ক্লান্ত মনে ছুটির হাতছানি যখন আশা জাগানিয়া গান গেয়ে যেত,এক পশলা শান্তির মেঘ যেন কাছে এসে বলে গিয়েছিল- এইতো আমি বৃষ্টি হয়ে আসছি আরেকটু ক্ষণ পরে।..ছুটি! আহ! ছুটি!!অবশেষে আসলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ।শেষ ক্লাসটি করে বাড়ি ফিরি খুশির বৃষ্টি নিয়ে।এখন আমি আমার রাজ্যের রাণী।যা ইচ্ছা তা করার দিন আমার।বেলা করে ঘুমুবো।বাধা দেবেনা মা।যখন ইচ্ছা গান শুনবো।কিংবা দূরদর্শনে পৃথিবী যেচে বেড়াবো।অথবা ইন্টারনেটে বন্ধুর আড্ডায় ঘন্টা পেড়িয়ে দেব।অথবা ধুলো পড়া পুরনো গল্পের বইগুলোতে হারিয়ে যাবো।আহ...! ভাবতেই ভালো লাগে।
ছুটির প্রহরে একদিন গেল,দু'দিন গেল।মনে মনে প্রতিজ্ঞা করি ঈদের আগে পড়ার বইয়ের মুখোদর্শন করছিনা।এভাবে ঈদ এসে আবার চলেও গেল।কিন্তু আমার প্রতিজ্ঞাটি ভুলে যায় ঈদ শেষ,ছুটিও শেষের পথে।এখন ইচ্ছেভুল করি,বই পড়িনা।
ছুটি শেষে আবার আমরা পুরনো রুটিনে হারিয়ে যাবো।কর্ম ব্যস্ত সময়গুলোতে যখন আমরা দৌড়াতে দৌড়াতে হোচট খাবো,মন চাইবে একটু বসে আকাশটাতে বৃষ্টি খুজি,তখন হয়তো মনের কোণে উঁকি দেবে বাধনছাড়া কোন এক টুকরো সময়স্মৃতি।
দেয়াল ঘড়িটা টিকটিক শব্দে সময় বইয়ে দেয়।ক্যালেন্ডারের পাতাটা উল্টে যায় প্রতিদিন।মনে আবার ক্লান্তি এসে ভর করে।বাঁধন ছাড়া মন আবার ব্যস্ততার শেকলে বন্দি হতে চায়না।ছটফট করে।পালাতে চায় দূরে।
আর মাত্র কদিন।নাহ্! বরং বলি ক"ঘন্টা।তারপর ব্যস্ত নগরের পথে ছন্দময় বিরামহীন ছুটে চলা।এর মাঝেই অনুপ্রেরণা হয়ে রবে ঈদের ছুটির আনন্দের রেশটুকু।এ আনন্দ থেকে যাক মনের ভাজে ভাজে,যেন না হয় মলিন।এ আনন্দ থাকুক বর্ণিল,সাত রঙে মিলেমিশে শুভ্র।সেই শুভ্র আলো সবার চলার পথে দীপশীখা হয়ে থাকুক আমাদের সবার জীবনে।সবার জন্য শুভ কামনা।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:০৯