দুই বন্ধু ডাক্তারের চেম্বারে রাসেল আর সজিব , ডাক্তার খুব গম্ভির মুখে সজিবের রিপোর্ট দেখছিলেন।
সজিব - ডাক্তার আমার কি হইছে ?
ডাক্তার-হুম , আসলে আপনি "ব্লগিং" রোগে আক্রান্ত
সজিব - রাসেল , আমি তো শেষ ।
ডাক্তার - হতাশ হবেন না , ব্লগিং এখন আর অনিরাময়যোগ্য কোন রোগ না। দেশেও এখন ব্লগিংয়ের সুচিকিৎসা সম্ভব ।নিয়মিত ওষুধ সেবনে ব্লগিং সম্পূর্ণ সেরে যায় ।
মনে রাখবেন ,
* ব্লগিং আক্রান্ত কারো স্পর্শের মাধ্যমে ছরায় না ।
* ব্লগিং আক্রান্ত রোগীর হাঁচি - কাশি থেকে ব্লগিং ছরায় না।
* একসাথে এক প্লেটে বসে খাবার খেলে ব্লগিং ছরায় না।
*ব্লগিং আক্রান্ত রোগীর ব্যাবহার করা কাপর ব্যাবহার করলে ব্লগিং ছরায় না ।
ব্লগার রাও মানুষ, আমার আপনার ভাই,বাবা,ছেলে , মা , বোন । তাদের আপনজনের দৃষ্টিতে দেখুন । তাদের দরকার সমবেদনা , তাচ্ছিল্য নয় । আপনার সমবেদনাই হয়তো পারে একজন ব্লগারকে
সুস্থ করে তুলতে।
সাবধান সাবধান সাবধান সাবধান
* ব্লগিং আক্রান্ত কারো ফেবু আইডি তে ঘুরাঘুরির মাধ্যমে এই রোগ ছরাতে পারে ।
* ব্লগিং আক্রান্ত লোকের জ্ঞানগর্ভ কথার লোভে তাঁর দেয়া লিঙ্কে গেলে এই রোগ ছরাতে পারে ।
লক্ষন - সামু ,আমু , প্রথম আলো নামক ব্লগে দীর্ঘসময় পরে থাকা , দেশের ভালো মন্দ নিয়ে পোস্ট , স্ট্যাটাস দেয়া। রাত জেগে কি বোর্ড গুঁতানো । মুলত আমু ,সামু তে নিবন্ধনের মধ্য দিয়ে এই রোগের সূত্রপাত হয় ।
প্রতিকার - * যতো দ্রুতসম্ভব আক্রান্ত ব্যাক্তির ল্যাপটপ ,ডেস্কটপ , ইন্টারনেট মডেম নিয়ে ফেলুন ।
* অতঃপর তাঁকে নিকটস্থ ব্লগার সংশোধনাগারে নিয়ে জান।
ব্লগার রাও মানুষ, আমার আপনার ভাই,বাবা,ছেলে , মা , বোন । তাদের আপনজনের দৃষ্টিতে দেখুন । তাদের দরকার সমবেদনা , তাচ্ছিল্য নয় । আপনার সমবেদনাই হয়তো পারে একজন ব্লগারকে
সুস্থ করে তুলতে।