জনগণের মৌলিক অধিকার নিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক আন্দোলন ই সংগঠিত হচ্ছে না। যার ফলাফলে জনসাধারণের জীবনের অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে, বৃদ্ধি পাচ্ছে নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত জীবিকাধারীদের বিড়ম্বনা। আজ বিভিন্ন বিরোধী দলগুলো জনগণের দৈনন্দিন দুর্দশার কথাগুলো তাদের এজেন্ডা থেকে মুছে দিয়ে ঠিক সেই পথেই হাঁটছে যে পথে ক্ষমতা লাভ করা যায়। এবং ক্ষমতা ধারীরা যারা সরকারে বসে থাকেন তারা তাদের জনপ্রিয়তা ধরে রাখায় সচেষ্ট থাকেন শুধু মাত্র বিরোধী দলগুলোর নেতিবাচক বাজনা বাজিয়ে। সম্প্রতি যে রাজনৈতিক সংস্কৃতির চর্চা দেখা যাচ্ছে তা শুধু আইন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অপব্যবহার সেই সাথে ক্ষমতায় ফিরে আসার নির্মম কৌশল যার ভুক্তভোগী এই বাংলাদেশ।
রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ম করে এই খেলা খেলে যেতে পারছেন, শুধু একটি কালো কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমেই।
সেটি হচ্ছে তরুণ সমাজকে ২টি মতে বিভক্ত করা, যেহেতু যখনি তরুণ সমাজ এক হয়েছে তখনি বাংলাদেশ এমনকি বিশ্বের ইতিহাসে ঘটে গেছে বৈপ্লবিক আন্দোলন এবং সফলতা।
ধর্ম এবং স্বাধীনতার চেতনাকে করা হয়েছে মুখোমুখি; দেশপ্রেম কে করা হয়েছে ব্যাবচ্ছেদ। মৌলবাদ এবং নাস্তিকতার বিদ্বেষী শিরোনাম জুরে দেয়া হয়েছে ভাবনার মূলে। যে তরুণগন অপশক্তি এবং শোষক এর বিরুদ্ধে লড়াই করবে তাদের করা হয়েছে উভয়কে উভয়ের মুখোমুখি।
স্বাধীনতার চেতনায় যে দেশপ্রেম এবং ধর্মীয় মূল্যবোধে যে দেশ প্রেম নিহিত; যতদিন পর্যন্ত না তা স্পষ্ট হয়ে একটি শ্লোগান হয়ে উঠবে ততদিন পর্যন্ত বাংলাদেশের এই নির্মম রাজনৈতিক আচরণগুলো ঘটতেই থাকবে এবং সেই সাথে তৃতীয় শক্তিরা করে যাবে স্বার্থের পায়তারা।
আসুন আমরা ভোটের সিল অথবা মার্কা ধারীদের প্রতি অন্ধভক্ত না হয়ে চোখ কান খুলে, মিথ্যাবাদীকে মিথ্যুক, চোর কে চোর বলে ঠিক যতটুকু সত্য এবং শুদ্ধ তাতেই প্রশ্রয় দেই এবং তা প্রতিষ্ঠা করি। কোন বিভক্তি নয় দেশপ্রেমে তরুণ সমাজ এক হই।
“হাজার পণে হাজারও বল, একা একা নয় এক হয়ে চল, আশার প্রদীপ জ্বেলে”।