আজকে বাংলাদেশের সাথে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর টি-২০ খেলা ছিল। তার আগে বলে নেই আজকে কে কিভাবে খেলা দেখার প্রস্তুতি নিয়েছি। তাহলে বুঝা যাবে আবেগ কতটা ছিল এসবের পিছনে।
অফিসে আমি আমার টিমের ছেলেদের আগে ছেড়ে দিয়েছি , নিজে বসের কাছে বকা খেলে খাব, তাও চেয়েছি আগে বের হয়ে যেতে। ওমা দেখি বস নিজেই আগে চলে গেল। রাস্তা ঘাট ছিল ফাঁকা।
প্রথমেই মুশফিককে একটা কথা বলে শুরু করতে চাই – “তোমরা মাঠে ১১ জন খেল না, আসলে ১৬ কোটি মানুষ খেলে”। ক্রিকেট আমাদের কাছে এখন একমাত্র আবেগের বিষয়। আর তো কোনদিক থেকেই কোন কিছুতে আশা নেই। এখন ক্রিকেট দেখেই একটু স্বপ্ন দেখি। তাই খেয়াল খুশি মত তোমরা চাইলেই খেলতে পারনা।
অনেকেই বলবেন মুশফিকরা ভালও তো খেলে অনেক সময়, একটু খারাপ খেললেই আমরা সব ভুলে যাই। না ব্যাপারটা তা নয়।
রুবেল কখনই স্লগ ওভারে ভাল করে না, এটা অনেক বার প্রমাণিত । জিম্বাবুয়ের সাথে সিরিজেও সে স্লগ ওভারে এরকম ২০ রানের উপরে দিয়েছে, এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেও দিয়েছে ৩য় ওয়ানডেতে, ২৪ রান। মুশফিক এটা জানে না? তাহলে কেন সে বল করল? হ্যাঁ সে প্রথমে ভাল বল করেছিল, তার মানে এই না যে স্লগ এ সে ভাল করবে। ক্যাপ্টেন কি এগুলো জানে না? কেন আজকে অনিয়মিত বোলার দিয়ে চেষ্টা করা যেত না? মাহমুদ এর তো বল বাকি ছিল। এই একই ভুল মুশফিক করেছিল এশিয়া কাপ এ শাহাদাত কে দিয়ে বল করিয়ে, যেখানে নায়ক শাহাদাত দিয়েছিল ১৯ রান। আমরা হেরেছিলাম ২ রানে।
আর রুবেল পরপর দুই ছক্কা খাওয়ার পর একটু সময় নিতে পারত না পরবর্তী বল করতে? আজকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর বোলাররা তামিম বা মাহমুদ কে ডাউন দ্যা উইকেট এ আসতে দেখলেই বল করা থামিয়ে দিচ্ছিল, রুবেল কি এটা জানেনা? এইসব অশিক্ষিত খেলোয়াড়দের আসলেই চিন্তা করে দলে নেয়া উচিৎ।
ম্যাচ শেষে যখন মুশফিক কে শামীম চৌধুরী জিজ্ঞাসা করছিল, “শেষ ওভারটাই পার্থক্য গড়ে দিল কিনা” , উত্তরে মুশফিক এমন একটা ভাব নিল...বলল “হতে পারে” । হতে পারে?????????? উনি তাও শিওর নন ?? হতে পারে!!!!!
১৯৭ রান চেজ করা আজকে বিশ্বের যেকোন দলের জন্য হত কঠিন । আমি বাহবা দেব বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের, এত রান এ ১ টা মাত্র উইকেট হারানো একটা বিশ্ব রেকর্ড। তবে মাঝখানে আরেকটু রান করতে পারত বাংলাদেশ, একটু স্লো হয়ে গিয়েছিল । উইকেট তো ছিল, ছিল মেরে খেলার মত ব্যাটসম্যানও।
তাও আনন্দ পেয়েছি খেলা দেখে।
বিদেশি কমেন্টেটর বলছিল,”ওয়েস্ট ইন্ডিজ নাকি চ্যাম্পিয়ন দের মত খেলেছে”, তাই কি???? আমি নিশ্চিত আমরা একটু ঠিক মত খেললে আমরা ওদেরকের ৫-০ তে হারাতে পারতাম।টি-২০ তে জিততাম।
শেষে একটা প্রশ্ন মাথায় আসছে- “সাকিব কি আসলেই খেলার মত ফিট নন? ৫০ ওভার বল করলে কি এত ম্যাচ বসে থাকার মত ইনজুরি তার? নাকি বিয়ের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য এই ইনজুরি?” জানিনা। আমি তার ফ্যান, তাও বললাম কথাটা।
আমার এইসব কথায় অনেকে আমাকে অনেক কড়া কমেন্ট দেবেন আমি জানি, ভাইরে এত সব হতাশার মাঝে খেলাটাই আমাদের কিছুটা হলেও স্বপ্ন দেখায়, তাই এই পাগলামি।
সবাই ভাল থাকবেন।