আল হাদিস বলে চালিয়ে দেওয়া সবচাইতে বেশী পরিচিত একটা কথা হইলো
"জ্ঞান অর্জণের জন্য দরকার হইলে সুদূর চীন দেশেও যাও"
অথচ কথাটার সম্ভবত কোন ভিত্তি নাই। যেহেতু কথাটা সুন্দর, মানুষজন সত্যি সত্যি এইটাকে আল হাদিস বলে মেনে নেয়। এমন জাল হাদিস আছে লাখে লাখে। তাই প্রধান ছয়টা হাদিসের বই (সিহাহ সিত্তাহ) বেশী গ্রহনযোগ।
ইদানিং ফেসবুকে আরেকটা বিষয় খুব ছড়িয়ে যাচ্ছে। তা হইলো, মজার মজার কথা লিখে নীচে বিখ্যাত মানুষদের নাম দিয়ে দেওয়া হয়। যেমন-
"ওয়াই ফাই আর ওয়াইফ দুইটার দিকেই প্রতিবেশীর নজর বেশী থাকে, পাসওয়ার্ড দুর্বল হইলে কিন্তু একসেসে পেয়ে যায় - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর"
"চাকরীর ইন্টরভিউতে ছেলে হইলে বুকের বোতাল লাগায়ে যাবি, মেয়ে হইলে তার উল্টাটা করবি। চাকরী নিশ্চিৎ - কাজী নজরুল ইসলাম"
যারা রবীন্দ্রনাথ, নজরুল পড়েছেন তারা জানেন কথার ধরন, টপিক কোনটাই তাদের সাথে যায় না। অতএব কথাগুলা জাষ্ট ফর ফান। কিন্তু এই জাষ্ট ফর ফানকেই ঐসমস্ত মানুষ সত্যি ভেবে নিবে যাদের পড়াশোনাটা কম। আর যাদের পড়াশোনা কম, তাদের বিশ্বাসটা শক্তও হয় বেশী।
যারা এই ফনগুলা বানান, তারা এখন ভেবে দেখতে পারেন। সাময়িক আনন্দ দিবেন নাকি দীর্ঘমেয়াদী একটা ভুলের পাহাড় গড়ে দিয়ে যাবেন।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মে, ২০১৬ বিকাল ৪:২০