বর্তমান যুগ হচ্ছে প্রযুক্তির যুগ। এই প্রযুক্তির যুগে প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলাই হল প্রকৃত বুদ্ধিমানের কাজ। দুঃখজনক হলেও সত্য, আজকে আমরা মুসলিমরা ভুলেই যাই একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের দায়িত্ব কর্তব্য কি? প্রযুক্তির দিক থেকে মুসলিমরা কোন অংশে পিছিয়ে নেই। অনলাইনে সবাইই কম বেশী সক্রিয়। কিন্তু এই সক্রিয়তায় অন্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো ভুলে যাই। ফেসবুকে, ব্লগে ঘন্টার পর ঘন্টা চলে যায়, কিন্তু নামাজ পড়ার জন্য, কুরআন পড়ার জন্য দশ মিনিট আধাঘন্টা সময় বের করা কঠিন হয়ে পড়ে।
যাকগে ওসব কথা। আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম কুরআন শেখার জন্য একটি চমৎকার বাংলা সফটওয়্যার। আগেই বলেছি কম্পিঊটার অন করলে ঘন্টার পর ঘন্টা ফেসবুকিং, চ্যাটিং, ব্লগিং করতে করতে অতিবাহিত হয়। কিন্তু আপনি আপনার কম্পিউটারে বসেই যদি কুরআন শিখতে পারেন তবে কেমন হয়?
হ্যা অনেকেই হয়তবা সফটওয়্যারটি সম্পর্কে জানতে পারেন। কিন্তু আপনি ব্যবহার না করলে জানতেই পারবেন না, আপনাকে আমি কি জিনিস দিলাম।
এই সফটওয়্যারটি আপনাকে অনেকটা আরবি শিক্ষকের মতই কুরআন শিখাবে। বাংলাদেশী প্রোগ্রামারদের তৈরি সফটওয়্যারটি ব্যবহার করাও অনেক সহজ।
ডাউনলোড করুন এখান থেকে
ডাউনলোড করার পরে একটি রার ফাইল পাবেন। খুবই সিম্পল উইনরার দিয়ে এক্সট্রাক্ট করুন। আল কুরআন শিক্ষা নামে একটি ফোল্ডার পাবেন। ফোল্ডারটী ওপেন করুন। এরপরে আল কুরআন নামক.exe ফাইলটিতে ক্লিক করুন আর ব্যবহার করতে থাকুন।
কুরআনের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সর্বোত্তম ব্যক্তি:
কুরআন শিক্ষার মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা যায়। উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ»
অর্থ: ‘‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সেই যে নিজে কুরআন শিক্ষা করে ও অপরকে শিক্ষা দেয় ’’ [বুখারী: ৫০২৭]।
কুরআন তিলাওয়াতকারীর পক্ষে সুপারিশ করবে :
কিয়ামতের ভয়াবহ অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াতকারীর পক্ষে সুপারিশ করবে।এটা বিরাট সৌভাগ্যের বিষয়। আবু উমামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
«اقْرَءُوا الْقُرْآنَ فَإِنَّهُ يَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ شَفِيعًا لِأَصْحَابِهِ»
অর্থ:‘তোমরা কুরআন তিলাওয়াত কর, কারণ, কুরআন কেয়ামতের দিন তিলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশ করবে’ [মুসলিম: ১৯১০]।
কুরআন পড়া উত্তম সম্পদ অর্জন
কুরআন পড়া বা শিক্ষা দেয়ার কাজে নিয়োজিত থাকা উত্তম সম্পদ অর্জন করার অন্তর্ভুক্ত। এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«أَيُّكُمْ يُحِبُّ أَنْ يَغْدُوَ كُلَّ يَوْمٍ إِلَى بُطْحَانَ أَوْ إِلَى الْعَقِيقِ فَيَأْتِيَ مِنْهُ بِنَاقَتَيْنِ كَوْمَاوَيْنِ فِي غَيْرِ إِثْمٍ وَلَا قَطْعِ رَحِمٍ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ نُحِبُّ ذَلِكَ قَالَ أَفَلَا يَغْدُو أَحَدُكُمْ إِلَى الْمَسْجِدِ فَيَعْلَمُ أَوْ يَقْرَأُ آيَتَيْنِ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ خَيْرٌ لَهُ مِنْ نَاقَتَيْنِ وَثَلَاثٌ خَيْرٌ لَهُ مِنْ ثَلَاثٍ وَأَرْبَعٌ خَيْرٌ لَهُ مِنْ أَرْبَعٍ وَمِنْ أَعْدَادِهِنَّ مِنْ الْإِبِلِ»
তোমাদের কেউ কেন সকালে মসজিদে গিয়ে আলস্নাহর কোরআন হতে দুটি আয়াত পড়ে না বা শিক্ষা দেয় না ? তাহলে সেটি তার জন্য দুটি উট লাভ করার চেয়ে উত্তম হবে। তিনটি আয়াত তিনটি উট অপেক্ষা উত্তম। চারটি আয়ত চার উট অপেক্ষাা উত্তম। অনুরূপ আয়াতের সংখ্যা অনুপাতে উটের সংখ্যা অপেক্ষা উত্তম।-[সহীহ মুসলিম : ১৩৩৬]।
আপনার বৈষয়িক শিক্ষা বিবিএ/এমবিএ অথবা এমবিবিএস ডিগ্রি কবরে কোন কাজে লাগবে না। কুরআন শিখুন অন্যকেও শিখতে উৎসাহিত করুন। তাই তওবা করুন আর বেশী বেশী কুরআন শরীফ পড়ুন। আল্লাহ সবাইকে কুরআন শেখার তৌফিক দান করুন আমিন।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