২ দিন আগে সহ ব্লগার তাসবিরের কাছ থেকে অপারেশন জ্যাকপট নিয়ে প্রথমবার শুনি। ওর দেয়া উইকিপিডিয়া লিংক ঘুরে পেয়ে যাই আরো অবিশ্বাস্য সব তথ্য। গর্বে বুক ফুলে যাওয়ার মত ব্যাপার। হালের Inglourious Basterds বা Saving Private Ryan, Pearl Harbor , Black Hawk Down বা Valkyrie আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের এই অপারেশনের কাছে নস্যি! আমার মত হয়তো অনেকেই জানেন না বিষয়টা, তাই ব্লগে তুলে দিলাম..
অপারেশন জ্যাকপট বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নৌ-সেক্টর পরিচালিত সফলতম গেরিলা অপারেশন। এটি ছিল একটি আত্মঘাতী অপারেশন। এ অপারেশন ১৯৭১ এর ১৫ আগস্ট রাত ১২টার পর অর্থাৎ ১৬ আগস্ট প্রথম প্রহরে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর এবং দেশের অভ্যন্তরে আরো কয়েকটি নদী বন্দরে একই সময়ে পরিচালিত হয়[১]। ১০নং সেক্টরের অধীনে ট্রেনিং প্রাপ্ত নৌ কমান্ডো যোদ্ধাদের অসীম সাহসিকতার নিদর্শন এই অপারেশন জ্যাকপট। এই গেরিলা অপারেশনে পাকিস্তানি বাহিনীর অনেকগুলো অস্ত্র ও রসদবাহী জাহাজ ধ্বংসপ্রাপ্ত ও বড় রকমের ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত জাহাজগুলোর মধ্যে পাকিস্তানি বাহিনীকে সাহায্যকারী অনেকগুলো বিদেশি জাহাজও থাকায় এই অপারেশন বাংলাদেশের যুদ্ধ এবং যোদ্ধাদেরকে সারা বিশ্বে পরিচিতি পাইয়ে দেয়।
নৌ-কমান্ডো সেক্টর
বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের সময় যে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল তার মধ্য দেশের অভ্যন্তরীন সকল নৌ চলাচল, বন্দর এবং উপকূলীয় এলাকা নিয়ে গঠিত হয়েছিল ১০নং সেক্টর বা নৌ সেক্টর। এ সেক্টরের কোন নির্দিষ্ট সেক্টর কমান্ডার ছিল না। যখন যে সেক্টরে অপারেশন চলত তখন সেই সেক্টরের কমান্ডারদের সহযোগীতায় নৌ-গেরিলাদের কাজ করতে হত। তারা সরাসরি মুজিবনগর হেডকোয়ার্টারের অধীনে কাজ করতেন।
পেছনের কথা
মার্চের শুরুর দিকে পাকিস্তানি সাবমেরিন পি এন এস ম্যাংরো ফ্রান্সের তুলন সাবমেরিন ডকইয়ার্ডে যায় পাকিস্তানি সাবমেরিনারদের প্রশিক্ষন দেয়ার জন্য। সেই ৪১ জন সাবমেরিনারদের মধ্যে ১৩ জন ছিলেন বাঙালি অফিসার। তারা আন্তর্জাতিক প্রচার মাধ্যমে ২৫ মার্চের গণহত্যার কথা শুনে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসার সিদ্ধান্ত নেন। এর মধ্যে ৮ জন ৩০ মার্চ বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ৯ এপ্রিল ১৯৭১ তারা দিল্লিতে এসে পৌছান[২]। এখানে তাদের নাম উল্লেখ করা হলোঃ-[৩]
১. মোঃ রহমতউল্লাহ।
২. মোঃ সৈয়দ মোশাররফ হোসেন।
৩. মোঃ শেখ আমানউল্লাহ।
৪. মোঃ আবদুল ওয়াহেদ চৌধুরী।
৫. মোঃ আহসানউল্লাহ।
৬. মোঃ আবদুর রকিব মিয়া।
৭. মো আবদুর রহমান আবেদ।
৮. মোঃ বদিউল আলম।
তারপর উক্ত ৮জনের সাথে আরো কয়েকজনকে একত্র করে ২০ জনের একটি গেরিলা দল গঠন করে তাদের ভারতে বিশেষ ট্রেনিং দেয়া হয়। তারপর তারা দেশে আসলে তাদের সাথে কর্নেল ওসমানীর দেখা করানো হয়। তখন ওসমানী নৌ-কমান্ডো বাহিনী গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।
