কিছুক্ষন আগের ঘটনা। স্কুল শেষে ছেলেকে নিয়ে বাসায় ফিরছি। হঠাৎ দেখি একটা বাসার সামনে বিশাল সাইজের একটা বিড়াল। রীতিমতো কোটপ্যান্ট পরা। যা বুঝলাম বিড়ালটির মালিক এই ( - ৭ ডিগ্রী ) তাপমাত্রায় ঠান্ডা থেকে বাচার জন্যই বিড়ালটিকে একটি বিশেষ ধরনের কাপড় পরিয়ে রেখেছেন। এখানে সবাই কমবেশী তাদের পোষা প্রানীগুলোকে ঠান্ডার জন্য কাপড় পরায়, কিন্তু এই বিড়ালটির পোষাক আসলেই অন্যদের থেকে একটু আলাদা। আর এই জন্যই আমার ছেলের এতো প্রশ্ন এই বিড়ালটিকে নিয়ে। আমাদের মা ছেলের কথোপকথন হুবহু তুলে দিলাম
ছেলে : মা, এইটা কি?
আমি : তুমিই বলো এইটা কি?
ছেলে : এইটা মিঁউ
আমি : গুড বয়
ছেলে : মা, এর নাম কি?
আমি : এই বিড়ালটার নাম "আরদি" ( "আরদি" আমার ছেলের নাম)
[ নিজের নামের সাথে বিড়ালের নামের মিল শুনে ওর কোনো ভাবান্তর দেখলাম না ]
ছেলে : মা, বিড়ালটার বাবা কোথায়?
আমি : অফিসে
ছেলে : ওর মা কই ?
আমি : কান্না করছে
ছেলে : কেনো?
আমি : কারন বিড়ালটা বেশী কথা বলছে
[ আমার ছেলে কি যেনো চিন্তা করে কথাটা ঘুরায় দিলো]
ছেলে : মা, বিড়ালটার কি জ্বর হয়েছে?
আমি : হু
ছেলে : কেনো?
আমি : কারন বিড়ালটা অনেকক্ষন ধরে বাথটাবে গোসল করেছে।
[ এই উত্তরটা তার একদম পছন্দ হয়নি। তাই আবার প্রসঙ চেন্জ]
ছেলে : মা, ও কি আপেল খায়?
আমি : হু
ছেলে : কোক খায় ?
আমি : না
ছেলে : কেন?
আমি : কোক খেলে বিড়ালটার গলা ব্যাথা হবে। তাই ওর মা ওকে কোক খেতে দেয়না।
ছেলে : ওর মা পশা (পঁচা) ।
[ এইটা হলো তার অত্যধিক মেজাজ খারাপ প্রকাশের একমাত্র ভাষা]
অ ট ঃ এই লেখাটা আমার খুব প্রিয় একজন ব্লগার বড় বিলাই এর জন্য
বিশেষ করে ঃ জাহাজি পোলা, মাহী ফ্লোরা, ফাইরুজ, অসাব, হাসান অভি, জমিদার বাবু যারা আমাকে তাগাদা দিচ্ছিলো আরদি কে নিয়ে লেখার জন্য