"ওহে শুনছো !!
"মায়াভরা মুখখানি" কত শতাব্দী দেখিনু তোর ?
তোমা রূপহেরি "আঁখি ঝুরিয়া" আজো রাত্রী হয় ভোর !
তব অঙ্গের সৌরভ হেরি আজো বাঁচি,
"ক্লান্তদেহ, বিষণ্ণমন, কষ্টের স্মৃতি"বুকে বেশ আছি !
- আজো উৎফুল্লিত কেন মোর হিয়া ?
অচেনা ভীড়ের মাঝে সারাক্ষন ডুব সাঁতার,
বিষন্ন এক বিকেলবেলা,
ক্লান্তিহীন সেই পথ চলা !
কিছুই মনে নেই আমার ।
আজ,
নিঃসঙ্গ ভুবনে চাষ করি দূর্বাঘাস,
তাহার নয়নের পরশ লাগি হৃদয় মোর ফানা !
"পরম সৌন্দর্য্যের প্রতি আহ্লাদিমন, স্মৃতি সাগরে ডুবে বাঁচি কেন?
- কাহারো আছে গো বন্ধু জানা?
একি রূপ !
একি সৌন্দর্য্যময়ী রমনী দেখেছিনু আমি ।
কি কহিব হে বন্ধু'মনা,
এতো মহামায়া, তুলনা দিবার শব্দ নাহি গো জানা।
ভূলক গোলক ত্রিভুবন ভেদিয়া, শব্দ খুজি,
স্মৃতিপটে তাহার জন্য আজো নিঝুর রাতে আঁখি বুঝি।
শৈল্পীক শব্দের গাথুনিত তে মায়াযর বর্ণণা?
ওহ্ নো !
এহেন সৌন্দর্যের বর্ণনা করিবার সাধ্য আমার নাহি,
"আপাদলম্বিত কেশ, কস্তুরী সৌরভ, ডাগর নয়ন"
কিছুই কহিতে নহি আমি রাজি ।
এহেন সুধা "অন্ধকারময় দৃষ্টিহীন পরাণ", তাহলে কি হৃদয় আন্ধা?
বলাহউক "স্থির চাঁন্দের জোস্না দেখেছি সেতো সৌদামিনীর রজনীগন্ধা।
শেখ মিজান,
ঢাকা বাংলাদেশ
১৮.০১.২০১৯