আজকাল মানুষের আদব-লেহাজের অবস্থা নিয়ে আমি যথেষ্ঠ বিব্রত, যাই হোক লোকজন ২ পাতা ইংরেজী পড়ে যে খটমট ইংরেজী-বাংলার এক অভিনব মিশ্রণে কথা বলেন যে মাঝে মাঝে আমি এর ভাষাগত অনুবাদ করতে গিয়ে যথেষ্ঠ ঝামেলায় পড়ে যাই।
তবে সবচেয়ে বেশী আমি বিব্রত হই মানুষের ফোনালাপের ইস্যু নিয়ে। আমার হিসেবে মোবাইল বিল আবার ৭ টাকা (পারলে এটাকে ১০-২০ টাকা মিনিটে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত) মিনিটে নিয়ে আসা উচিত নইলে লোকজন যেইভাবে মোবাইলে ঘন্টা-মিনিট বিবেচনা না করে অন্যের কানের বাড়োটা বাজান তাদের অন্তত পকেটের বাড়োটা বাজাটা আমার হিসেবে যথেষ্ট যুক্তি সঙ্গত।
সব থেকে বেশী মোবাইলে ডিস্টার্বিং হচ্ছে নব্য এম,এন,সি বা আই,এন,জি,ও একজিকিউটিভরা, এরা নিজেকে যে কি মনে করে তার কিছুটা ছোয়া তাদের সাথে যারা ফোনে কথা বলে তারা বুঝবে। আরেকটা ক্যাটাগরী হচ্ছে যারা অপেক্ষাকৃত কম শিক্ষিত, কিন্তু এদের ব্যাপারে আমার কোন অভিযোগ নেই, আমার অভিযোগ ওই সমস্ত শিক্ষিত নামের অশিক্ষিতরা যাদের কে ফোনের ম্যানার শিখাতে পুনরায় প্রাইমারী স্কুলে ভর্তি করাটা জরুরী বলে মনে করি।
অনেকে হয়ত মনে করবেন আমি হয়ত কোন ফোন কম্পানীতে কলসেন্টারে কাজ করি, আসলে তা না তবে পেশা গত কারনে অনেকের সাথে ফোনে কথা বলতে হয়। তাই এই অভিজ্ঞতা সমূহ আমার হয়েছে।
অনেকেরই আবার আরেক ধরনের অভ্যাস থাকে। তাঁরা যদি দেখেন, যাঁকে ফোন করছেন, তিনি কোনো কারণে ফোনটা ধরছেন না; তাহলে বারবার ফোন করতে থাকেন। অন্য প্রান্তের ব্যক্তিটি কোনো কাজে ব্যস্ত থাকতেই পারেন, সেটি তাঁরা বোঝেন না। আসলে আপনাকে বুঝতে হবে, কখন কাকে ফোন করবেন। দেখা যায়, অফিসের সময় শেষ করে হয়তো ব্যক্তি মাত্র ঘরে ফিরেছেন কিংবা বাসে চাপাচাপি করে বসে আছেন, সে অবস্থায় ফোন দিলে তিনি না-ও ধরতে পারেন। তখন খুদে বার্তা হতে পারে সহজ সমাধান। আপনার প্রয়োজন তাঁকে জানিয়ে রাখুন। তিনি ব্যস্ততা কমে গেলে নিশ্চয় ফোন দেবেন।