বিএনপি নির্বাচন নিয়ে অস্থির হয়ে পড়েছে কিন্তু গত ১৫/১৬ বছর তারা নির্বাচন করেনি বা করতে পারেনি। গণহত্যাকারী হাসিনা যত ধরনের কুটকৌশল ছিল সবই প্রয়োগ করেছে নির্বাচনকে তার পক্ষে নিতে এবং সফলও হয়েছিল। সেই সফলতার পিছনে ছিল সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রের সমন্বিত সফল প্রয়োগ। নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনী, ম্যাজিস্ট্রেট, ইউএনও, ডিসি সহ সকলেই। গণহত্যাকারী হাসিনা 'র' এর সুনিপূন ছকে প্রতিটি পয়েন্ট, প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ যায়গাতে বিশেষ সম্প্রদায় ও আওয়ামী ক্যাডারদের বসিয়েছিল যাতে কোনভাবে কেউ বাগড়া দিতে না পারে এবং সেই সময় বিরোধী মতের কেউই সরকারী চাকুরী পেতোনা বললেই চলে।
কত নির্মম আওয়ামী দূর্শাসন।
বিএনপি হলো মাথামোটা টাইপের একটা দল। এদের না আছে রাজনৈতিক জ্ঞান, না আছে বুদ্ধিবৃত্তিক ভিশন। এরা কিসের পেছনে দৌড়াচ্ছে সেটা ১৫-১৬ বছরে জনগণ দেখেছে। এরা আলটিমেটাম, তীব্র নিন্দা, ঈদের পর সরকার হঠাও আন্দোলনের হুশিয়ারীর মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। আওয়ামীলীগের একগুচ্ছ কেশও ছিঁড়তে পারেনি। এখন তাদের নির্বাচন নিয়ে তর সইছেনা। নির্বাচন নিয়ে BNP 'র এতো তাড়া কেন? অথচ সন্ত্রাসী আওয়ামী ক্যাডাররা বিএনপিকে এক সপ্তাহের আন্দোলনেই কুপোকাত করে দিত।
জামাতের নির্বাচন নিয়ে তাড়া নেই কারণ ১৫/১৬ বছর প্রচন্ড দৌড়ের ওপর ছিল; সেই দৌড় ছিল রকেটের মতো পিছনদিয়ে প্রচন্ডবেগে গ্যাস নির্গত হওয়ায় দ্রুত দৌড়াতে পেরেছে বা দৌড়িয়েছে। গণহত্যাকারী হাসিনার সময় পুলিশ কাউকে ভিতি প্রদর্শনে বলতো "ব্যাটা জামাত বলে চালান করে দেবো"। এখান থেকে বোঝা যায় তাদের কী অবস্থা ছিল? এখন গণহত্যাকারী হাসিনার পতনের পর সবেমাত্র স্থির হয়েছে। তারা দল গোছানোই ব্যস্ত। তারা অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারকে সময়দিয়ে দল গুছিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্পপ্নে বিভোর, তারা এমন অলিক স্বপ্ন দেখছে যে, বিএনপিকে কোন পাত্তাই দিচ্ছেনা অথচ জামাত আগামী ৫০ বছরেও ক্ষমতায় যেতে পারবে বলে কেউ বিশ্বাস করেনা এবং আমিও করিনা।
নির্বাচনের জন্য জাতিকে প্রস্তুত করাই অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান কাজ কারণ তরুণ প্রজন্ম ভোট কী তা এখনো বোঝেনা অর্থাৎ তারা ভোট দেওয়া কোন সুযোগই পায়নি। জাতিকে প্রস্তুত করতে সময় প্রয়োজন। গণহত্যাকারী হাসিনা যেভাবে বিচার বিভাগ, প্রশাসন বিভাগকে দলীয়করণ করেছে সেটা ঠিক করতে কমপক্ষে ২ বছর সময় দরকার ভালো হয় আরো কিছু সময় দিলে।
ড. ইউনূসকে পরামর্শ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র এই ব্যাপারে মোটামুটি নিশ্চিত সেই সংগে আছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তথা পশ্চিমারা তাই ইউনূসের পক্ষে ভুলকরার সম্ভাবনা কিছুটা কম। তবে আমেরিকার নির্বাচনে যদি ট্রাম্প ক্ষমতায় আসে তাহলে ড. ইউনূসের জন্য সমস্যা হতে পারে। সে যাই হোক, দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে দূষনমুক্ত করে সুশাসন প্রতিষ্টা করতে না পারলে ছাত্র/জনতার বিপ্লব বিফলে যাবে এবং আবারো কোন হায়েনার দল দেশকে গিলে খাবে।
প্রতিদিন পত্রিকা খুললেই চোখে পরে আওয়ামীলীগের উমুক নেতা এতো হাজার কোটি টাকা লুট করেছে তুমুক নেতা একলাখ কোটি টাকা পাচার করেছে, অমুক পুলিশ কর্মকর্তা এতো হাজার কোটি টাকা কামিয়েছে, অমুক পুলিশ কর্মমর্তা দেড় হাজার বিঘা জমি কিনেছে স্ত্রীর নামে, অমুক আয়কর কর্মকর্তা এতো হাজার কোটি টাকা কামিয়েছে এগুলো বন্ধ করতে হলে অবশ্যই অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারকে সময় দিতে হবে নচেৎ যে লাউ সেই কদু হয়ে যাবে।