নিজের ভিতরটা বদলান পৃথিবী বদলে যাবে.....
মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে শুরু করে দিন ধ্যান
সুস্থ থাকতে চাইলে শুরু করে দিন ধ্যান
উন্নতি করতে চাইলে শুরু করে দিন ধ্যান
জীবন উপভোগ করতে চাইলে শুরু করে দিন ধ্যান
সুখী হতে চাইলে শুরু করে দিন ধ্যান
ধ্যান এমন একটি ব্যপার যার প্রত্যেক ভাঁজে ভাঁজে শুধুই উপকার আর উপকার
সকল ধর্মেই ধ্যানের ব্যপারে বিশেষভাবে উল্লেখ করা আছে।
ধ্যান খুবই সহজ একটি কাজ। এরচে সহজ কাজ এই পৃথিবীতে আর আছে বলে আমার মনে হয়না।
আমরা ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে একসাথে অনেক ব্যপার নিয়ে আমাদের মনকে ব্যস্ত রাখি। ধ্যানের সময় আমরা যে কোন একটা ব্যপার নিয়ে ভাববো, সেই ব্যপারটা নিজের অন্তর চক্ষু দিয়ে দেখতে চেষ্টা করবো।
নয়তো কিছুই ভাববো না, চোখ বন্ধ করে নিজের নাকের ভিতর যে বাতাস যাচ্ছে আর আসছে সেটা খেয়াল করবো,
অথবা চোখ বন্ধ করে ১০০০, ৯৯৯, ৯৯৮..... ২, ১, ০ পর্যন্ত গুনবো।
মোট কথা চিন্তা-ভাবনাগুলোকে সীমিত করবো নয়তো একেবারে বেধে ফেলবো, এটাই ধ্যান।
প্রথম প্রথম নিজেই অবাক হবেন যে আপনার চিন্তা-ভাবনার উপর আপনার নিয়ন্ত্রন কতো কম, বারবার নানা চিন্তা মাথায় এসে ভিড় করবে, বারবার সেগুলো ঝেটে বিদায় করবেন। ৪ থেকে ৭ দিনের ভিতর আপনার ভাবনায় একটা নিয়ন্ত্রন চলে আসবে, তখন পাবেন আসল মজা এবং তখন থেকেই শুরু হবে আপনার নতুন জীবন। এরপর যা চাইবেন মনকে বলবেন মন তাই করে দেবে। সুখ আর সুস্থতা আর ভালো লাগা এই ৩টি জিনিস আপনার নিত্যসঙ্গী হবে, আপনি বিশ্বাস করুন আর নাই করুন।
তবে কখনো ধ্যানের ভিতর অন্যকে বা অন্যের মনকে নিয়ন্ত্রন করতে যাবেন না, এটা বিপদজনক হতে পারে। কেননা ধ্যান সম্পূর্ন প্রাকৃতিক ব্যপার আর প্রকৃতি অন্যের ব্যপারে নাক গলানো পছন্দ করে না।
ধ্যান যে কোন অবস্থাতেই করা যায়, দাড়িঁয়ে, বসে, শুয়ে (তবে হেঁটে হেঁটে না করাই ভালো)। যে কোন সময়, খাবার আগে বা পরে, সকালে বা বিকালে বা রাতে এবং যতক্ষন ইচ্ছা। ধ্যানের কোন বিধি নিষেধ নেই। তাই যখনই সুযোগ পাবেন একটু ধ্যান করে নিবেন। প্রতিদিনের ৫মিনিটের ধ্যানও আপনাকে দিতে পারে একটি নিয়ন্ত্রিত সুশৃংখল জীবন। অনাবিল প্রশান্তি। যা আপনি লাখ লাখ টাকা খরচ করেও একবিন্দু পাবেন না।
আপনার জীবন শুধুই আপনার, কিন্তু নিয়ন্ত্রনকারী কি আপনি? নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে শিখুন এবং অর্জন করুন সারা পৃথিবীর সুখ-শান্তি। কারন আপনার সুখ-শান্তি অন্য কোথাও নয় আপনার ভিতরেই বাস করে।
মনে রাখবেন.....পৃথিবীতে যা কিছু মানুষের জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ত্বপূর্ন তা প্রভু খুব সহজলভ্য ও বিনা খরচে দিয়ে রেখেছেন।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০৯