সেকালে,
ইদ আসে না ক্যান ? আর কয় দিন বাকি ? এই প্রশ্নগুলো করতে করতে কান ঝালাপালা করে দিতাম মা,র । রোজা উনত্রিশ টা হইলেই মনে মনে খুশি হতাম বেশি.....
তখন ইদ টা শুরু হইত, ইদের আগের, চাঁদ রাত থেকেই । চাঁদ দেখা গেছে এই খুশিতে পড়তেই বসতাম না (তখন বিশাল ব্যাপার ছিল পড়তে বসি নাই ! )। একটা সাহস ভর করত ,যে যাই বলুক না কেন, আর মারুক না ক্যান, পড়ব না , এইটাই ফাইনাল ! বন্ধুবান্ধব মিলে তারা বাতি ধরানো,চকলেট বোম্ব, মুখে কেরোসিন নিয়ে আগুন ধরানো এই গুলার জন্য পার্ফেক্ট রাত ছিল এইটাই ! সে রাতের মত ইদ শেষ করে পরদিন সকালের জন্য মহা প্রস্তুতি।
দেখা যাইত উত্তেজনায় ঘুমই হইত না , ভোর চারটায় ঘুম ভেঙে গেছে । এঘর ও ঘর হাটাহাটি আবার ঘুম , অনেকক্ষণ ঘুমানোর পরে, দেখতাম মাত্র সাড়ে চারটা বাজছে । হতাশা !
যাই হোক , সকাল সকাল গোসল করেই, একটু খাইলাম ,না খাইলাম মসজিদে দৌড় । এলাকার মসজিদ, কিছুক্ষণের মধ্যে বন্ধু-বান্ধব ও হাজির । নামাজ শেষেই প্ল্যানিং শুরু , যা চলত রাত পর্যন্ত ! এতই প্ল্যান ছিল সব পূরণ করা সম্ভব ও হইত না ।
যতদুর মনে পরে, সারাদিন দৌড়ের উপর থাকতাম । নতুন চকচকে জামা-কাপড় কিংবা টাকার পরিমান যা, অন্য সাধারণ যে কোন দিনের চেয়ে থাকত ১৫/২০ গুন ! এত টাকা কি করব সেইটাও একটা টেনশনের ব্যাপার ছিল ! আর, হঠাৎ করে পাওয়া (!) অগাধ স্বাধীনতা , সে ত ছিলই ।
সন্ধ্যা শেষে, রাত নামলেই , হতাশ হয়ে যাইতাম ! হায়রে ইদ শেষ। মনে মনে বলতাম ,প্রতিটা দিনই যদি ইদ হইত , আহা ! শুরু হইত, নতুন ইদের জন্য অপেক্ষা।
একালে সেই অতীব উৎসাহ আর উত্তেজনা আর নাই !
একটা কারন হতে পারে, আমার মনে হয় , ছোট বেলার সেই মনের কথা পূরণ হয়ে গেছে , প্রতিটা দিনই বোধহয় ইদ !! স্বান্তনা ।
বছরের ২টা দিন যে সব সুযোগ-সুবিধা পাইতাম, এখন আসলেও তা বছরের ৩৬৫ টা দিনই না পাইলেও কাছাকাছি সংখ্যক দিনই পাই!
পড়ালেখা না করা, ঘুরাঘুরির আর টাকা-পয়সা'র সুবিধাই ত চাইছিলাম ।
কি পেলাম আর কি হারালাম , তার হিসাব কষাও মোটামোটি বন্ধ করে দিছি অনেক আগেই । সবই নিয়তি, মেনেও নিছি । তারপরও মনের মধ্যে উঁকি দিয়ে যায় , আর কি কখনই শৈশবে ফিরে যেতে পারব না............ইদ আসে না ক্যান ? আর কয় দিন বাকি ? এই প্রশ্নগুলো করতে করতে কান ঝালাপালা করে দিতাম মা,র । রোজা উনত্রিশ টা হইলেই মনে মনে খুশি হতাম বেশি.....
তখন ইদ টা শুরু হইত, ইদের আগের, চাঁদ রাত থেকেই । চাঁদ দেখা গেছে এই খুশিতে পড়তেই বসতাম না (তখন বিশাল ব্যাপার ছিল পড়তে বসি নাই ! )। একটা সাহস ভর করত ,যে যাই বলুক না কেন, আর মারুক না ক্যান, পড়ব না , এইটাই ফাইনাল ! বন্ধুবান্ধব মিলে তারা বাতি ধরানো,চকলেট বোম্ব, মুখে কেরোসিন নিয়ে আগুন ধরানো এই গুলার জন্য পার্ফেক্ট রাত ছিল এইটাই ! সে রাতের মত ইদ শেষ করে পরদিন সকালের জন্য মহা প্রস্তুতি।
দেখা যাইত উত্তেজনায় ঘুমই হইত না , ভোর চারটায় ঘুম ভেঙে গেছে । এঘর ও ঘর হাটাহাটি আবার ঘুম , অনেকক্ষণ ঘুমানোর পরে, দেখতাম মাত্র সাড়ে চারটা বাজছে । হতাশা !
যাই হোক , সকাল সকাল গোসল করেই, একটু খাইলাম ,না খাইলাম মসজিদে দৌড় । এলাকার মসজিদ, কিছুক্ষণের মধ্যে বন্ধু-বান্ধব ও হাজির । নামাজ শেষেই প্ল্যানিং শুরু , যা চলত রাত পর্যন্ত ! এতই প্ল্যান ছিল সব পূরণ করা সম্ভব ও হইত না ।
যতদুর মনে পরে, সারাদিন দৌড়ের উপর থাকতাম । নতুন চকচকে জামা-কাপড় কিংবা টাকার পরিমান যা, অন্য সাধারণ যে কোন দিনের চেয়ে থাকত ১৫/২০ গুন ! এত টাকা কি করব সেইটাও একটা টেনশনের ব্যাপার ছিল ! আর, হঠাৎ করে পাওয়া (!) অগাধ স্বাধীনতা , সে ত ছিলই ।
সন্ধ্যা শেষে, রাত নামলেই , হতাশ হয়ে যাইতাম ! হায়রে ইদ শেষ। মনে মনে বলতাম ,প্রতিটা দিনই যদি ইদ হইত , আহা ! শুরু হইত, নতুন ইদের জন্য অপেক্ষা।
একালে সেই অতীব উৎসাহ আর উত্তেজনা আর নাই !
একটা কারন হতে পারে, আমার মনে হয় , ছোট বেলার সেই মনের কথা পূরণ হয়ে গেছে , প্রতিটা দিনই বোধহয় ইদ !! স্বান্তনা ।
বছরের ২টা দিন যে সব সুযোগ-সুবিধা পাইতাম, এখন আসলেও তা বছরের ৩৬৫ টা দিনই না পাইলেও কাছাকাছি সংখ্যক দিনই পাই!
পড়ালেখা না করা, ঘুরাঘুরির আর টাকা-পয়সা'র সুবিধাই ত চাইছিলাম ।
কি পেলাম আর কি হারালাম , তার হিসাব কষাও মোটামোটি বন্ধ করে দিছি অনেক আগেই । সবই নিয়তি, মেনেও নিছি ।
তারপরও মনের মধ্যে উঁকি দিয়ে যায় , আর কি কখনই শৈশবে ফিরে যেতে পারব না............