১
না, আর পারছি না... মরুসংকটে

হৃৎপিণ্ডে ধেয়ে নামছে হিম
এ-বাড়ি সে-বাড়ি গোয়ালন্দ-রানাঘাট...
বাতাস পাথর বিপুল শূন্যতায়

২
না, থাক, আর ভুল করা যাবে না
এক জড় রাখাল পাথরে ডুবলে কী এমন ক্ষতি
সৃষ্টির ক্যানভাসে নামুক মেঘশূন্য আকাশ
সৃষ্টিকর্তা হোক সর্বরঙে প্রকাশ

বরং রাখাল পাথরে আরো মিশে যাক
সৃষ্টির নদী... বাকিটুকু পড়ুন

১
শ্রদ্ধাকে হাত ধরে ডাকতে নেই মুগ্ধতার রাতে
খা-খা ছড়িয়ে পড়ে বুকে প্রভাত গড়িয়ে।

বুঝি ব্যাকরণ মেনেই কবিতা লিখতে হয় এ সময়ে
তাই একটিও কবিতা হয় না শব্দ পেরিয়ে
মননের এ বেখাপ্পা মুক্তলয়ে!

২
স্রোতের টানে জ্যোৎস্না ভেসে এলে যে কবিতার ভাষা
শিকড়ি শব্দে সে আর কতোটা হয় বিম্বিত আশা!... বাকিটুকু পড়ুন

কালবোশেখি ঝড় রাক্ষুসে মেঘ বয়ে আনে কালো;
সততার শব্দগাঁথুনি হলে ভালো
যেকোনো কবিতার মন্দির ধরে রাখে আলো
বাতিস্তম্ভের মগ্নদিশায়।

ব্যভিচারের শব্দভেলা
উটকো হাওয়াতেও খায় ঠেলা,
ভেসে যায় বিপন্ন বাতাসে; -
কারো কিছু তায় না-যায়-আসে
সময়ের সংজ্ঞায়।

কালবোশেখি যতই ঝড় হোক
কয়েক মূহুর্তেই তার কেটে যায় ঝোঁক,
মেঘেরাও ঝরেঝরে ভেসেভেসে ফেঁসে যায়;
মন্দিরে হেসে ওঠে কবিতা রোশনায়।

তোমার জন্য এ শব্দযোগ,... বাকিটুকু পড়ুন

জলের তৃষ্ণায় অক্ষরেখা বেড়ে যায় ক্রমশঃ
কক্ষচ্যূত গ্রহ দুঃস্বপ্নের চক্রে ঘুরে ঘুরে
লাটিমের ধারাপাত খুলে বসে পইথানের পাশে;
জল গড়িয়ে যায় প্রবল স্রোতে চতুর্দশীর রাতে।

মগ্নতার অনুধ্যানে জল জমে বরফ হলে
হাসনাহেনার ডানা খোঁজে মহারাত্রির গভীরতা,
আঁধারের ভাঁজ খুলে কবির হাতে চাষ হয় উষ্ণতার
মহুয়া জ্যোৎস্নার গোপন কবিতা।

পারমিতা!
লালনে পালনে জল ঝরুক আজ কবিতায়;
ঋদ্ধ রবির সৌরকলায় রোপিত হোক... বাকিটুকু পড়ুন

বীজে বংশ।

ব্যাপ্তির ভাঁজে কত রঙ,
কেউ কেউ অংশ
রঙ মেখে সঙ!

পায়েহাঁটা পথে সব
বীজ নির্জীব;
বিন্যাস চায় রঙ
উর্বর মাঠ।

খোলা মাঠে হাঁটে
ভালোবাসার রোদ,
রাত ঘন হলে
জেগে ওঠে বোধ।

বোধেই জন্মে বংশের বীজ,
যেখানে রাত্রি গভীর
মনসিজ। বাকিটুকু পড়ুন

তুলির অনবদ্য এক আঁচড়ে কতো কথা আজ ব্যঞ্জনায়
সন্ধ্যার ভাঁজখোলা ইথারিয়ো সংযোগে
সাদা আঁচড়ে কতো রঙ উপচে পড়ে অনুরাগে
হৃদয় নেচেওঠা বাতাসে কতো দ্রুত ভেসে যায় সময়
মুগ্ধতার তরঙ্গিত ভঙ্গি আরো কিছুটা মহুয়া রাত
উষ্ণতার হাত চায় লোহিত প্লাবন

আত্মার সঙ্গমে বেজে ওঠে হঠাৎ বিউগল

ওপারে ঘন্টা বাজিয়ে ঈশ্বর ঢোকে ঘরে সীমাবদ্ধ স্বরে
একঘেয়ে নিরুত্তাপ অর্বাচীন পেশী
মগ্নতার মনে... বাকিটুকু পড়ুন

মুগ্ধতা কাছে টানে, কবিতার কী মানে!
হাতে বস্তু হাসে, রসে হৃদয় ভাসে।
রাখলে রসেবশে মুখে হৃদয় যশে।
বাণে ভেসেও হৃদয় নাচে হৃদয়ের গানে।

হৃদয় ডাকে না, টানে।

শুদ্ধস্বর মুগ্ধতা আনে শব্দ-সংকেতে
হৃদয়ের নদী রয় স্রোতে
দিনে ও রাতে।

কবিতা এলে জলে নামে পৃথিবী
চন্দ্রের চোখে হাসে রবি;
নদীবর্তীরা হাত রাখে বুকে
জলের সুখে।

জল ছাড়া কোনো নদী ছিল না;
জল ছাড়া নদী নেই কোনো,
গতি ছাড়া কোনো নদী ছিল না;
গতি ছাড়া নদী নেই কোনো।

অন্তর্জলে গতি আনলে তুমি
দেখবে মোহনায় আছি আমি।