ছেলের নামে কমপ্লেইন দিলো টিচার - সে নাকি মেয়েদের সাথে খেলা তো দূরের কথা - তাদের সাথে কথাই বলতে চায়না । এমনকি সে তার ক্লাসের মেয়েদের অনেকের নামও জানে না । মেয়েদের পাশে বসতে বললে ধানাই পানাই করে , বিভিন্ন অজুহাত দেখায়।
ছেলেকে অনেক বুঝালাম - ছেলে কিছুতেই বুঝেনা । এইবার রেগে গিয়ে ঝাড়ি পট্টি দিয়ে বললাম - কালকে স্কুল থেকে তোর ক্লাসের সব কটা মেয়ের নাম জেনে এসে আমাকে বলবি । আর ওদের সাথে কি কথা হয়েছে - তাও বলবি । না বললে - তোর স্কুল যাওয়া বন্ধ । ছেলে কি মনে করে - একটু একটু করে মেয়েদের সাথে কথা বলছিলো । টিচারও বেশ খুশী - ছেলের উন্নতি দেখে ।
কয়দিন আগে ছেলে স্কুল থেকে ফিরেই খুব বিরক্ত হয়ে বলল ঃ
ছেলে - মা তুমি আমাকে আর কখনও মেয়েদের সাথে খেলতে বলবানা প্লিজ ।
আমি - কেন ? সমস্যা কি ?
ছেলে - মেয়েরা খেলতে পারেনা । খালি প্রবলেম করে ।
আমি - কি প্রবলেম করেছে তোর ?
ছেলে - আজকে ফেলিন্সিয়া আমার শার্ট টেনে ধরেছে আর বালির মধ্যে ফেলে দিয়েছে
আমি - এউ - একটা মেয়ে তোকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিলো - আর তুই পড়ে গেলি ? এই জন্য বলি বেশী করে সব্জি খা ।
ছেলে - ধুর মা , ফান করোনা প্লিজ । আমি খুবি সিরিয়াস ।
আমি - ওকে যা - আমিও সিরিয়াস । তা তুই কি করলি তখন ?
ছেলে - আমি ফেলিন্সিয়া কে বলেছি - তুমি আমাকে ধাক্কা মেরেছ - এখন তুমি আমাকে সরি বলবা ।
আমি - তারপর ? সেই মেয়ে তোরে সরি বলেছে ?
ছেলে - না মা । শী ইজ সো ক্রেজি । আমাকে ধাক্কা দিলো কিন্তু সরি বলল না ।
আমি - এই জন্যই তো ফেলিন্সিয়া মেয়ে । মেয়েরা কখনও সরি বলেনা ।
ছেলে - এই জন্যই তো আমি মেয়েদের সাথে কথা বলিনা। আর বাবা আমাকে সেদিন বলেছে - তুমিও নাকি একটা প্রবলেম ।