4 P’s বনাম 4 C’s
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
মার্কেটিং এর দুইটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখছি।
প্রথমেই এদের সংজ্ঞা দিয়ে শুরু করি।
4 P’s- মার্কেটিং এ সফলতা পেতে চাইলে অর্থাৎ টার্গেট মার্কেট এর কাছে কাংখিত হতে চাইলে যে চারটি টুল বা মাধ্যম এর কম্বিনেশন নিয়ে কাজ করতে হয়, তাদেরকে একত্রে 4 P’s অব মার্কেটিং বলে। তাই মার্কেটিং মিক্স বলতে এই 4 P কেই বুঝানো হয়। টুলগুলো হল-
Product (পণ্য)
Price (প্রাপ্তিমূল্য)
Place (প্রাপ্তিস্থান)
Promotion (প্রচার)
4 C’s - মার্কেটিং এর প্রত্যেকটি feature ই কোন না কোনভাবে customer এর সাথে related. তাই অধুনা 4 C ধারণাটি এসেছে। অর্থাৎ 4 P কে customer perspective থেকে একটু ঘুরিয়ে বলা আর কি।
এখন দেখা যাক কিভাবে আমরা 4 P কে 4 C তে convert করে যেকোন Marketing আমরা আরও Effectively করতে পারি।
কাস্টমার বা ভোক্তার চাহিদা (পণ্য)- যেকোন পন্য বাজারে আনলেই চলবে এটা ঠিক নয়। properly market research করেও অনেক পণ্য এজন্যই ব্যর্থ হয়েছে।
তাই প্রথমেই যেটা করতে হবে সেটা হল পণ্যটি কাস্টমার বা ভোক্তা কতটুকু চায়, কতটুকু তার দরকার। এ ব্যাপারটি একটু বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা দরকার। একজন মার্কেটিয়ার এর প্রথম কাজ হল customer need কে customer want এ পরিবর্তন করা। যেমন- একজন ব্যক্তির কাছে গাড়িটা কিন্তু একটা need, কিন্তু অনেকগুলো কারণে তার কাছে এটা want না। কারণ সে অনেক কারণেই ভাবে যে একটা গাড়ি হলে তার কত প্রয়োজন মিটত, অর্থাৎ এটা যে তার একটা Need সে এটা জানে, কিন্তু যতক্ষণ না পর্যন্ত আরো কিছু ব্যাপারে সে নিশ্চিত হতে পারছে, গাড়ি কিন্তু তার want এ পরিবর্তন হবে না, সে গাড়ি কিনবে না। অনেকেরই কাছে মনে হতে পারে যে, সে যেসব ব্যাপার বিবেচনা করবে তা হল গাড়িটা কিনতে কত লাগবে (আমরা price পয়েন্টটাতে এটা বিশদ আলোচনা করব ) , আসলে কিন্তু তা নয়। প্রথমেই সে ভাববে গাড়িটা সে কোথায় রাখবে, কতজন গাড়িটাতে চড়তে পারবে , Maintenance cost কত, কতদিন ভালভাবে চলবে ইত্যাদি। সবকিছুতে পোষালে সে price এর ব্যাপারে ভাববে।
তাই এসব বিবেচনা করেই কিন্তু একটা কোম্পানী গাড়ি বাজারে আনে। মারুতি সুজুকি কি বিলাসবহুল গাড়ি আনতে পারে না বাজারে? কিন্তু তারা জানে ভারতে মধ্যবিত্তরা (তাদের টার্গেট যেহেতু মধ্যবিত্ত) চায় এমন একটা গাড়ি যা তারা নিজেরা চালাবে অনেক ক্ষেত্রে, যার Maintenance cost কম, আবার পরিবারের সবাই চড়তে পারবে, গাড়ি রাখতে বড় কোন জায়গা দরকার হবে না, সব মিলিয়ে আটপৌরে একটা জিনিস। তাই তারা গাড়ি এভাবেই তৈরী করে যেন কাস্টমাররা ব্র্যান্ডটিকে Need থেকে Want মনে করে। আর এক্ষেত্রেই কাস্টমার এটা কেনার কথা ভাববে। অর্থাৎ দরদাম বিচার করবে।
