শহরের মোটামুটি সব জায়গাতেই করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি এখন প্রায় উপেক্ষিতই বলা যায়। খুব সাধারণ, মাস্ক পরাটাও যেন অনেকের কাছে কঠিন। অথচ বার বার সতর্ক করা হচ্ছে, গবেষণায় বার বার প্রমাণিত হয়েছে বার বার হাত ধোয়া ও ন্যূনতম মাস্ক মাস্ক মাস্ক পরলেই করোনা সংক্রমণ থেকে প্রায় আশি ভাগের বেশি নিরাপদে থাকা সম্ভব। অনেকেই নিয়তির উপরই ছেড়ে দিয়েছেন। হাত ধোয়া তো বাদই, আর মাস্ক পরাটাকেও গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন না।
অথচ দেখেন একের পর এক আমাদের চোখের সামনেই প্রতিদিন এখনো অনেক মানুষ মারা পড়ছেন। সম্প্রতি খ্যাতিমান অভিনেতা সাদেক বাচ্চু ও নায়িকা অপু বিশ্বাসের মা মারা গেছেন এই করোনাতেই। এছাড়া এর পূর্বের বহু সুপরিচিত ব্যক্তিদের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা আর নাই-বা সামনে আনলাম। বাকিটুকু নিজেরাই মনে করে নিন। অ্যাটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলম করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছেন সিএমএইচ’র আইসিইউতে।
এর মধ্যে কিছুটা আশার আলো হলেও নিভু নিভু করে যেন জ্বলছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে। যদিও হাতধোয়ার ব্যবস্থার স্থানে কোন সাবান নেই। কিন্তু এরপরও কিছু তৎপরতা চোখে পড়েছে- সাবান পানি দিয়ে ফ্লোর মোছা, যাত্রীদেরকে জমায়েত হতে বাধা দেয়া, সিরিয়াল ধরে ভেতরে প্রবেশ ও বাইরে বের করে আনার ব্যবস্থা ইত্যাদি।
গুরুত্বপূর্ণ প্রিয় মানুষদেরকে স্বাগত জানাতে কমলাপুরে যেয়ে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিরাপত্তাকর্মী ও টিটিদেরকে বেশ কড়াকড়ি করতে দেখলাম। Free SKY tv’র সিনিয়র অ্যাডভাইজার, পরিচয় দিলাম, সেই সাথে অতিথিদের গুরুত্ব সম্পর্কে জানালে তারা আমাকে ভেতরে যেতে দেয়। সুনসান সব। জনমানব খুব কম। শান্ত নিরিবিলি প্ল্যাটফর্ম। কী যে ভালো লাগলো! সবসময় যদি এমন থাকতো, তবে ট্রেন ভ্রমণ ছেলেবেলায় রচনাতে লেখা ট্রেন ভ্রমণের মতোই আনন্দদায়ক হতো।
যাত্রী সমাগম আরেকটু বাড়ানো হলেও স্বাস্থ্যবিধি যেন কঠোরভাবেই মানার পদক্ষেপ বহাল থাকে এই আশা ব্যক্ত করছি, আর ধন্যবাদ জানাচ্ছি রেল কর্তৃপক্ষ ও সরকারকে -এখনো কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য।