ক.
শাবির ঘটনায় চার ছাত্রলীগ কর্মী সাময়িক বহিস্কৃত । খুব ভাল: শাবি প্রশাসনকে ধন্যবাদ এই জন্য যে, তারা এমন একটি সাহসি পদক্ষেপ নিতে পেরেছে।
.
কিন্তু এই ছাত্রলীগ কর্মীরা কি জন্ম থেকেই ছাত্রলীগ করা লোক । তারা কি জন্ম থেকেই পাপী ! জন্ম থেকেই অপরাধ প্রবণ ! শিক্ষক পেটানো কি তাদের জন্ম জন্মান্তরের অভিশাপ ? যদি উত্তর হয়,‘হ্যাঁ। জন্ম থেকেই তারা পাপী ‘ তবে বলবো,‘ বহিস্কৃত ছাত্রদের বহিস্কার নয়, মানসিক চিকিৎসা দরকার।’ আর যদি উত্তর হয়,‘না। ওরা জন্ম থেকে অপরাধ প্রবণ নয়।’ তবে প্রশ্ন হলো, কেনো এই ছাত্ররা ছাত্রলীগের রাজনীতির কলুষিত ধারাকে অব্যাহতভাবে চর্চার সুযোগ পাচ্ছে ? কার আশির্বাদে ? কে তাদের রক্ষাকর্তা ? কার আদেশে তারা শিক্ষক পেটানোর মত কাজে নেমেছে ? কার অঙুলি দর্শনে তারা শক্তি পায় ? কে সেই আদিম কালপ্রিট ! সে নিশ্চয়ই কোন অশরীরি নয়, নয় কোন দেবতা বা শয়তান--সে মানুষ এবং শাবি ক্যাম্পাসেরই শিক্ষক ।
খ.
আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অনলাইন মিডিয়ার নানা স্তরে দোষী ছাত্রদের শাস্তির কথা শুনেছি, পরিচয় জেনেছি, কারো পিতামাতার নামও আলোচনায় আসছে। কিন্তু সেই শিক্ষকের পরিচয় কেনো পাচ্ছি না, যে সব কিছুর হোতা....গডফাদার ! কে সে ? সে কি মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরের কেউ ? আইনের উর্ধে্বর কেউ ? সত্যিকারের সমাধানের জন্য তার পরিচয় সবার আগে দরকার। সর্বোচ্চ শাস্তি তারই পাওনা।
.
‘হত্যার শাস্তি অস্ত্রের ট্রিগার পায় না, যে ট্রিগার চাপে ফাঁসি তারই হয়।’, কেনো আমরা এই সহজ এবং সত্য কথার অনুধাবনে বারবার হোঁচট খাই ?????
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৩