Cost (খরচ) (Price বা মূল্য) – প্রয়োজন যখন want এ পরিণত হয়,তখন ক্রেতা দাম যাচাই করে। কারণ তার মধ্যে ইতিমধ্যে একটা perceived value create হয়ে গিয়েছে, এখন সে মনে মনে একটা perceived cost ও ধরে নেবে । আমরা যখন দোকানে গিয়ে একটা শার্ট কিনি, পছন্দ না হলে কিন্তু দামই করি না, পছন্দ হলে মনে মনে ভাবি যে এটার দাম এত হতে পারে। তাই যেকোন পণ্যের দাম রাখার ব্যাপারে নিচের ব্যাপারগুলো লক্ষ্য রাখতে হবে-
• দাম যেন অবশ্যই ক্রেতার ধারণার আশেপাশে হয় এবং অবশ্যই অন্য competitor দের সাথে competitive হয়।
• Bargaining এর ব্যাপার থাকলে দাম আকাশ ছোঁয়া চাওয়া যাবেনা, তাহলে ক্রেতা Trust হারাবে।
• কোন পণ্য জনপ্রিয় হলে হুট করে দাম বাড়ানো যাবেনা অর্থাৎ সুযোগ নেয়া যাবেনা।
• দাম মোটা অঙ্কের হলে দাম মেটানোর ক্ষেত্রে কিছু সুবিধা দিতে হবে (যেমন কিস্তিতে কেনা)
Convenience (সহজলভ্যতা) ( Place বা প্রাপ্তিস্থান ) – বাজারে যেকোন পণ্য launch করলে কাস্টমাররা যেন product টি বাজারে পায় , তা নিশ্চিত করতে হবে । যেমন – টিভিতে একটা জুস এর এড দেখাচ্ছে, আপনি একবার কিনলেন , আপনি আবার চাচ্ছেন কিনতে। যে দোকানেই যান, আপনি যদি জুসটি নিয়মিত না পান , তাহলে আপনি কয়দিন চাইবেন ঐ জুস আবারও কিনতে ?
ক্রেতাকে আধুনিক যুগে কেনার ক্ষেত্রেও অনেক সুবিধা দিতে হবে – যেমন অনলাইনে কেনার সুবিধা।
Communication (Promotion- প্রচার) - যেকোন ধরণের Promotion ক্রেতারা যদি একবার ভাবে যে, পণ্যটি যেকোন মূল্যে কোম্পানী বেচতে চায়, তাহলে মার্কেট ধরে রাখা কঠিন। বরং এডগুলোতে যত হিউমার, Glamour ব্যবহার হোক না কেন – আসল তথ্য ঠিকই দিতে হবে। সেটা হল How you can be benefitted? আমাদের দেশে একটা এড আছে – ঢেউ টিন এর, যেখানে কৃপণ জামাইকে শ্বশুর বুঝায় ভাল জিনিস এর দাম একটু বেশি অর্থাৎ তাদের পণ্যের দাম একটু বেশি এটা কত সুন্দর করে কোম্পানী বুঝিয়েছে । এগুলোই খুব সুন্দর informative ad এর উদাহরণ। এভাযে যে যত সুন্দর করে communicate করতে পারবে, তার সফল হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি।
যখন কোন কোম্পানী SALE দেয়, অনেকের মনে একটা negative ধারণা জন্ম নেয়। ভাবে বেচতে না পারা মাল বেচে দিচ্ছে, কিংবা defect জিনিস কম দামে বেচে দিচ্ছে। তাই SALE দিলেও কাস্টমারদের বুঝাতে হবে এতে তারা আসলে benefitted হচ্ছে।
Marketing Mix (4 P’s) এর যেকোন একটি বা দুটি টুল নিয়ে ঠিক করে কাজ করলে সফলভাবে কোন পণ্য বা সেবা click করতে পারবে না। দরকার সবগুলোকে নিয়ে কাজ করা এবং 4 P কে 4C এর সাপেক্ষে চিন্তা করা।
যদি ভাল লাগে আপনাদের তাহলে জানাবেন। সামনে ইনশাআল্লাহ্ মার্কেটিং এর অন্য কোন বিষয় নিয়ে লিখব ।
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।
এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?
সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী
বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন
জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন
=বেলা যে যায় চলে=
রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।
সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন