আসুন আমাদের লক্ষ্মীপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানি ঃ
১। দালাল বাজার জমিদার বাড়ী ঃ
লক্ষ্মী নারায়ন বৈষ্ণব প্রায় ৪ শত বছর পূর্বে কলকাতা থেকে কাপড়ের ব্যবসা করতে দালাল বাজার আসেন। তার উত্তর পুরুষরা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর বাণিজ্যিক এজেন্সী এবং পরে জমিদারী লাভ করেন। বাণিজ্যিক এজেন্ট হওয়ায় স্থানীয়রা তাদেরকে মনে প্রাণে গ্রহণ করেনি। তাদের ‘দালাল’ বলে আখ্যায়িত করেন। ১৯৪৬ এর সাম্প্রদায়িক
দাঙ্গায় জমিদারগণ পালিয়ে গেলে তাদের পরিত্যাক্ত জমিদার বাড়ীটি রয়ে যায়। এটি আজ সংস্কার ও সংরক্ষণের অভাবে ধ্বংসের মুখে। প্রায় ৫ একরের এ জমিদার বাড়ীর সম্মুখের রাজগেট, রাজ প্রাসাদ, জমিদার প্রাসাদ, অন্দর মহল প্রাসাদ, বাড়ীর প্রাচীর, শান বাঁধানো ঘাট, নাট মন্দির, পুজা মন্ডপ, বিরাটাকারের লোহার সিন্দুক, কয়েক টন ওজনের লোহার ভীম প্রভৃতি দেখার জন্য দূর-দুরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে। বিচার আসন ও নৃত্য আসন কে বা কারা সম্প্রতি নিয়ে গেছে।
২। কামানখোলা জমিদার বাড়ী
দালাল বাজারের কাছেই কামান খোলা জমিদার বাড়ী। জমিদার রাজেন্দ্র নাথ দাস পুত্র ক্ষেত্রনাথ দাস ও পৌত্র যদুনাথ দাস এবং যদুনাথ দাসের পৌষ্যপুত্র হরেন্দ্র নারায়ন দাস চৌধুরী পর্যায়ক্রমে জমিদারী করেন। রায়পুর উপজেলায় তাদের জমিদারী ছিল। দালাল বাজারের জমিদারদের সাথে শখ্যতা থাকায় এ জমিদারের বাড়ীর নিকটবর্তী কামান খোলায় ভূ-সম্পত্তি ক্রয় করে জমিদারী আবাস গড়ে তোলেন। বাড়ীর সদর দরজায় খালের পাড়ের জল টংগী, লাঠিয়াল ও রক্ষী বাহিনীর আবাস, সামনে দ্বিতল লম্বা বিরাটাকারের পুজা মন্ডপ। সুরক্ষিত প্রবেশদ্বার পেরিয়ে ভেতর বাড়ীতে অপূর্ব সৌন্দর্যের রাজ প্রাসাদ। বাড়ীর অভ্যন্তরে ভূগর্ভস্থ নৃত্য ও সালিশী কক্ষ তথা ‘আঁধার মানিক’ নামে খ্যাতে কক্ষ নিয়ে নানা মুখরোচক কাহিনী রয়েছে। হাতিমারা গেছে কিন্তু সে হাতির হাড় আছে। আছে লক্ষ্মী নারায়ন দেব বিগ্রহ।
৩। তিতা খাঁ জামে মসজিদ
প্রায় ৩ শত বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত লক্ষ্মীপুর শহরের উপর তিতা খাঁ মসজিদটি শৈল্পিক কারুকার্য এবং দৃষ্টি নন্দনতার জন্য সকল সময়ে খ্যাতি লাভ করেছে। ঐ সময় হযরত আজিম শাহ (রঃ) বাগানের মধ্যে মসজিদটি আবিষ্কার করেন। খ্যাতি অনুযায়ী হিন্দু-মুসলমান সকলে উদার হস্তে দান করতেন এ মসজিদে। বর্তমানে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়ায় মসজিদটি সংরক্ষিত হয়েছে।
৪। জ্বীনের মসজিদ
