“ চিকিৎসা বিজ্ঞান বুদ্ধি-বিবেচনাহীন বর্বরদের জন্য সৃষ্টি হয়নি, সৃষ্টি হয়েছে জন কল্যাণের জন্য।”
—ডাঃ হ্যানিম্যান
“অসৎ লোকের কাছে মাথা নত করো না, সাহসের সঙ্গে তাদের মোকাবিলা করো।”
-ডাঃ হ্যানিম্যান
“যারা মিথ্যা কথা বলে তারা যেন আমার হোমিওপ্যাথিক ঔষুধের বাক্স স্পর্শ না করে।”
—ডাঃ হ্যানিম্যান
“আমরা যদি নিজেদের প্রতি বিশ্বস্ত থাকি, তবে ওরা তোমাদের কোন ক্ষতি করতে কিম্বা সৎকর্মে বিন্দুমাত্র হানি ঘটাতে পারবে না। কারন যা ভাল, তা চিরকালই ভাল থাকে।”
—ডাঃ হ্যানিম্যান
“তোমার যদি শেষ কপর্দকটিও খরচ হইয়া যায়, তবুও আনন্দে ও সুখে থাকিও। ঈশ্বর আমাদের উপর লক্ষ্য রাখিতেছেন এবং একটি সৌভাগ্যপূর্ণ সুযোগে আমাদের সবকিছু পুনরায় ঠিক হইয়া যাইতে পারে।”
—ডাঃ হ্যানিম্যান
“পীড়িতের ব্যাধি নিরাময় করাই তোমাদের একমাত্র মহৎ উদ্দেশ্য, এটি যেন সর্বদাই মনে থাকে, অর্থের লোভে তোমাদের উচ্চ আদর্শ নষ্ট করো না এবং অর্থই যদি তোমাদের একমাত্র কাম্য হয়, তবে শয়তানের রাজপথ পড়ে আছে সেখানে যাও; আমার হোমিওপ্যাথিতে নয়।”
—ডাঃ হ্যানিম্যান
“সৎকর্মের সম্পাদন ছাড়া কোন অধিকতর সুখ আর আছে কি? -ডাঃ হ্যানিম্যান
“প্রতিযোগীতায় জয়লাভ করতে হলে, দ্রুততার প্রয়োজনই সব কিছু নয়। একটু উদাসীনতা, শীতল প্রকৃতি এবং শান্তভাব অর্জনের চেষ্টা করো; তাহলেই কেবল আমি যা চাই তুমি তাই লাভ করবে।”
—ডাঃ হ্যানিম্যান
“যদি তুমি দার্শনিক হও, তবে স্বাস্থ্যবান হয়ে দীর্ঘজীবনের অধিকারী হতে পারো। কোন কিছু তোমায় যদি বিরক্ত করে তবে তার প্রতি নজর দিও না; কোন কিছু যদি তোমার পক্ষে খুব বেশী মনে হয়, তবে সে বিষয়ে তোমার কিছুই করণীয় নেই; তোমায় যদি কেউ তাড়া দিয়ে চালাতে চায়, তুমি তাতে মোটেই ব্যস্ত হবে না এবং যারা তোমায় অসুখী করতে চায়, তুমি সেই মূর্খদের প্রতি ব্যঙ্গ হাস্য করো। যা তুমি আরামের সঙ্গে করতে পার, শুধু তাই করবে; আর যা তুমি করতে পারবে না। তার জন্য তুমি নিজেকে বিব্রত করো না।”
—ডাঃ হ্যানিম্যান
“ আমাদের মূল্যবান সময় বাঁচাতে এবং আমাদের মর্য্যাদাকে উন্নত করতে, আমরা কখনও কোন চিররোগীর বাড়ীতে গিয়ে রোগী দেখিব না। এমন কি সে যদি রাজপরিবারেরও হয় এবং আমাদের কাছে আসতে সক্ষম হয় তবে তাকেই আমাদের নিকট আসতে হবে।
আমরা কেবল মাত্র অচির রোগীদের এবং যারা শয্যাশায়ী হয়ে আছে শুধু তাদের গিয়ে দেখে আসব।”
—ডাঃ হ্যানিম্যান
“ রোগী যখন ওষুধ বা পরামর্শের জন্য তোমার কাছে আসবে, তোমার পরিশ্রমের জন্য প্রতিবারই তার নিকট হতে কিছু লইবে। সে যাই হোক, দরিদ্র হলে ৬ বা ৮ গ্রশ্চেন বড়লোক হলে থেলার। অর্থে সাহস আনে, সে মোটা টাকা না হলেও। আমার যা প্রাপ্য সেটা যদি আমার পকেটে আসে, এটা মনে করতে পারি, আমি অহেতুক পরিশ্রম করছি না, আমি কারো দয়ার ওপর নির্ভরশীল নই, এবং পরিশ্রম করেও কিছুই পাব না, এরূপ মনোকষ্ট থাকবে না।