গেরিলা ট্রেনিং পর্ব
ওসমানীর সিদ্ধান্তে নৌ-কমান্ডো সেক্টর খোলার পর বাছাইকৃত গেরিলাদের ট্রেনিং দেয়ার উদ্দেশ্যে ঐতিহাসিক পলাশীর স্মৃতিসৌধের পাশে ভাগীরথী নদীর তীরে ২৩ মে ১৯৭১ তারিখে একটি গোপন ট্রেনিং ক্যাম্প খোলা হয়। এই ট্রেনিং ক্যাম্পের সাংকেতিক নাম দেয়া হয় সি-২ পি (C-2 P)। এখানে ট্রেনিং দেয়ার উদ্দেশ্যে অন্যান্য সেক্টরসমূহের বিভিন্ন শিবির থেকে জুন মাসের শুরুর দিকে প্রায় ৩০০ জন বাছাইকৃত যোদ্ধা সংগ্রহ করা হয়[৪]। ট্রেনিং ক্যাম্পে এদের কি ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে সে বিষয়টি এতই গোপনীয় ছিল যে, সেক্টর কমান্ডারদের মধ্যেও শুধুমাত্র যার এলাকায় অপারেশন চালানো হবে তিনি ব্যাতিত আর কেউ এই সম্পর্কে জানতেন না[৫]।
ট্রেনিং শুরু হবার আগেই বাছাইকৃত যোদ্ধাদের বলে দেয়া হয় যে এটি একটি সুইসাইডাল অপারেশন বা আত্মঘাতী যুদ্ধ হবে। তাই অপারেশনের সময় যেকোন মূল্যে অপারেশন সফল করারা উদ্দেশ্যে প্রয়োজনে তাদের প্রাণ দিতে হতে পারে। তাই প্রশিক্ষণের শুরুতেই প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীদের ছবি সহ একটি সম্মতিসূচক ফর্মে স্বাক্ষর নেয়া হতো।ফর্মে লেখা থাকতো যে, আমি দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন বিসর্জন দিতে সম্মত হয়েই এই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছি, আর যুদ্ধে আমার মৃত্যু ঘটলে কেউ দায়ী থাকবে না।[৬]
নৌ-কমান্ডোদের ঐ প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলেন ভারতীয় নেভাল অফিসার লেঃ কমান্ডার জি এম মার্টিস। প্রশিক্ষকদের মধ্যে ফ্রান্স থেকে পালিয়ে আসা ৮ জন সাব-মেরিনার ছাড়াও আরো ছিলেন মিঃ গুপ্ত, পি কে ভট্টাচার্য, কে সিং, এল সিং, মারাঠি নানা বুজ এবং সমীর কুমার দাশসহ আরো কয়েকজন[৩]।
ট্রেনিং এর দুটো অংশ ছিল। সবাইকে প্রয়োজনীয় স্থলযুদ্ধ যেমনঃ- গ্রেনেড নিক্ষেপ, এক্সপ্লোসিভের ব্যবহার, স্টেনগান রিভলবার চালানো, আন-আর্মড কমব্যাট(খালি হাতে যুদ্ধ) ইত্যাদি শিখতে হতো। আর জলযুদ্ধের ট্রেনিঙের মধ্যে ছিল বিভিন্ন ধরনের সাতার যেমনঃ- বুকে ৫-৬কেজি ওজনের পাথর বেধে সাতার, চিৎ সাতার, কোন মতে পানির উপরে নাক ভাসিয়ে একটানা অনেক্ষন সাতার, পানিতে সাতরিয়ে এবং ডুব সাতার দিয়ে লিমপেট মাইন ব্যবহার, স্রোতের প্রতিকূলে সাতার, জাহাজের কেবল ভাঙা ইত্যাদি কঠিন সব প্রশিক্ষণ দেয়া হত তীব্র খরস্রোতা ভাগীরথী নদীতে। শীত-বর্ষায় একটানা ৪৮ ঘন্টা পানিতে থাকার অভ্যাস করতে হয় সব যোদ্ধাকে[৭]।
প্রায় টানা দু'মাস ট্রেনিঙের পর আগস্টের প্রথম সাপ্তাহে তাদের ট্রেনিং শেষ হয়।
অপারশনের বর্ণনা
যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের শেষদিকে এসে আক্রমনের পরিকল্পনা সাজানো হতে থাকে। একই সাথে একই সময়ে দুই সমুদ্র বন্দর ও দুই নদী বন্দরে আক্রমন চালানোর জন্য চার সেক্টরের পরিকল্পনার সমন্বয় ঘটানো হয়। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রথম ব্যাচকে চার স্থানে আক্রমনের উদ্দেশ্যে মোট চারটি দলে ভাগ করা হয়েছিল। ৬০ জনের ২টি দল এবং ২০ জনের আরো ২টি দল। চারটি দলের চারজন লিডার ঠিক করে দেয়া হয়েছিল। টিম লিডারদের অপারেশন পরিচালনার জন্য শিখিয়ে দেয়া হয়েছিল বিশেষ গোপনীয় পদ্ধতি যা টিমের অন্যান্য সদস্যদের কাছে গোপন রাখা হয়েছিল[৩]। টিম লিডারদের বলা হয়েছিল যে, দুটি পুরোনো দিনের বাংলা গানকে সতর্ক সঙ্কেত হিসেবে ব্যবহার করা হবে। গান দুটি প্রচার করা হবে কলকাতা আকাশবানীর আলাদা দুটি ফ্রিকোয়েন্সি থেকে,যেই ফ্রিকোয়েন্সি শুধু টিমের টিম লিডাররাই জানতো[৫]। গানদুটি ও তাদের সঙ্কেত হলোঃ-
১. আমি তোমায় যত শুনিয়েছিলাম গান,তার বদলে চাইনি প্রতিদান......। এটি হবে প্রথম সঙ্কেত, এর অর্থ হবে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২য় গান প্রচার হবে। এর মধ্যে আক্রমনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন কর।
২. আমার পুতুল আজকে প্রথম যাবে শশুড় বাড়ি......। এটি ২য় এবং চূড়ান্ত সঙ্কেত, অর্থাৎ সুস্পষ্ট নির্দেশ যে নির্ধারিত সময়ে যে ভাবেই হোক আক্রমণ করতে হবে।[৫] [৮]
দলগুলোর গ্রুপ লিডারদের নাম ও তাদের গন্তব্যগুলো হলঃ-
* গ্রুপ ১- গ্রুপ লিডারঃ সাবমেরিনার আবদুল ওয়াহেদ চৌধুরী। সদস্য সংখ্যাঃ ৬০ । গন্তব্যঃ চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ।
* গ্রুপ ২- গ্রুপ লিডারঃ সাবমেরিনার আমান উল্লাহ শেখ। সদস্য সংখ্যাঃ ৬০ । গন্তব্যঃ মংলা সমুদ্র বন্দর ।
* গ্রুপ ৩- গ্রুপ লিডারঃ সাবমেরিনার বদিউল আলম। সদস্য সংখ্যাঃ ২০ । গন্তব্যঃ চাঁদপুর নদী বন্দর ।
* গ্রুপ ৪- গ্রুপ লিডারঃ সাবমেরিনার আবদুর রহমান। সদস্য সংখ্যাঃ ২০ । গন্তব্যঃ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর ।[৩]
যাত্রা শুরু হয়েছিল পলাশির হরিনা ক্যাম্প থেকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল, তারা একযোগে পৌছে যাবেন স্ব স্ব এলাকা চট্টগ্রাম,খুলনা, চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জ।তারা যাত্রা করার সময় তাদেরকে প্রয়োজনীয় অস্ত্র দিয়ে দেয়া হয়। প্রত্যেক নৌ-কমান্ডোকে একটি করে লিমপেট মাইন,ছুরি,একজোড়া সাঁতারের ফিন আর কিছু শুকনো খাবার দেয়া হয়। প্রতি তিন জনের জন্য একটি করে স্টেনগান এবং গ্রুপ লিডারদের দেয়া হয় একটি করে ট্রানজিস্টার। অপারেশনের দিন ধার্য করা হয়েছিল ১৪ আগস্ট অর্থাৎ পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। তবে সূদূর পলাশী থেকে গন্তব্যস্থলে পৌছাতে বা পথের প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠার সমস্যার কারণে এসব অভিযান দু'এক দিন বিলম্ব হয়।
চট্টগ্রাম বন্দরে অপারেশন পরিচালিত হয় ১৫ আগস্ট মধ্যরাতে অর্থাৎ ১৬ আগস্ট প্রথম প্রহরে। এ সফল অপারেশনে তিনটি বড় অস্ত্রবাহী জাহাজ এবং একটি সোমালি জাহাজসহ আরো অনেকগুলো জাহাজ ধ্বংস্প্রাপ্ত হয়। বড় জাহাজ গুলো হলোঃ
১. এম ভি হরমুজ। এটি ১৪ আগস্ট চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। ৯৯১০ টন অস্ত্রসম্ভারবাহী এই জাহাজটি ১৩ নং জেটিতে নোঙর করা ছিল।