দিলীর জামে মসজিদের নমুনায় প্রায় ২০০ বছর পূর্বে রায়পুরের ঐতিহাসিক জ্বীনের মসজিদ স্থাপিত হয়। অতি স্বল্প সময়ে একটি বিশেষ ডিজাইনের এ মসজিদটি নির্মাণের ফলে এটিকে জ্বীনের মসজিদ বলা হয়। শুধু তাই নয়, এ সময়ের মধ্যে সামনে দিঘী ও পাশে দিঘী কাটা, ইট তৈরী সাধ্যের অতীত ছিল। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট সু-উচ্চ প্রাচীর নির্মিত মসজিদটি নীচে দক্ষিনাংশে অন্ধকার বিরাট প্রকোষ্ট রয়েছে। যাতে সারা বছর কালো পানি থাকে। দিলী জামে মসজিদের নমুনায় নির্মিত জ্বীনের মসজিদটি সংরক্ষণ করা হলো স্থাপত্য নিদর্শন সুরক্ষিত হবে।
৫। খোয়া সাগর দিঘী
প্রায় ২৫ একর এলাকা জুড়ে দালাল বাজার সংলগ্ন খোয়া সাগর দিঘী। কুয়াশাকে স্থানীয় ভাষায় ‘খোয়া’ বলা হয়। দিঘীর বিরাট দৈর্ঘ্য-প্রস্থের ফলে এক প্রান্ত দাঁড়িয়ে অন্য প্রান্তে কুয়াশাময় মনে হত বলে এ দিঘীর নাম খোয়া সাগর দিঘী। আনুমানিক ১৭৫৫ সালে জমিদার ব্রজ বলভ রায় মানুষের পানীয় জল সংরক্ষণে এ দিঘীটি খনন করেন। এ দিঘী নিয়ে বহু উপ কথা ছড়িয়ে আছে।
৬। মটকা মসজিদ
মট্কার মতো দেখতে এক বিশালাকার গম্বুজ মাথায় নিয়ে ১২০৬ সনে জনৈক দুলুভ বানু দানকৃত অর্থে মজুপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় মটকা মসজিদ। মসজিদের ভেতরে লতা-পাতার কারুকাজ সে সময়ের গ্রাম্য স্থাপত্যের শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গির বিশেষত্বকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
৭। মজু চেীধুরী ঘাট
সুত্র ঃ এখানে পাবেন ক্লিক করুন
জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা
বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন
আত্মপোলব্ধি......
আত্মপোলব্ধি......
একটা বয়স পর্যন্ত অনিশ্চয়তার পর মানুষ তার জীবন সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়। এই বয়সটা হল পঁয়ত্রিশ এর আশেপাশে। মানব জন্মের সবকিছু যে অর্থহীন এবং সস্তা সেটা বোঝার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন
জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি !
হঠাৎ ইলিশ মাছ খেতে ইচ্ছে হল । সাথে সাথে জিভে ..জল... চলে এল । তার জন্য একটু সময়ের প্রয়োজন, এই ফাঁকে আমার জীবন থেকে নেয়া ইলিশ মাছের কিছু স্মৃতি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসছে এটা ১০০% নিশ্চিত। আমেরিকায় ইতিহাসে মহিলা প্রেসিডেন্ট হয়নি আর হবেও না।
আর এস এস সহ উগ্র হিন্দুদের লিখে দেওয়া কথা টুইট করেছে ট্রাম্প। হিন্দুদের ভোট-আর ইন্ডিয়ান লবিংএর জন্য ট্রাম্পের এই টুইট। যার সাথে সত্যতার কোন মিল নেই। ট্রাম্প আগেরবার ক্ষমতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
ট্রাম্প জিতলে কঠোর মূল্য দিতে হবে ইউসুফ সরকারকে?
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক মন্তব্যে বাংলাদেশের মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। ৫ তারিখের নির্বাচনে ট্রাম্প জিতলে আরেকবার বাংলাদেশের মিষ্টির দোকান খালি হবে।
আমি এর পক্ষে বিপক্ষে কিছু না বললেও ডায়বেটিসের রুগী হিসেবে আমি সবসময়... ...বাকিটুকু পড়ুন