এবারের বইমেলায় আমি একবার অত্যন্ত অল্প সময়ের সময়ের জন্য গিয়েছিলাম। আমার উদ্দেশ্য ছিল প্রিয় লেখক শহীদুল জহিরের তিনটি বই কিনব। কিনে ফেললাম। আবু ইব্রাহীমের মৃত্যু, মুখের দিকে দেখি এবং ডলু নদীর হাওয়া ও অন্যান্য গল্প। তিনটি বইয়ের প্রকাশকই মাওলা ব্রাদার্স। এর আগে আমি পাঠক সমাবেশ থেকে লেখকের একটি উপন্যাস সংকলন ও একটি গল্প সংকলন কিনেছিলাম। উপন্যাস সংকলনে ছিল দু'টি উপন্যাস : জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং সে রাতে পূর্ণিমা ছিল। গল্প সংকলনে ছিল দু'টি গল্পগ্রন্থ: পারাপার এবং ডুমুরখেকো মানুষ ও অন্যান্য গল্প। আমার জানামতে এর বাইরে লেখকের আর কোন বই নেই। যা হোক গত রাতে তার আবু ইব্রাহীমের মৃত্যু উপন্যাসটি পড়লাম এবং এখনও পর্যন্ত ঘোরের মধ্যে আছি। জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা পড়ে মনে হয়েছিল সেটি আমার জীবনে পড়া শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। আবু ইব্রাহীমের মৃত্যু পড়ার পর থেকে আমি দোটানায় পড়ে গিয়েছি। এমন অসাধারণ একজন লেখক কীভাবে দৃষ্টির আড়ালে থেকে গেলেন বুঝলাম না। এখন পর্যন্ত আমি পরিচিত একজনকে পেয়েছি যে কিনা আমার বলার আগে শহীদুল জহিরের নাম শুনেছে। তাও লেখক হিসেবে নয়, তার মায়ের প্রাক্তন সহকর্মী হিসেবে। আমি নিজেও তার কথা প্রথম শুনি তার মৃত্যুর পর প্রথম আলোর সাহিত্য সাময়িকীতে মোহাম্মদ সাদিকের লেখা একটি স্মৃতিচারণ পড়ে। পরে তার সম্পর্কে পত্রিকায় আরও কয়েকটা সংবাদ পড়ে জানতে পারি যে তার লেখা "কোথায় পাব তারে" গল্প অবলম্বনে একটি নাটক "কোথায় পাব তারে" আমি আগেই দেখেছিলাম। নাটকটি সম্ভবত ভাই-বেরাদারদের। সেখানকার কয়েকটি চরিত্র লেখক শহীদুল জহিরকে গোটা নাটকজুড়ে খুঁজে বেড়ায় কিন্তু পায় না। নাটকটি আমার কাছে খুব একটা ভাল লাগেনি। নাটকটি দেখার সময়েও জানতাম না শহীদুল জহির নামে বাস্তবে একজন অসাধারণ লেখক আমার দেশেই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং বেঁচে আছেন। যখন তার সম্পর্কে অবগত হলাম তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে, শহীদুল জহির আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন নিভৃতে, যেরকম নিভৃতে তিনি তার স্বল্পআয়ুর জীবন পার করেছেন বিভিন্ন সরকারি কোয়ার্টারে। লেখক সম্পর্কে বিস্তারিত খুব একটা আমি জানতে পারি নাই। অনেক চেষ্টা করছি। বেশিরভাগ মানুষই তাকে চেনেন না। তার সম্পর্কে মুলত জেনেছি প্রথম আলোতে প্রকাশিত সরকারি কর্মকর্তা এবং শহীদুল জহিরের সহকর্মী মোহাম্মদ সাদিকের স্মৃতিচারণমূলক একটি লেখা থেকে এবং সামহোয়ারইন ব্লগে টোকন ঠাকুরের লেখা সে রাতে উৎসব ছিল, শহীদুল জহিরের সাথে শীর্ষক প্রবন্ধ থেকে। কেউ আরও কিছু জানলে দয়া করে জানাবেন। সবশেষে লেখকের বিদেহী আত্মার প্রতি শান্তি কামনা করছি।
আলোচিত ব্লগ
বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !
"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমিত্ব বিসর্জন
আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।
"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?
স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?
সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী
বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন