মিশুক মুনীর হিসেবেই সকলের কাছে পরিচিত। তাঁর পুরো নাম আশফাক মুনীর মিশুক। প্রখ্যাত বাবার প্রখ্যাত সন্তান। শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক, ভাষাবিজ্ঞানী এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীর পুত্র তিনি। তাঁর চাচা জাতীয় অধ্যাপক কবির চৌধুরী, ফুফু ফেরদৌসী মজুমদার। আর দাদা ছিলেন ইংরেজ আমলের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খান বাহাদুর আবদুল হালিম চৌধুরী।
প্রথিতযশা সাংবদিক মিশুক মুনীর মূলত ক্যামেরা ‘ডিরেক্টর হিসেবে’ হিসেবে কাজ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পেয়েছিলেন ব্যপক পরিচিত। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিবিসির ভিডিওগ্রাহক হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন।
বিপুল অর্থবিত্ত, খ্যাতি, যশ ছেড়ে ঠিক বাবা চাচাদের মতোন দেশের জন্যে, মা-মাটির জন্যে কিছু করতে ছুটে এসেছিলেন নিজ দেশে। বাংলাদেশের প্রথম ব্যক্তিমালিকানাধীন টেরিস্ট্রেরিয়াল টেলিভিশন একুশে টিভিতে হেড অব নিউজ অপারেশনস’এ যোগদান করেন। দীর্ঘদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষকতাও করেছেন তিনি।
সর্বশেষ গত বছর তিনি এটিএন নিউজে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে যোগ দেন। এর আগে কানাডার রিয়েল টেলিভিশনের হেড অব ব্রডকাস্ট অপারেশন্স হিসেবে দীর্ঘ আট বছর কাজ করেন তিনি।
বাংলাদেশের খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদের ছবি রানওয়ের প্রধান চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ করেন মিশুক। এছাড়াও ‘রিটার্ন টু কান্দাহার’, ‘ওয়ার্ডস অব ফ্রিডম’ প্রামাণ্যচিত্রগুলোতেও কাজ করেছেন তিনি।
১৩ অগাস্ট তারেক মাসুদের নতুন চলচ্চিত্র ‘কাগজের ফুল’ এর জন্য লোকেশন দেখে মানিকগঞ্জ থেকে ফেরার পথে এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন মিশুক মুনীর। ওই দুর্ঘটনায় মারা যান তারেক মাসুদসহ ৫ জন।