-ডাঃ হ্যানিম্যান
“জীবন যখন সঙ্কটাপন্ন তখন জ্ঞানহীনতা বা অজ্ঞতা মহা অপরাধ।”
—ডাঃ হ্যানিম্যান
“চিকিৎসা নীতির জ্ঞানলাভে অবহেলা চিকিৎসকের পক্ষে অতি ভয়ানক অপরাধ।”
—ডাঃ হ্যানিম্যান
“ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা আধ্যাত্মিক প্রকৃতির। চিকিৎসক অত্যন্ত নির্মল ও পবিত্র না হইলে তাহার মধ্য দিয়া ঈশ্বরের করুনা রোগীর দেহমধ্যে সঞ্চারিত হইতে পারেনা”
-ডাঃ হ্যানিম্যান
“চিকিৎসকের মহৎ এবং একমাত্র উদ্দেশ্য হইতেছে অসুস্থ ব্যাক্তিকে তাহার পূর্ব সুস্থতা অবস্থায় ফিরাইয়া আনা এবং ইহাকেই প্রকৃত আরোগ্য বলা হয়।”
-ডাঃ হ্যানিম্যান
“ যখন আমরা স্বার্থ-চিন্তা মুক্ত থাকি, ঠিক তখনই আমাদের শ্রেষ্ঠতম কাজ সমাধা হয়।”
-ডাঃ হ্যানিম্যান
“আমি যখন কোনও কিছু আমার জ্ঞাত বিষয় অপেক্ষা ভালো পাই, তখনই আমি তাহা গ্রহণ করি।”
-ডাঃ হ্যানিম্যান
“ এই (হোমিওপ্যাথিক) শাস্ত্রের প্রতি বিশ্বস্ত থাকিও, পরিবর্তন ঘটাইওনা।”
-ডাঃ হ্যানিম্যান
“ তোমার দৈহিক ক্ষমতার অতিরিক্ত কর্ম করিওনা অথবা অতি তাড়াহুড়ো করে কোনও কার্য্য করিতে যাইও না।”
-ডাঃ হ্যানিম্যান |
“ বুদ্ধিমান ব্যক্তি প্রথমত স্বীয় কল্যাণ সাধণ করিয়া থাকে, যাহাতে সে পরে অপরের কল্যানার্থে আপনাকে অধিকতর উপযুক্তভাবে নিযুক্ত করিতে পারে।”
-ডাঃ হ্যানিম্যান
“তুমি আরও দৃঢ় হও। বরং অর্থকষ্ট ভোগ কর (সম্ভবত তাহা হইবে না), তবুও আপনার সন্মানকে বিন্দুমাত্র খাটো করিও না কিম্বা যে শাস্ত্র (হোমিওপ্যাথি) তুমি অধিগত করিয়াছ, তাহার সম্মানহানি করিও না।”
-ডাঃ হ্যানিম্যান
“ তোমার সময়সূচী সযত্নে প্রস্তুত কর। প্রতিটি ঘন্টাই নষ্ট হইয়া যাইবে, যদি না আমরা ঐ সময়ে নিজের বা অপরের কল্যানের জন্য ব্যয় না করি। এটা এরূপ অপূরনীয় ক্ষতি যে, সূক্ষ্ম বিবেক কখনই আমাদিগকে ক্ষমা করিবেনা।”
-ডাঃ হ্যানিম্যান
“ আমি যখন ঈশ্বরের সৃষ্টি সম্পর্কে চিন্তা করি তখন তাহাকে ধন্যবাদ না দিয়া এবং প্রশংসা না করিয়া থাকিতে পারিনা।”
—ডাঃ হ্যানিম্যান
“অভিজ্ঞতায় যদি দেখ আমার পদ্ধতিই শ্রেষ্ঠ, তবে মানব কল্যানে ব্যবহার করো, আর যা কিছু গৌরব তা ঈশ্বরকেই দাও”
—ডাঃ হ্যানিম্যান
“আমার পদ্ধতি অনুসরণ করিতে চেষ্টা করো, কিন্তু অন্ধ অনুসরণ করো না; সাফল্যটুকু গ্রহণ করবে এবং বিফলতা নির্ভিক চিত্তে প্রকাশ করে দাও”।
-ডাঃ হ্যানিম্যান
আরোগ্যের সর্বোচ্চ আদর্শ হচ্ছে স্বাস্থ্যের দ্রুত, শান্ত এবং স্থায়ী পুনরুদ্ধার অথবা সবচেয়ে অল্প সময়ে, সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এবং সবচেয়ে নির্দোষভাবে, সহজে বোধগম্য নীতিভিত্তিক ব্যাধিকে এর সামগ্রিক পরিসরে অপসারণ এবং আরোগ্য করা।
-ডাঃ হ্যানিম্যান
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১২