somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুভি রিভিঊ Saving Private Ryan (1998)

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
মুভির নামঃ Saving Private Ryan (1998)
__________________________________


http://www.imdb.com/title/tt0120815/
গতকালকে যুদ্ধ নিয়ে নির্মিত লাইফের সেরা মুভিটি দেখলাম। সাধারণত যুদ্ধের মুভিগুলিতে কমান্ডো মিশন টাইপের কিছু অ্যাকশান সিন আর ইতিহাসকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে দেখানো হয়। বেশীরভাগ মুভি সম্পর্কেই আমার ধারনা এমন। তবে এই মুভিতেও আমেরিকাকে খুব উচুতে তুলে ধরা হয়েছে। যাই হোক তাতে আমার আপত্তি নেই। মুভির কাহিনীও সেখানে সীমাবদ্ধ নেই। মুভির আসল ম্যসেজ যেটা সেটা হল যুদ্ধের ভয়াবহতা।



পৃথিবীতে এ যাবত বহু যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছে। কেউ হয়ত যুদ্ধে জিতেছে, কেউ হেরেছে। কিন্তু যুদ্ধ মানেই ধংস, হত্যা, আপনজন হারানোর বেদনা। একেকটা যুদ্ধে যেসব মানুষ মারা যায় তাদেরও হাজারও স্মৃতি বিজড়িত মুহূর্ত থাকে। নিজ কাধে আত্মীয়-স্বজনের লাশ বহন করা খুব সম্ভবত সব থেকে কষ্টের। তার থেকেও কষ্টের নিজ সন্তানের লাশ মা-বাবার পক্ষে বহন করা। মুভিতে সেটাই দেখানো হয়েছে। জেমস প্রাইভেট রায়ান (ম্যাট ড্যামন) হল এক হতভাগ্য মায়ের চার নম্বর সন্তান যার অন্য তিন সন্তান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে ১৯৪৪ সালে মিত্র শক্তির পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে নরম্যান্ডী আক্রমন করতে গিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে মারা যায়। তার মাকে এই তিন সন্তান মারা যাবার টেলিগ্রামটি গ্রহন করতে হবে।  :’( এর থেকে আর কষ্টকর অভিজ্ঞতা আর কিইবা হতে পারে?? তাই ইউএস আর্মি চিফ অব স্ট্যাফ একটি সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি জানতে পারলেন এই হতভাগ্য মায়ের আরেক সন্তান #জেমস প্রাইভেট ফ্রান্সিস রায়ান যিনি নরম্যান্ডিতে যেকোনো একজায়গায় যুদ্ধ করছেন তাকে খুজে বের করে অন্তত জীবিত তার মার কাছে ফেরত দিতে হবে। তাই তিনি সেকেন্ড রেঞ্জার থেকে ক্যাপ্টেন মিলারকে (টম হ্যাঙ্কস) প্রধান করে একদল যোদ্ধাকে পাঠালেন তাকে খুজতে। সংক্ষেপে এতটুকুই বলা যায় বাকিটা বললে স্পয়লার হয়ে যাবে। মুলত যুদ্ধের ভয়াবহতায় কিভাবে পরিবারগুলি ধংস হয়ে যায়, মা হারায় তার সন্তানকে, সন্তান হারায় বাবাকে, ভাই হারায় বোনকে অথবা বোন ভাইকে তার এক নিখুত বর্ণনা চিত্রায়িত হয়েছে মুভিটাতে। এবং সেটা এত অসাধারনভাবে যা আজীবন মনে থাকবে।

____________________________________________________
এখন মুভি সম্পর্কে আমার কিছু মতামত। প্রথমেই বলে নিয়েছি এখনও পর্যন্ত দেখা সেরা যুদ্ধ নিয়ে নির্মিত মুভি। আসলে শুধু যুদ্ধের মুভি না এটা আমার জীবনে দেখা সেরা মুভিও বটে। স্পীলবারগ যে কি জিনিস!!!!!!!!! তা এই মুভি না দেখলে কেউ বুঝবে না। এত্ত চমৎকার ডিরেকশন। পুরো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আবহটা ফুটিয়ে তুলেছে মুভির মধ্যে এত সূক্ষ্মভাবে যে এই মুভির খুত ধরতে সমালোচকদের ভালো নাগানি-চুবানি খেতে হবে। এই কারনেই সে পৃথিবীসেরা ডিরেক্টরদের একজন। একটা পিস!!!!! :/ মাস্টারপিস। আর মুভিটা দেখার আরও একটা উদ্দেশ্য ছিল কারন মুভিতে আছে টম হ্যাংকস। আমার জীবনে দেখা টম হ্যাংকসের প্রথম মুভি ছিল “ফরেস্ট গাম্প”। ফরেস্ট গাম্প আমার সব দিক থেকে ভালো লাগার একটা মুভি। তার সাদামাটা অভিনয়, আলাদা স্টাইল যে কাউকেই আকর্ষণ করতে বাধ্য। এই মুভিও আমার সব দিক থেকে ভালো লাগার মত একটা মুভি। সিনেমাটোগ্রাফি, সাউন্ড, ডিরেকশন, অভিনয় OMG!!!!!!! স্পিলবারগ তুমি বেচে থাকো হাজারো সিনেমাপ্রেমী মানুষের হৃদয়ে। আই লাভ ইউর মুভিজ। টম হ্যাংকস তুমিও বেচে থাকো। তোমার অভিনয়ের তুলনা আমি কারও সাথে করব না। “টম হ্যাংকস ইজ টম হ্যাংকস” Simplicity মানুষকে কিভাবে আকৃষ্ট করতে পারে টম হ্যাঙ্কস হল তার নিদর্শন।
ও মুভিতে আর একটা ম্যাসেজ আছে ক্যাপ্টেন মিলার মারা যাবার পূর্বে জেমস রায়ানের কানে কানে যে কথাটা বলে যায়। “রায়ান Earn this, Earn it” এই সময়কার একটা দৃশ্য দেখলে চোখের পানি আটকে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে, ক্যাপ্টেন মিলার সংশপ্তুকের মত ট্যাংকে রিভলবার দিয়ে গুলি করছে। :’( :’( :’(


৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×