১৮৪৬-১৮৪৮ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেমস কে পোলকের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র প্রথম যুদ্ধে লিপ্ত হয়। তারপর ১৮৯৮ সালে স্পেনের সঙ্গে, ১৯১৪ সালে ইউরোপে যুদ্ধ শুরু হলে যুক্তরাষ্ট্র ১৯১৭ সালের ২ এপ্রিল জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে যা ১ম বিশ্বযুদ্ধে নামে পরিচিত, ২য় বিশ্বযুদ্ধে ১৯৪১ সালের ৭ ডিসেম্বর পার্ল হারবারে জাপানিদের বিরুদ্ধে পারমানবিক বোমা বর্ষণের মাধ্যমে মিত্রজোটে যোগ দেয় যুক্তরাষ্ট্র যা ইতিহাসে প্রথম পারমানবিক বোমার ব্যবহার, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হ্যারি এস ট্রুমানের নেতৃত্বে ১৯৫০ সালে কোরিয়ান যুদ্ধ, ১৯৫৫-১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ভিয়েতনাম যুদ্ধ, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে (যা ৯/১১ নামে পরিচিত) যুক্তরাস্ট্রে টুইন টাওয়ারে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার অজুহাতে আফগান যুদ্ধ এবং ২০০৩ সালের ইরাক যুদ্ধ সবই হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে।
সিনিয়র বুশ ও জুনিয়র বুশ। বাপ-বেটা মানুষ হত্যাকারী ও পৃথিবীকে জাহান্নাম বানানোর কারিগর। এরা দুই বাপ-বেটা দুনিয়াটাকে জাহান্নাম বানিয়েছে। স্কাড ক্ষেপনাস্ত্রের অজুহাতে সাদ্দামের ইরাককে ছিন্নভিন্ন করে অন্তত ১০০ বছর দেশটাকে পিছিয়ে দিয়েছে কিন্তু ক্ষেপনাস্ত্রে কনাও খুঁজে পায়নি মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসরাইলের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। তথাকথিত টুইন টাওয়ার হামলা এবং এর হামলাকারীকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে আফগানিস্থানকে তছনছ করে এর জনগনকে ভিক্ষুকে পরিনত করেছে এবং এর পরে তারই ধারাবাহিকতাই আমেরিকা লিবিয়াকে ধ্বংস করেছে এবং পরিশেষে সিরিয়া ও ইয়েমেন ধ্বংস করছে। বাপ-বেটার এই তান্ডবে আগে পৃথিবীর কোথাও কোন জঙ্গি জঙ্গি নাটক ছিলনা, ছিলনা তালেবান, আলকায়দা, আইএসআই। এখন পুরো পৃথিবীটা যেন এক রক্তাক্ত ভুখন্ড। হিংসাক্তক অবস্থা বিরাজ করছে সর্বত্র। তাহলে এই চরমপস্থা বিকাশের মূলে কে? এই চরমপন্থা বিকাশে আমেরিকা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দায়ী।
সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের শিকারদের আত্মীয়দের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার অজুহাতে প্রায় ৭শো কোটি ডলার আফগান অর্থ বাজেয়াপ্ত করেছে কিন্তু আমেরিকার আক্রমনে আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন, লিবিয়া ও সোমালিয়ায় যে কয়েক কোটি জনগণ ভিক্ষুকে পরিনত হলো তার ক্ষতিপূরণ দেবে কে?
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৩৭