*** আমরা হরহামেশাই শুনে থাকি “অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী”। কথাটা যে একেবারেই মিথ্যা নয় তা সচেতন ব্যক্তিমাত্রই অনুধাবন করতে পারবেন। কিন্তু আমার কথা হচ্ছে, অল্প বিদ্যার এই ভয়ংকর রুপ তুলে ধরে ব্যক্তির বিদ্যার্জনকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে কি না? সবাই সব কাজে স্পেশালিষ্ট হবে না আর হওয়াটা সম্ভবও নয় বোধহয়।
*** একজন আত্মনির্ভরশীল মানুষ হিসাবে আপনাকে, আমাকে সববিষয়ে অল্প বিস্তর জানতে হয়। আমি মনে করি তা সবার জন্য প্রযোজ্য। এই যেমন ধরুন, আপনি লাট সাহেবের ছেলে, মানলাম আপনার চৌদ্দ খান্দান কোনদিন কুটোগাছ ছিড়ে দুভাগ করেন নি (আঞ্চলিক ভাষায় অকর্মার পরিচয়)। ভাল কথা! কিন্তু সংসারের টুকিটাকি কাজেও যদি আপনি অকাল কুষ্মান্ডের পরিচয় দেন তো, আপনাকে আত্মনির্ভরশীল বলার আর কোন উপায় থাকবে না আমার।
*** বিষয়টা এমন নয়, আপনাকে সব বিষয়ে পারদর্শী হতে হবে? গৃহকর্ত্তীর অসুস্থ্যতায় সামান্য ডাল-ভাতের বন্দোবস্ত করা, অসুস্থ্য কাউকে সময় মতো ঔষধ খাওয়ানো, ঘরের বৈদ্যুতিক বাল্বটা, সুইচ কিংবা হোল্ডার পরিবর্তন করার মতো যোগ্যতা থাকাটা খারাপ কিছু নয়। ব্যাংক, বীমা ও বিভিন্ন আর্থিক ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ দক্ষতা থাকা উচিত প্রত্যেকেরই। আমার মতে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সামরিক বাহিনী ও আইন-আদালত সম্পর্কে একটা বেসিক ধারনা থাকতেই হবে সকলের। এসবই হচ্ছে ব্যক্তির নিজস্ব নুন্যতম যোগ্যতা। সহজ কথায় অল্পবিদ্যা আর কি!!!
*** তবে হ্যা, অল্প বিদ্যা সবসময়ই খারাপ নয়, খারাপ হলো এর যত্রতত্র প্রয়োগ। অল্পবিদ্যার প্রয়োগের তারতম্যের কারনেই এটি কখনো মানব কল্যানে লাগতে পারে আবার কখনো ভয়ংকর রুপও নিতে পারে।
02/05/2016 খ্রিঃ, পাবনা।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