নিম্নোক্ত বিষয়গুলো যারা আয়ত্ব করতে পেরেছেন প্রকৃতপক্ষে তারাই সুপথগামী....
১। অর্থাভাবে থেকেও ধনীর মত আচরন তথা অন্যকে সাহায্য করতে চেষ্টা করে।
২। ক্ষুধার্থ থেকেও অন্যকে বুঝতে না দেওয়া এবং অন্যরা ঠিকমত খেয়েছে কিনা খোজ-খবর করা।
৩। নানা কষ্টের ভিতরও সুখীর তৃপ্তি প্রকাশ তথা সবসময় হাসি-খুশি থাকা, মজা করা, ছেলেমানুষী করা।
৪। যাকে খুবই অপছন্দ(শত্রু) করে তার সাথেও বন্ধুর মত আচরন এবং দেখা হলেই তার ভাল-মন্দের খোজ খবর করা।
৫। অন্যের কোন দোষ বা দুর্বলতা দেখেও বেমালুম চেপে যাওয়া এবং এমনভাব করা যেন সে তা জানেই না।
৬। অন্যের সম্পত্তি হাতে পেয়েও তাকে তা ফেরত দেওয়া এবং অসাবধনতার জন্য তাকে সদুপদেশ দেওয়া।
৭। পরিচিত যারা সামনে পড়বে তাদের সালাম দেওয়া এবং তাদের শারিরিক-পারিবারিক-আর্থিক খোজ-খবর নেওয়া।
৮। ঘনিষ্ট কেউ অসুস্থ হলে তার পাশে থাকা এবং তাকে সাহায্য করা, তার জন্য দোয়া করা।
৯। সৃষ্টিকর্তার ভয়ে যৌনাঙ্গ হেফাজত করা, মিথ্যা না বলা এবং কারো হক নষ্ট না করা।
১০। গভীর রাতে ইবাদত এবং ভাল-মন্দ প্রতিটা ক্ষেত্রে সারাদিন সৃষ্টিকর্তার শুকরিয়া প্রকাশ করা।
মিলিয়ে দেখুন কয়টা আছে আর কয়টার ঘাটতি আছে আপনার?
এগুলো রপ্ত করা খুব কঠিন কিছু নয়। তবে ফলাফল নিশ্চিত জেনে রাখবেন।
সবশেষে আর একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে রাখি, সেটা হলো পিতা-মাতায় ভক্তি। এব্যপারে আমি কিছু বলবো না বা ইসলাম কি বলে সেটাও বলবো না বরং শ্রীকৃষ্ণের একটি বানী বলি,
শ্রী কৃষ্ণ কহিলেন.... ভগবান রুষ্ট হলে মাতা-পিতা রুখিতে পারে কিন্তু মাতা-পিতা রুষ্ট হলে ভগবানও যে রুখিতে না পারে |
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:১১