somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিক্ষায় বাংলাদেশ

১৩ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কোন দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ? একটি স্বচ্ছ নির্বাচন হবে কি? আমরা কি পারবো স্বাধীনভাবে দেশের বুকে চলাফেরা করতে? এ রকম প্রশ্ন যেন মাথার মধ্যে রাতদিন ঘুর ঘুর করে। এটি তো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, তো গনতন্ত্রের প্রশ্ন আসছে কেন? সবগুলো প্রশ্নের উত্তর- আলোচিত দুটির একটিও এখন বাস্তবে কার্যকর নয়। পাকিস্তান নামক একটি দেশ গঠিত হওয়ার পর আমাদের মনে হয়েছিল যে ব্রিটিশদের অত্যাচার থেকে আমরা মুক্তি পেলাম। পূর্ব ও পাকিস্তান নামে দুইটি ভাগ হয়ে যেন শোষণের রাজনীতি শুরু করেছিল পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকেরা। নিজেদের অধিকার আদায় তথা গণতান্ত্রিক জীবন পাওয়ার স্বার্থে আমাদের যুদ্ধ করতে হল। কিন্তু? সংসদীয় গনতন্ত্রে জনগন দাবি দাওয়া উথাপনের জন্য সাংসদের তাদের প্রতিনিধি হিসেবে জাতীয় সংসদে পাঠান । যেখানে একজন সাংসদ ও তার কর্মীরা জনগণের কল্যাণে কাজ করবেন (যেহেতু জনগণের সমর্থনে তারা সাংসদ) সেখানে আমরা দেখি জনগন তাদের কাছে দাসমাত্র। দল ক্ষমতায় থাকলে দেশটা তাদের। সাধারণ মানুষ বিচার চাইতে গেলে উলটো তাদেরকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় কারণ সে দলীয় নেতার বিরুদ্ধে বিচার চাইছে। বর্তমানে রাজনীতি আর জনগণের সেবা নয় বাণিজ্য হিসেবে পরিচিত। কারণ জয়ী হলে এলাকার সব ধরণের কাজ তাদের দখলে। ফলে অবৈধ স্থাপনা আর রানা প্লাজার মতো ঘটনা আমাদের কাছে এক সাধারণ ব্যাপার। জনগণেরও এই সব ঘটনা সয়ে গেছে । সব মিলিয়ে আমরা এখন আর স্বাধীন নয়, যেন এক অভিজাততন্ত্রের জাঁতাকলে পিষ্ট সাধারণ নাগরিক। তবে যাই হোক এখন আমাদের দেশের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় আগামী নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে নিয়ে একটা জোর প্রস্তুতি চলছিল দেশে এবং বিদেশে। বেশ সরগরম চললেও কিছু দিনের জন্য পরিবেশ একটু ঠাণ্ডা। কারণ সব দলই এখন তাকিয়ে আছে সিটি করপোরশনের নির্বাচনের দিকে। সিটি করপরশনের নির্বাচনের পরই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচন যেন এখন মরুভুমির বালির মাঝে সিলিকার মত মূল্যবান ও দুর্লভ বস্তুর মতো হয়ে যাচ্ছে। কারণ কোন দলই এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারে নি, কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে? সরকারী দল নানা অজুহাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেছে, আর সরকারী দল ঐ পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন করবে না। কিন্তু যে পদ্ধতিই হোক তা তো সংলাপ বা আলোচনার মাধ্যমে হতে হবে। শিক্ষিত মহল থেকে বারবার দুই নেত্রীর সংলাপের কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে এই সংলাপ কতটুকু ফলপ্রসূ হবে? যেখানে দুই নেত্রী সবসময় একে অপরের বিপরীত পথে চলেন সেখানে কিভাবে একটি সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব। অবস্থা এমন যে সরকারী দল লবণ বললে বিরোধী দল বলেন চিনি, সরকারী দল সূর্য বললে বিরোধী দল বলে চাঁদ। এই যদি অবস্থা হয় (যদিও হওয়ার দরকার ছিল ভালো সিদ্ধান্তের সমর্থন ও ভুল হলে বিরোধিতা করা) তাহলে সংলাপ শেষে সময়ক্ষেপণ ও চা নাস্তা ছাড়া কোন সিদ্ধান্তে আসা যাবে না। কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষ সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। কিন্তু কিভাবে? আমার মনে হয় যেখানে দুই নেত্রীর সংলাপের সম্ভবনা অকল্পনীয় সেখানে দলের অভিজ্ঞ, ত্যাগী ও সিনিয়র নেতারা এগিয়ে আসতে পারেন। যেহেতু তারা রাজনীতিতে অনেক অভিজ্ঞ সেহেতু তারা দেশের কল্যাণে দলের অন্য সদস্যদের নিয়ে বিরোধী দলের সাথে বসে একটা সিদ্ধান্তে আসতে পারেন। দলের অধিকাংশ সদস্যদের সিদ্ধান্ত হয়তোবা দলের প্রধান অগ্রাহ্য করতে পারবেন না কারণ সকল সদস্যদের নিয়ে একটি দল। সব মিলিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে একটা সিদ্ধান্তে এসে সুষ্ঠু নির্বাচন জনগণকে উপহার দিতে হবে। তা না হলে জনগণও তার প্রত্যুত্তর দেবে। কারণ সব দলকে মনে রাখতে হবে এই জনগণ যেমন কাউকে ক্ষমতায় বসাতে পারে আবার ইচ্ছে করলে কাউকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারে।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যথায় জেনে রেখো যমীন আল্লাহ ও তার রাসুলের।

লিখেছেন অগ্নিবেশ, ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:১৫

বাংলাদেশ এখন মগের মুল্লুক, কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ হবে খাঁটি ইসলামিক কান্ট্রি, হিন্দু মাইরা এখন আগের মত মজা নাই, তারা পাল্টা মাইর দেয় না। মোদীর দেশের হনুমানেরাও আজকার বড় স্বার্থপর,... ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি অরাজনৈতিক গল্প.....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১০

এক অন্ধ ভিখারি ভিক্ষা করতে করতে একদিন রাজপ্রাসাদে
ঢুকে পড়লো। রাজার মনে দয়া এলো।
রাজামশাই মন্ত্রী-কে ডেকে বললেন-
"'জানো হে, এই ভিক্ষুক জন্মান্ধ নন, একে চিকিৎসা করানো হোক। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিন্দু ধর্মের মানুষদের নোৗকায় ভোট না দিতে হুশিয়ারী দিয়েছে সার্ভিস আলম

লিখেছেন আহসানের ব্লগ, ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫৭


ঠাকুরগাওয়ে হিন্দু ধর্মের মানুষদের নোৗকায় ভোট না দিতে হুশিয়ারী দিয়েছে সার্ভিস আলম। এবং তাদের ওপরে যে হামলা হয় তার জন্য হিন্দুরাই দায়ী। কারন হিন্দুরা নৌকায় ভোট দেয়। যার ভোট সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিঠাই লাগাইন্যা শয়তান!! # ২

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৭


গাজিয়াবাদের গোপন এক ডেরায় আপার মুখোমুখি বসে মিঠাই লাগাইন্যা শয়তান' বসে মিচকি মিচকি হাসিতেছে।
আপা তারে জিগাইল, 'হাসতে কিউ হু?' (আপার হিন্দী এই রকম, কেউ ভুল ধরিয়েন না)
মিঠাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আরাফাতের ড্রাগ তত্ত্ব বিশ্লেষন

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪৭



আওয়ামীলীগের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন আরাফাত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিহত রংপুরের শহীদ আবু সাঈদের বিষয়ে মন্তব্য করতে যেয়ে বলে “ আন্দোলনকারীদের অনেকে ড্রাগড ছিল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×