হরতালে এভাবেই পিকেটিং চলে। এখন আর সরাসরি গাড়ী আটকে ভাঙ্গা হয় না। হামলা হয় চোরা পথে। আজকের হরতালে অফিসে আসার পথেও তাই দেখলাম। বাংলা নিউজ ২৪.ডটকমে ছবিটা দেখে সকালে নিজ চোখে যা দেখলাম তা মনে পড়ে গেল। হরতালেও আজকাল মানুষ আর ঘরে বসে থাকে না। প্রতিদিন যেখানে নূন্যতম পাঁচশত টাকার কম সংসার চলে না,সেখানে ঘরে বসে থাকা দায়।
এমন তো হতে পারে যারা পিকেটিং করছে তার বা তাদের আত্বীয় স্বজনও সেই গাড়ীতে থাকতে পারে। আত্বীয় স্বজন না থাকলেই বা কি সবাই তো মানুষ। হরতালকারীদের আক্রমনাত্বক পিকেটিং না করে হরতাল করার বিষটি ভাবা দরকার।
তাই আমার মত অনেকেই জীবন ও জীবিকার তাগিদে হরতালের মধ্যেও রাস্তা-ঘাটে বের হয়। হরতাল বিষয়ে আমি কিছু বলছি না, কারণ হরতাল যেহেতু গণতান্ত্রিক অধিকার। তাই এ বিষয়ে আমার বলার কিছু নেই। পিকেটিং এর চিত্রটির কথা এবার বলি - রাস্তায় বেড়িয়ে দেখি রিক্সা চলাচল করছে। তাই রিক্সায় উঠলাম। প্রতিদিন অটোতে আসা-যাওয়া করি। আজকে অটোরিক্সা কম থাকায় রিক্সায় উঠতে বাধ্য হই। কিছুদূর আসার পর শুনতে পেলাম কাঁচ ভাঙ্গার শব্দ। তাকিয়েই দেখি অটোরিক্সা । ভাঙ্গা গ্লাস নিয়ে দাড়িয়ে পড়ল,লোকজন ছুটে আসলো, আমাকে বহনকারী রিক্সাওয়ালা দাড়িয়ে গেল আমিও আর রিক্সায় না বসে থেকে ঘটনার দিকে এগুলাম। কাঁচ ভেঙ্গে চালকের কপাল থেকে রক্ত ঝরছে। পায়েও আঘাত পেয়েছেন কেটে গেছে, পা থেকেও ঝরছে রক্ত। লোকজন তাকে রিক্সায় করে হাসপাতালে রওনা দিল তারপর যথারীতি গন্তব্য স্থানে। আসার পথে ভাবলাম এমন তো অনেকের জীবনেই ঘটতে পারে.......