somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঠাট্টা ঘটনা

২৯ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কোনপ্রকার ভুমিকা ছাড়াই তিনখান গপ্প শুনাই আপনাগো,সাথে একখানা কৌতুক ফ্রী!! এই রমজানে সবখানেই ফ্রী দিতাছে আমি কেন দিমুন না।
১।
আমার অফিসের বস আমারই বড় ভাই,তো উনি একদিন আমাকে বল্লেন অফিসের লোকেশনটা বদলানো দরকার কিছু নতুন লোকেশন দেখে আয়। উনার কথামত ভিবিন্ল এলাকায় ঘুরাঘুরি করে অনেকগুলো TO-LET খুজে বেড় করে লোকেশন দেখে আসলাম। যেখানে অফিস স্পেসের মালিক পাওয়া গেল সেখানে সরাসরি আলাপ আলোচনা করে আসলাম,আর যাদের পাইলাম না তাগো ফোন নম্বর নিয়া আসলাম। এরপর অফিস ছুটির পর ঘরে গিয়া খাতা কলম নিয়া বসলাম। একে একে নম্বর গুলোতে কল করে বিস্তারিত নিচ্ছি। প্রথমজন কে কল দিয়া বল্লাম
-হ্যালো ভাই TO-LET দেখে ফোন করছি, তা কত ভাড়া চাইতেছেন,কয়টা রুম,কিচেন আছে কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি।
সেই লোক বলতেছে আর আমি লিখতাছি।
তিনটা রুম,একটা কিচেন,এতটাকা ভাড়া আর দুইখানা টয়লেট আছ।
সব শেষে যখন টয়লেট এর কথা লিখছি তখন আমার মাথায় টয়লেট শব্দটা ঢুইকা গেছে। এরপরের জনকে কল দিয়েই বল্লাম
-হ্যালো ভাই টয়লেট দেখে ফোন করছি.....সরি সরি টুলেট দেখে ফোন করছি।
অপরপ্রান্ত থেকে সেইলোকটাও হাসতে শুরু করছে,আর এদিকে আমি লজ্জায় লাল টুকটুকে হয়ে গেছিলাম:">

২।
দুনিয়ায় অভাব জিনিসটা সবখানেই আছে, তয় ফকিরাপুল মোরের কাছে যদি কেউ আসেন তাইলে বুঝবেন এইখানে পাগল আর ফকিরের কোন অভাব নাই। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমার অফিসটাও এদিকে। অফিস থেকে বেড় হইলেই পাগল আর ফকিরের জালায় অতিষ্ট হইয়া যাইতে হয়। একদিন অফিস থেকে বেড় হয়ে মতিঝিলে যাইতেছি পায়ে হাইটা। ফুটপাত দিয়ে হাটতেছিলাম, কিছুদুর যাওয়ার পর দেখি অপরপাশ থেকে চট এর বস্তা গায়ে দেয়া ময়লা চয়লা মাখানো এক পাগল আসতেছে। দেইখাই আমি পুরা বিব্রত। পাগলটার সামনাসামনি হওয়ার সাথে সাথেই সে আমার দিকে হাত বাড়াইয়া জোরসে বল্ল -হে বাদশা...
আমি পুরাই ভরকাইয়া গেলাম। কোনমতে তারে এড়াইয়া সামনের দিকে অগ্রসর হইয়া গেলামগা। ঠিক আরামবাগের কাছাকাছি আসার পর দেখি অপরপাশ থেকে সেইম একই টাইপের আরেকখান পাগল আসতেছ।এইবার আমার মাথায় কুটিল বুদ্ধি আসতে শুরু করল। ভাবলাম আগেরবার আমারে ভরকায় দিছে এইবার আমি দিমু।
মনে মনে পুরা প্রস্তুতি নিয়া হাটতেছি। ঠিক যখন সামনাসামনি হইলাম পাগলটা আমার দিকে হাত বাড়াইয়া জোড়ছে কইল -হে পাগলা!.......
আমিও তৎক্ষনাৎ তার মুখ বড়াবড় আঙ্গুল তুইল্লা জোড়ছে কইলাম
-তুই পাগলা!.....
এইবার মনে হইল পাগলটা টাসকি খাইয়া সপ্তম স্তরে চইলা গেছে। সে আমার দিকে হা কইরা তাকায় রইল। আমি তারে ক্রস কইরা সামনের দিকে অগ্রসর হইলাম। কিছুদুর গিয়া পিছন ফিরা তাকায় দেখি পাগলটা ঠিক আগের মতই হা কইরা আমার দিকে তাকায় আছে:)

৩।


এইটা হইল আমার ফেইসবুকের প্রোফাইল ছবি। এই ছবি দেইখা একলোক আমারে মাইয়া মনে কইরা একদিন একখানা মেসেজ দিছিল। মেসেজটা হইল "তোমাকে কেউ না বাসুক,আমি ভালবাসব,কথা দিলাম"
আর মেসেজের সাবজেক্ট এর ঘরে লিখছে "ভালবাসা"
কি একখান কপাল নিয়া জন্মাইলাম। ভাবছিলাম এই ছবি দেইখা দুইচাইর জন সুন্দরী ললনা আমার প্রতি দরদ উপচায় পড়ব, তা না কোনখানকার কোন এক বেডায়.....

কৌতুকঃ একলোকের হঠাৎ সখ হইছে একখান ঘোড়া কিনবার। বিভিন্ন জায়গায় ঘোড়া দেখার পরেও তার ঘোড়া পছন্দ হয় নাই। অবশেষে এক পাদ্রীর এক ঘোড়া তার পছন্দ হইছে। পাদ্রীর সেই ঘোড়াটাই অবশেষে সে কিনল। এখন পাদ্রী তারে কইল -দেখুন আমি নিজে ধর্ম কর্ম করি,তাই ঘোড়াটাকে সেভাবেই শিক্ষা দিয়েছি। আপনি যদি ঘোড়াকে চালাতে চান তবে শুধু বলবেন ইশ্বরকে ধন্যবাদ,তাহলেই দেখবেন ঘোড়া দৌড়াতে শুরু করেছে। আর ঘোড়াকে থামানোর প্রয়োজন মনে করলে বলবেন ধর্মের জয় হোক।
লোকটি পাদ্রীর কাছ থেকে এগুলো শিখে ঘোড়ার উপর উঠেই বল্ল ইশ্বরকে ধন্যবাদ। ব্যস ঘোড়া দৌড়াতে শুরু করল। ঘোড়াটা দৌড়াতে দৌড়াতে এক সময় এক পাহাড়ের কিনাড়ায় চলে আসল। লোকটি ঘোড়ার দড়ি টেনে অনেক রকম করে চেষ্টা করতে লাগল ঘোড়াকে থামাতে,কিন্তু যতই ঘোড়ার দড়ি ধরে টানছেন ততই ঘোড়া যেন জোড়ে দৌড়াতে লাগল। অবশেষে সেই পাদ্রীর কথা তার মনে পড়ল,সাথে সাথেই তিনি বলে ফেল্লেন ধর্মের জয় হোক ওমনি ঘোড়াটি একেবারে পাহাড়ের কিনারায় এসে থেমে পড়ল। লোকটি হাপাতে হাপাতে মনের অজান্তেই বলে ফেল্ল ইশ্বরকে ধন্যবাদ!!
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:২০
৯টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×