আমাদের দেশের গুটি কয়েক নেতা কর্মীদের জন্য যেমন পুরো রাজনৈতিক দলের নাম খারাপ হয় ঠিক তেমনি পশ্চিমা বিশ্বে মাত্র গুটি কয়েক মুসলীম চরমপন্থীর জন্য আজ পুরো বিশ্বে মুসলমানরা কষ্ট করছে।
.
আমেরিকার সর্ববৃহত সন্ত্রাসী কমকান্ড করেছে মুসলিম চরমপন্থিরা টুইন টাওয়ার হামলা করে ঠিক তেমনী আমেরিকার টুইন টাওয়ারের পর সবচেয়ে বড় ঘটনা বোষ্টন হামলা তাও এই মুসলমান জঙ্গিরাই করেছে।
সম্প্রিতি ইংলেন্ডে যে সেনাকর্মীকে খুন করা হল তখনও তারা নাকি ইসলামী স্লোগান দিচ্ছিল। ইংলেন্ডের প্রধানমন্ত্রি ক্যমরুন তো সরাসরি টিভিতে বলল এই ঘটনা মুসলিম চরমপন্থিরাই করেছে।
একজন মুসলমান হিসেবে যখন অন্য কেউ এভাবে মুসলমানদের দোষী স্বাবস্থ করে তখন খারাপ লাগে। চিন্তা করেন আপ্নি হলিউডে যে টোরোরিস্ট মুভি দেখেন তার আনুমানিক ৭০ পারসেন্ট মুভি বানানো হয় মুসলিম টোরোরিস্টদের নিয়া। একজন মুসলমান হিসেবে মুভিগুলো দেখতে খুবই খারাপ লাগে। ভয় হয় কোনদিন এই গুটি কয়েক টোরিরিষ্টদের জন্য মুসলমানদের হয়ত আর কোন পশ্চিমাদেশের ভিসা দেওয়া হবে না বা যারা আছে তাদের বের করে দেয়া হবে সেসকল দেশ থেকে। এভাবে চলতে থাকলে যে একসময় মুসলমানদের সাথে পশ্চিমারা সম্পর্ক ছিন্ন করবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
.
এবার আসুন একটি নও মুসলিমের মুসলমান হওয়ার ঘটনা শুনি
জায়গাটা লন্ডনের এক হাসপাতাল। এক মুসলাম মহিলার ডেলিভারি হবে ১ ঘন্টা পর। তখনও ওই হাসপাতালে এক খ্রিস্টান মহিলা ডাক্তার কর্তব্যরত ছিলেন। ঠিক তখন ওই মহিলা ডাক্টার বললেন "আমার তো টাইম ওভার আমি গেলাম। ওমুক ডাক্তার আইসা আপনার ডেলিভারি করবে।" এই কথা শুনে মুসলমান প্রেগনেন্ট মহিলা কান্না শুরু করলেন। পরে ডাক্তার মহিলার হাজবেন্ডকে কান্নার কারন জিগাস করলে মহিলার হাজবেন্ড বলেন "আমার ওয়াইফকে মাত্র কয়েকজন ছাড়া আর কেউ দেখে নি। সেখানে ওর ডেলিভারি করবে পুরুষ ডাক্তার?" শেষমেষ খ্রিষ্টান ডাক্তার সব বুঝতে পারে এবং নিজেই মুসলমান মহিলার ডেলিভারী করে। আল্লাহর রহমতে মুসলমান মহিলা একটি ফুটফুটে বাচ্চা প্রসব করেন। তখন খ্রিষ্টান ডাক্তার বলেন "আপনাদের বাচ্চাকে সবসময় ডানদিকে কাত করে শোয়াবেন তাহলে বাচ্চা ভালো থাকবে।" এই কথা শুনে মুসলমান হাজবেন্ড বলে ওঠেন "আমরা জানি। এবং আমরা সবাই সবসময় ডানদিকে কাত হয়ে ঘুমাই এবং এটা আমাদের কোরআনে আছে।" এই কথা শুনে খ্রিষ্টান ডাক্তার অবাক হয়ে যান এই কারনে যে জিনিষটা তারা এত লেখাপড়ার পর জনল সেই জিনিষ মুসলমানরা কোরআন পড়ে বলে জানে এবং যেই কোরআন ৬ষ্ট শতাব্দিতে আবর্তিত হয়। তারপর ওই খ্রিষ্টান ডাক্তারের কোরআনের প্রতি আগ্রহ জন্মে এবং তিনি কোরআন গভেষনা করে এমন অনেক দূর্লভ জিনিষ জানতে পারেন। তারপরই তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন।
এভাবে কত হাজার হাজার মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহন করছে তার কোন হিসাব নাই।
.
আজকে কিছু মুসলমান নামধারী টোরোরিষ্টদের জন্য বিধর্মীদের কাছে মুসমানরা এতটা শত্রু হয়ে গেছে। এর থেকে যদি আমরা বের হয়ে না আসতে পারি তাহলে ক্ষতিটা কিন্তু আমাদের মুসলমানদেরই।