শেয়ার বাজার ছিল উর্ধমুখি,
আলপিনের মুখছিল খুশি খুশি।
হঠাৎ পতন ঘটে গেল,
আলপিন পথের ফকির হয়ে গেল।
ফকিরাপুল মোরে বের হলেই দুই চারজন ফকির ঘিরে ধরে প্রতিদিন। কিন্তু ইদানিং ওরা যখন আমার দিকে ভাংতি টাকা পয়শার থালা এগিয়ে ধরে তখন মনে হয় ওরা আমাকেই ভিক্কা দিতে চাচ্ছে। ওদের দেখলে এখন আমার চাইতেও পয়শাওয়ালা মনে হয়।
পকেট ভর্তি টাকা ছিল,
দুই চারটা গার্লফ্রেন্ড ছিল।
অস্বাভাবিক দরপতন হয়ে গেল,
গার্লফ্রেন্ডরাও পালিয়ে গেল।
প্রেম মানুষকে সুখি করে। বেহেস্তে সর্বনিম্ন ৭০টা গার্লফ্রেনড আই মিন হুর পরি দেয়া হবে,তা নিয়ে বেহেস্তিরা সুখি থাকবে। সেই সুত্র ধরে দুনিয়ার মানুষ দুই চারটা গার্লফ্রেন্ড নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। যত বেশি গার্লফ্রেন্ড ততবেশি সুখি জীবন! আর এই গার্লফ্রেন্ড পাওয়ার জন্য প্রয়োজন পকেট ভর্তি টাকা। কিন্তু এই দরপতন আমাদের কাছ থেকে গার্লফ্রেন্ড আই মিন সুখটা কেরে নিয়ে গেল....
ব্যংক ভর্তি টাকা ছিল
গার্লফ্রেন্ডরা মোটা হচ্ছিল।
আচমকা দরপতন হল
গার্লফ্রেন্ডরাও স্লীম হল।
যারা দুই চারটা গার্লফ্রেন্ড নিয়ে নিত্য চাইনিজ কিমবা ফাষ্টফুডে খানাপিনা করে বেড়ান তারাই লক্ষ করতে পারেন গার্লফ্রেন্ডরা কেমন দিন দিন মোটা হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই দরপতন তাদেরকে খাদ্যাভাবে ভোগাচ্ছে। এমনকি তারা পুষ্টিজনিত রোগেও ভুগতে পারেন। তাই দেশের পুষ্টি সমস্যা দুর করতে অবশ্যই শেয়ার মার্কেট উর্ধমুখি করা একান্তই জরুরী.....
ব্যবসা পাতি ভালই ছিল,
বিয়ের কথাও চলছিল।
হঠাৎ দেউলিয়া বানিয়ে দিল,
হবু শশুড় ভাব নিল।
সব শশুড় রা চান তাদের মেয়েকে কোন এক টাকার কুমিড়ের নিকট বিবাহ দিতে,সে কুমিড় হোক আর জলহস্তি হোক,টাকা থাকলেই হল। সে দিক দিয়ে এতদিন শেয়ার ব্যবসায়িরা এক লোভনিয় অফার হিসেবে কাজ করত। মাগার শেয়ারের এহেন দরপতনের ফলে সেই সব শশুড়াও ভাব নিতে শুরু করছে...