২. এম ভি আল-আব্বাস। এটি ১০৪১৮ টন সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে ৯ আগস্ট ১২ নং জেটিতে অবস্থান নেয়।
৩. ওরিয়েন্ট বার্জ নং ৬ । এটি ৬২৭৬ টন অস্ত্র,গোলাবারুদ নিয়ে ফিস হারবার জেটির সামনে অবস্থান করছিল[৫]।
১৬ আগস্ট একই সাথে মংলা বন্দরেও অপারেশন হয়। এ অপারেশনে ৬০ জন অংশ নেন। তারা বন্দরে অবস্থানরত ২টি মারাঠি, ২টি চীনা, ১টি জাপানী ও ১টি পাকিস্তানি অর্থাৎ মোট ৬টি জাহাজ এবং আরো কিছু নৌযান ডুবিয়ে দিতে সক্ষম হন[৫]।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমান
১৫ আগস্টের ঐ অপারেশন গুলোতেই প্রায় ২৬টি জাহাজ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এবং আরো অনেক নৌযান ক্ষতিগ্রস্থ হয়[৮]।
আগস্ট মাসের এসব অপারেশন ছাড়াও আগস্ট-নভেম্বর মাসব্যাপী আরো অনেকগুলো নৌ-কমান্ডো অপারেশন পরিচালনা করা হয়। এসব অপারেশনে পাকিস্তানি বাহিনীর আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমান হলঃ
1. প্রায় সর্বমোট ৫০৮০০ টন জাহাজ ধ্বংসপ্রাপ্ত ও নিমজ্জিত।
2. ৬৬০৪০ টন জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত।
3. এবং বেশ কিছু সংখ্যক পাকিস্তানি নৌযান বাংলাদেশী নৌ-কমান্ডোদের হস্তগত।[৯]
তথ্যসূত্র
১. মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, মুহম্মদ জাফর ইকবাল(পৃ ১১)।
২. সাখাওয়াত হোসেন মজনু। রণাঙ্গনে সূর্য সৈনিক। বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র,চট্টগ্রাম প্রকাশিত।
৩. ৩.০, ৩.১, ৩.২, ৩.৩, ৩.৪, ৩.৫ শামসুল হুদা চৌধুরী। একাত্তরের রণাঙ্গন (আহমদ পাবলিশিং)
৪. Siddiq Salik। Witness to surrender। The University Press Limited প্রকাশিত।
৫. ৫.০, ৫.১, ৫.২, ৫.৩, ৫.৪, ৫.৫ রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে (অনন্যা প্রকাশনী)
৬. লে কর্নেল(অবঃ) আবু ওসমান চৌধুরী। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। নাজমহল প্রকাশিত। পৃষ্ঠা ২৩১-২৩৭।
৭. ডাঃ মাহফুজুর রহমান। বাঙালির জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম। বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র,চট্টগ্রাম প্রকাশিত।
৮. ৮.০, ৮.১ খলিলুর রহমান (২০০৭)। মুক্তিযুদ্ধে নৌ-অভিযান।
(সাহিত্য প্রকাশ)।
৯. মঈদুল হাসান। মূলধারা '৭১। দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড প্রকাশিত।
আরো জানতে পড়ুন
* Sezan Mahmud। Operation Jackpot। বাংলা প্রকাশ প্রকাশিত।
* শামসুল হুদা চৌধুরী। একাত্তরের রণাঙ্গন। আহমদ পাবলিশিং প্রকাশিত।
* রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে। অনন্যা প্রকাশনী প্রকাশিত।
* খলিলুর রহমান (২০০৭)। মুক্তিযুদ্ধে নৌ-অভিযান। সাহিত্য প্রকাশ প্রকাশিত।
* মোঃ মুমিনূর রহমান (ফেব্রুয়ারি ২০০২)। মুক্তিযুদ্ধে ফ্রগম্যান। সময় প্রকাশন প্রকাশিত।
//বাংলা উইকিপিডিয়া থেকে কপিপেস্ট পোস্ট।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২২