লাতিন আমেরিকায় সাহিত্যে নোবেল বেশ মর্যাদার আর আলোচ্য বিষয়। ফলে য়োসার নোবেল জয় নিয়ে নানা প্রকার মতামত আদান প্রদান চলছে। লাতিনে বর্তমান সময়ে এটাই বিবেচনা করা হচ্ছে যে য়োসা মূলত তার উপন্যাস লেখার জন্য নয় তার রাজনৈতিক মত পরিবর্তনের জন্যই নোবেল পেয়েছেন। য়োসা সমলিঙ্গীয় বিবাহরে পক্ষে এবং মাদক গ্রহণের বিপক্ষে অবস্থান যেমন নিয়েছেন তেমনি জোরালো অবস্থান নিয়েছেন শ্যাভেজ এবং ফিদেলের বিপক্ষে। য়োসা ঘোষণা দিয়েছেন তিনি স্বৈরাচারদের বিপক্ষে তা হোক বাম অথবা ডান। য়োসা নোবেল পাওয়ার পর সিএনএন-কে দেয়া এক স্বাক্ষাৎকারে বলেন-আমি স্বৈরাচারদের বিপে সবময়ই সোচ্চার, এর কোন বাছ বিচার ছাড়াই। সিএনএন যখন তাকে জিজ্ঞেস করলো কেন তিনি ফিদেল আর শ্যাভেজের সাথে দেখা করতে চান- ‘আমি এটা বলার জন্যই দেখা করতে চাই যে তাদের উচতি সরকার থেকে সরে দাঁড়ানো। তারা তাদের দেশের উন্নতির জন্য প্রতিবন্ধক।’ এছাড়াও ১৯৯০ সালে নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর য়োসা স্পেনে চলে যান। লাতিনে স্পেনের দীর্ঘ দিনের অমানবিক উপনিবেশ ভুলে গিয়ে উল্টো স্পেনের প্রতি তার আবেগ আর আসক্তি প্রকাশেও তিনি কুণ্ঠা বোধ করেন নাই। অনেকেই একে তার বেঈমানি বলে মনে করেন। বিশেষত যারা আদিবাসী অধিকার আন্দোলনে সক্রিয় তারা নানাভাবেই ক্ষুব্ধ য়োসার কর্মকান্ডে। ২০০৩ সালে তিনি একবার বলেছিলেন- বর্তমান সামাজিক প্রক্ষাপটে উন্নয়ন আর সভ্যতা এক কথা নয় । এখানে মূল বিষয় হচ্ছে ঐকমত্যে পৌঁছানো। আদিবাসীতত্ত্ব যা প্রায় ভুলেই গিয়েছিল লোকজন তা আবারো একটা সামাজিক প্রপঞ্চ হিসেবে ফিরে এসেছে সেই লোকের পেছনে যিনি হচ্ছেন ইভো মোরালেস। ২০০৫ সালে মোরালেস মতায় আসাবার পরে য়োসা বলেছিলেন- একটা মিশ্র রক্তের মানুষ এসেছে ক্ষমতায় যিনি বলিভিয়াকে শেষ করে দিবেন। ১৯৭০ সালে তিনি কিউবান বিপ্লবের একজন সমর্থক ছিলেন কিন্তু পরে তিনি ফিদেলের একজন কড়া সমালোচক হিসেবে নিজেকে হাজির করেন। অন্য সব লেখকের মতোই তিনিও কিউবার বিপ্লবী আন্দোলনের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। সেখানেই তার সাথে মার্কেজ, ফুয়েন্তেস, হুলিও কোর্টাজারসহ বিভিন্ন জনের সাথে পরিচিত হন। ফিদেলের সরকার কবি হার্বার্টো পদিল্লাকে অন্তরীন করার পরে য়োসা প্তি হন। তিনি ফিদেলের শাসনের বিপে অবস্থান নেন। য়োসা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্বাবিদ্যালয়ে পাঠদান করছে।
সূত্র বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৪