মা.. আমি জানি, এখন তুমি কোথায় আছো ..? কেমন আছো….? জানো মা আজকাল তোমাকে মনেই পড়ে না । রাগ করলে, রাগ করো না মা ! আবশ্য তুমি রাগ করার সময়ই পাবে বলে আমার মনে হচ্ছে না। মনে পড়ে মা, আজ থেকে কিছু বছর আগে তোমাকে হাতে লেখা চিঠি লিখতাম। সেই চিঠি তোমার কাছে পৌছাঁত কমপক্ষে ১৫ দিন পরে। সেই চিঠি নিয়ে তোমার উচ্ছ্বাস আর উন্মাদনার শেষ ছিল না। কতবার সেই চিঠি তুমি পড়তে তোমার প্রেরিত চিঠিতে তা লিখতে। মাত্র ক’টা বছরের ব্যবধানে আমাদের দূরত্ব বহুগুণে বেড়ে গেছে।
আজ ‘মা-কে; না তাকে মনে পড়ে’ সেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে হৃদয়ের কোণে। আথচ কাছে থাকার নামে মোবাইল, ল্যাপটপ, ইন্টারনেট, ফেইসবুক প্রতিনিয়তই আমাদের দূরত্ব বাড়াচ্ছে। আপন কে করছে পর, পরকে করছে আপন। এইতো সেদিন নতুন একজনের সাথে পরিচিত হয়ে বেশ জমেছে। এদিক-সেদিক আর নানা দিক ঘুরে ব্যস্ত সময় কাটছে। বেশ কিছুদিন থেকে ভাবছি তোমাকে একটা মেইল করব, ফেইসবুকে চ্যাট করব, মোবাইলে একটা কল দিব। কই সময়ই হয় না। তোমার ক্ষেত্রও তো তাই। সারা দিন নেটে পড়ে থাকো। এই নেটই যেন তোমার পরিবার, স্বামী-সংসার, সান্তান,পরিজন সব। ব্লগে বসেই দেখি আজ মা দিবস। তাই আজ বহুদিন পর তোমার কথা মনে করে ব্লগে ও ফেসবুকে একটা লেখা পোস্ট করলাম । দেখে নিও মা…!
ছোটবেলায় প্রায়ই দাদার মুখে একটা কথা শুনে অস্থির ও অতিষ্ঠ হতাম,“ বিজ্ঞান দিচ্ছে বেগ, কেড়ে নিচ্ছে আবেগ।” তখন সে কথার অর্থ বুঝতাম না। আজ অর্থ বুঝেও ব্যর্থ হয়ে স্বার্থপরের মত পেছন ফিরে দেখছি না। সুন্দর ও সোনলি অতীতকে খঁজছি না। বলতে পারো মা আমরা কোথায় যাচ্ছি..? কোথায় আমাদের শেষ ঠিকানা …..?