শুরুতেই আল্লাহ তায়ালা তিনটা পথ সম্পর্কে আমাদের বলেছেন.............
১) যে পথে গেলে সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ পাওয়া যাবে
২) যে পথে গেলে আল্লাহর গজব নাজিল হবে
৩) যে পথে গেলে একজন মানুষ পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে
কিভাবে চিনবো-জানবো সে পথগুলো, কিভাবে বুঝবো আমরা কোন পথে আছি? আল্লাহ নিজেই পরবর্তীতে বলেছেন ধারাবাহিকভাবে সেই সকল পথের এবং পথিকের ব্যপারে.....
ঠিক তার পরেই বলেছেন......
এই সেই পুস্তক(কুরআন) যাতে কোনই সন্দেহ নেই এটাই পথ প্রদর্শনকারী আল্লাহভীরুদের জন্য।
(অর্থ্যাৎ এই কিতাবের দ্বারাই পথ পাওয়া সম্ভব এটা নিশ্চিত। যে পথ খুজে তাকে এই বই ভালোভাবে জানতে হবে, বুঝতে হবে তবে সে পথ পাবেই)।
* মানুষ যেন ভূল পথে না যায় তার জন্যই এই পুস্তক অবতীর্ণ করা হয়েছে, এত নবী-রসুল পৃথিবীতে প্রেরন করা হয়েছে শুধুমাত্র যেন মানুষ ভূল পথে না যায় তার উদ্দেশ্যেই, মানুষকে সঠিক পথ বাতলে দেওয়ার জন্য। বিভিন্নভাবে বিভিন্ন উপদেশ, সতর্কতা এবং ঘটনা বর্ননা করেছেন এই একটাই কারনে। তাই আল্লাহ অনেকবারই বলেছেন- এই কিতাব হলো পথপ্রদর্শক। আর সঠিক পথ কিন্তু একটাই।
তারপরেই আল্লাহ ৩টি পথ ও তাদের পথিক কারা তা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন............
১ নং পথ (যে পথে গেলে সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ পাওয়া যাবে বা যেটা সরল-সঠিক-সুপথ) – এবং তারা কারা?
-যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে (তারমানে আল্লাহ ও তার ফেরেস্তা, ভাগ্যলিপিসহ সেই সকল বিষয় বুঝিয়েছেন যা আমরা দেখিনা)
এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে (তারমানে নামায পড়তেই হবে, এখানে্ই বোঝা যায় নামাযের গুরুত্ব)।
আর তাদের যে রুজি দান করেছি তা থেকে তারা ব্যয় করে (অর্থ্যাৎ যেটুকু উপার্জন আল্লাহ তাকে দিয়েছেন তা থেকেই কিছুটা অন্যের জন্য বা ভালো কাজে খরচ করে, তা যতই অল্প উপর্জান তার হোক না কেন)
এবং আপনার উপর যা অবতীর্ণ তাতে বিশ্বাস করে ( মুহম্মদ(সঃ) এর উপর অবতীর্ণ কুরআন ও তার জীবন বিধান হাদিস এর বিষয়টা আমরা এখানে মনে করতে পারি)
এবং বিশ্বাস করে পূর্ববর্তীদের উপর অবতীর্ণ কিতাব (ইহুদি, খ্রীষ্টান বা অন্যধর্মের ব্যপারগুলো তথা তাদের ধর্মীয় পুস্তকসমুহ বিশ্বাস করতে হবে। তাদের নির্দিধায় ধর্ম পালন করতে দিতে হবে)
আর যারা আখেরাত নিশ্চিত বলে দৃঢ় বিশ্বাস করে (অর্থ্যাৎ একদিন তার কৃতকর্মের হিসাব তাকে দিতেই হবে বলে যারা স্থির বিশ্বাস রাখে) ।
তারাই সুপথপ্রাপ্ত, তারাই সফল।
২য় নং পথ ( যে পথে গেলে আল্লাহর গজব নাজিল হবে বা কঠোর শাস্তির পথ) – এবং তারা কারা?
-নিতান্ত কাফের, তাদের ভয় প্রদর্শণ করুন আর নাই করুন, তাতে কিছু আসে যায় না। তারা ঈমান আনবে না ( তারা হবে অধার্মিক ও অসৎ এবং আপনি তাদের যতই ভাল কথা বলেন না কেন তারা ভাল হবে না বা পরিবর্তন হবে না)।
আল্লাহ তাদের অন্তঃকরন এবং তাদের কান বন্ধ করে দিয়েছেন আর তাদের চোখসমুহ পর্দা দিয়ে ঢেকে দিয়েছেন ( তারমানে তারা বুঝবে এবং শুনবে আর দেখবে কিন্তু পুরোপুরি অনুধাবন করতে পারবে না বরং বোঝা, শোনা এবং দেখা বিষয়গুলো ফুৎকারে উড়িয়ে দেবে স্বেচ্ছায়-স্বজ্ঞানে। হয়তো মহান আল্লাহ যে কোন কারনে হোক তাদের শাস্তির স্বাদ আস্বাদন করাতে চান)।
তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।
৩য় নং পথ (যে পথে গেলে একজন মানুষ পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে বা ভুল পথ) – এবং তারা কারা?
এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ এবং বেশীরভাগ মানুষ এই পথেই একটা সময় ঢুকে পড়ে, এই পথেই মানুষ ঈমান হারায়। এই পথ যদি আপনার চেনা তাকে তবে আপনি আর ভুল পথে যাবেন না বরং সঠিক পথ থেকে আপনাকে কেউ বিচ্যুত করতে পারবে না।
তবে আমি এখানে সেই পথ সম্পর্কে কিছু বলবো না। যাদের ইচ্ছা আছে এই পথ সম্পর্কে জানার দয়া করে তারা নিজ গরজে নিচের লিংক থেকে বাংলা কুরআন বঙ্গানুবাদ ডাইনলোড করে পড়ে নিন। সুরা বাকারাহ এর ৮ থেকে ২০নং আয়াত পড়লে আপনারা ধারনা পাবেন।
ধন্যবাদ
https://d1.islamhouse.com/data/bn/ih_books/single/bn_bengali_easy_translation_of_holy_quran.pdf
(বাংলা কুরআনের ওয়ার্ড ফাইল (ফন্ট SutonnyMJ)
https://drive.google.com/file/d/0B9kTIrST8W7bYWp5TlpuS0lYRlU/view?usp=sharing
(গিরিসচন্দ্র সেন রচিত প্রথম কুরআনের বঙ্গানুবাদ)
http://www.mediafire.com/?jfndmot1lkiqnnm
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০