়ার ভাই বা পরিবারের সামনে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ছি । কেন এখানে আমাদের প্রশাসন নিরব বুঝতে পারছি না । লোকেশান টা হল, বনানী রেল ষ্টেশনের পাশের রেল লাইন থেকে একেবারে বনানী রেল গেইট পর্যন্ত, দিনে দিনে এই স্থানে যেমন পতিতাদের সংখ্যা বাড়ছে তেমনি কাস্টমারের সংখ্যা ও কম বলা যাবে না । অথচ এই স্থানটি তে বাংলাদেশ সরকারের বেশ কিছু গুরুত্তপূর্ণ অফিস অবস্থিত তাও আবার আমাদের সামরিক বাহিনীর!! বনানী রেল ষ্টেশনের পাশের রেল লাইন থেকে একেবারে বনানী রেল গেইট পর্যন্ত রেল লাইনের দু ধারে অনেক ঝোপ ঝাড় রয়েছে আর সেই ঝোপ ঝাড়ের মধ্যেই চলে আসছে এই ধরনের অসামাজিক কর্মকাণ্ড ।
(হাতের বা দিকের কাপড়ে ঘেরা অংশেই চলে ব্যবসা)
সকাল থেকেই তাদের আনাগোনা শুরু হয় আর এদের খদ্দের দের ও আগমন ঘটে, দেখে খুবই অবাক হই স্কুল কলেজের ড্রেস পড়া ছেলে পেলে রা ও এখানে আসে !! এতে কি আমাদের সমাজের অবক্ষয় হচ্ছে না ? এদের ভবিষ্যৎ কি হবে বুঝিনা। আর এই জায়গাকে কেন্দ্র করে কোন এক সময় গড়ে উঠতে পারে মাদক ব্যবসা। আমার ট্রেন থেকে দেখা বিষয় গুলোই শেয়ার করলাম, যখন কোন ট্রেন আসে যায় তখন এই পতিতারা হাতে পাথর নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে কোন গাছের ফাঁকে, অথবা ঝোপের আড়ালে , ট্রেন থেকে তাদেরকে কেউ বিরক্ত করলে তারা ট্রেনে পাথর ছুড়ে মারে, কি ভয়ানক ব্যপার। আমার কথা হল, কে দেখবে আমাদের এই নগর সমস্যা গুলো ? তবে মাঝে মাঝে দেখি যখন কোন ভি আই পি রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে তখন রেল লাইনের ওপর পুলিশি পাহাড়া বসে, সেদিন কিছু সময়ের জন্য তাদের ছুটি । আমার ধারনা বিষয় গুলো আমাদের প্রশাসনের দৃষ্টিতে আছে কিন্তু তারা কোন স্থায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন, এটাই মুল প্রশ্ন। কিছুদিন আগে দেখলাম নেভী হেড কোয়াটারের অথবা সেনাবাহিনীর কোন একজন ঝোপ ঝাড় সব কেটে দিচ্ছে তাতে কিছুটা আসস্ত হলে ও তখন ওই সব কার্যকলাপ চলে পর্দা টানিয়ে কেউ তাদের কিছু বলে না । এই বিষয় টি নিয়ে যথাযথ কত্রিপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি । সাথে সাথে ভ্রাম্যমান সেই পতিতাদের পুনর্বাসনের দাবি জানাচ্ছি । তাছাড়া ও শুধু বনানী কেন ঢাকা ক্যন্টনমেন্ট ষ্টেশনের আশে পাশে ও চলে আসছে এই ধরনের কার্যকলাপ । রেল লাইনের পাশে পড়ে থাকে শত শত কনডম , দেখার নেই কেউই। যেন এটাই স্বাভাবিক ।
ধন্যবাদ ।
এই লেখাটি নাগরিক দায়িত্ব বোধ থেকে লেখা । কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কে হেয় করার কোন উদ্দেশ্যে নয় ।