সাধারণ জ্ঞান
---------------------------
সিনেমাঃ কালী
পরিচালকঃ সামীর তাহির
স্ক্রিপ্ট রাইটারঃ রাজেশ গোপিনাধান
অভিনয়ঃ দুলকার সালমান, সাই পল্লভী, ভিনায়কান...
ধরণঃ এ্যাকশন, ড্রামা
মুক্তিঃ এপ্রিল ০১,২০১৬
আইএমডিবি রেটিংঃ ৬.৯/১০
রানটাইমঃ ১১৫ মিনিট
ভাষাঃ মালয়লাম
ঘটনাপ্রবাহ
--------------------
সিনেমার নাম "কালী।" কালি মানে কলমের কালি না, এ "কালী" মানে ক্রোধ/রাগ। সিনেমার নায়ক সিদ্ধার্থ, ডাকনাম সিধু। এ রিভিউ'তে ডাকনামেই কাজ চালাবো। সিধু অল্পতেই রেগে যায়। সোজা ইংলিশে যাকে শর্ট টেম্পার্ড বলে, সিধু সেই শ্রেণির লোক। পান থেকে চুন খসলেই তুলকালাম কাণ্ড বাধিয়ে ফেলে সে। স্কুল থেকে শুরু করে চাকরী জীবন, সবখানেই সে একইরকম, মাথাগরম। এর কোনো পরিবর্তন হয়নি কোনোদিন।
সিধু বিবাহিত, চাকরী করে ব্যাঙ্ক অফিসে। সেখানে ক্লায়েন্টদের সাথে হেসে হেসে, ঠান্ডা মাথায় কথা বলাই নিয়ম। কিন্তু, ব্যাঙ্কে যারা আসে, তাদের কাজকর্মে সিধুর মাথা গরম হয়ে যায়। কেউ ফর্ম ফিলাপ করবে, কলম আনে না, কেউ অকারণেই বকবক করে সারাদিন। সবমিলিয়ে ত্যক্তবিরক্ত অবস্থা। সারাদিন এই ঝামেলা পেরিয়ে বাসায় এলেও শান্তি নেই। পাশের বাসার ত্যাঁদড় ছেলেটা সিধুদের বাসায় এসে টিভির সাউন্ড ফুল করে সোফায় উঠে নাচানাচি শুরু করে। অল্পতেই রেগে যাওয়া সিধুকে উত্তপ্ত করতে এটুকুই যথেষ্ট হয়ে যায়। বোমার সলতেতে যেন আগুন ধরে যায়!
সিধুর স্ত্রী অঞ্জলি, স্বামীর এ অল্পতে রেগে যাওয়ার সমস্যা নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন। সে বহুবার চেষ্টা করেছে সিধুর এ সমস্যা দূর করতে। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তবুও সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলো।
এভাবেই চলছিলো দিনকাল। এরপরই এলো সে রাত। এক ঘটনাবহুল রাত। সিধু আর অঞ্জলি যাচ্ছিলো অঞ্জলীর বাবার বাড়িতে, পারিবারিক এক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে। মাঝরাতের দিকে হাইওয়ের পাশে এক রেস্টুরেন্টে খেতে যায় তারা, সেখানে ঘটে কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনা। এ ঘটনাগুলোর পেছনে সিধুর হুটহাট রেগে যাওয়াই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছিলো যদিও। সিধু, অঞ্জলি দুজনের জীবনই পড়ে যায় হুমকির মুখে।
কী হয়েছিলো সেখানে?...
ব্যক্তিগত প্রলাপ
----------------------------
"সিধু" চরিত্রে দুলকার সালমানের অভিনয় ভালো ছিলো। দুলকার সালমান বরাবরই ভালো অভিনয় করে, এ নতুন কিছু না। "অঞ্জলী" চরিত্রে সাই পল্লভীর অভিনয়ও খারাপ ছিলো না। অতটা গ্ল্যামারাস নায়িকা না সাই পল্লভী, তবে এক্সপ্রেশন, অভিনয় সুন্দর ছিলো। যে চরিত্রে সে অভিনয় করেছে এ সিনেমায়, তা ভালোই ফুটিয়ে তুলতে পেরেছে। ফুল মার্কস।
মালয়লাম সিনেমায় যা হয়, ঘটনা খুব বেশি না, তবে কনসেপ্ট স্বকীয়, উপলব্ধির ক্ষেত্রটা বড়, এক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। আমিও শর্ট টেম্পারড মানুষ, হুটহাট রেগে যাই। নিজেকেও রিলেট করতে পারছিলাম সিধু চরিত্রটার সাথে। সিধুর মত অতটা এক্সট্রিম না হলেও রেগে যাওয়ার অভ্যাস আমারও আছে। যেটা পরিবর্তন করা দরকার। এ সিনেমার ট্যাগলাইন আমার কাছে যেটা উপযুক্ত মনে হয়েছেঃ রেগে গেলেন, তো হেরে গেলেন।
আসলেই, রেগে যাওয়া মানে একরকম পরাজিতই হয়ে যাওয়া। আমার মত যারা শর্ট টেম্পারড মানুষ আছেন, তাদের জন্যে এ সিনেমা দেখা অবশ্যকর্তব্য।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:১২