-পাগল!
-সতিই আমি পাগল।
কিন্তু প্রেমিক-পাগল।
-লজ্জা করে না?
-লজ্জা কীসের!
তাছাড়া প্রেমে থার্ড পারসন
লজ্জাকে এনে কী লাভ!
যখন আমাদের মধ্যে কিছুটা
হয়েই গেছে ভাব!
-অত বুঝি না লাভ-ক্ষতি
আমি মেয়ে নই এমন
দেবো তোমার প্রেমে আত্মাহুতি।
-আমার কিন্তু লাভ-ক্ষতির-ই কারবার
বাণিজ্যের শিক্ষক আমি
ডেবিট ক্রেডিটের সূত্র জানি
কিন্তু তাই বলে নই অন্তর্যামী।
-ইস আমার বাণিজ্যওয়ালা!
-এই, চলে যাচ্ছ নাকি?
-তো কি বসে বসে বাণিজ্যের
কেচ্ছা শুনবো নাকি!
-তাহলে অন্য কিছু শোনো।
একটি অম্লমধুর প্রেমের গল্প।
এক ছিল রাজকন্যা। নাম তার কঙ্কাবতী।
ভিনদেশি এক রাজকুমারের ইচ্ছে হলো
মনজয় করবে রাজকন্যার।
রাজকন্যা বললো, হতে পারে,
তবে শর্ত কিন্তু একটাই।
বিভীষণের মুণ্ডুটা আমার চাই।
অতপর কিংকর্তব্যবিমূঢ় রাজকুমার
সাহসী পুরুষ খেতাব হলো না আর তার।
-এটা কোনো গল্প হলো!
-আহা, এটা হচ্ছে আমার প্রেমের গল্প।
আর গল্প না হলেই বা কার কী এমন ক্ষতি
আমার চিন্তার নদী নিতান্তই হারায় যদি গতি?
তোমাকে পেতে হলে জানি বেগ পেতে হবে অল্প
হয় খুন করতে হবে তোমাকে, নয়ত সবাইকে।
... এই, এই, উঠছো কেন হঠাৎ?
-উঠবো না তো কি এভাবে বসে বসে
পাগলের প্রলাপ শুনবো?
আর দিনেদুপুরে আকাশে তারা গুনবো?
-আচ্ছা, ধন্যবাদ। আবার আসবেন।
আমি ছেলেটা বড়ো সাধাসিধা
ভালবাসতে আমায় এত কেন দ্বিধা?
-পাগল নিজেকে কখনো বলে না পাগল।
আচ্ছা চলি, দেখা হবে আবার
যেদিন মেঘ সরে গিয়ে নামবে ঝুম বৃষ্টি-বাদল।
-দেখা হবে পঞ্চবটির ছায়ে
তোমার আমার সুনীল স্বপ্নের গাঁয়ে।