সভ্যাতার ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ন ঘটনা ঘটে রোমান সম্রাট অগাষ্টাসের শাষন আমলে। সিরিয়ার দক্ষিনে অবস্থিত ছিল জুডিয়া। সেখানকার অধিবাসীদের বলা হত জুডিয়ানস (জুইস) বা ইহুদী। তারা ছিল ভয়ঙ্কর একশ্বেরবাদী। এই জুইস রা খ্রিষ্টপূর্ব ১০০০ বছর থেকে ৬০০ খ্রিষ্টপূর্ব পর্যন্ত স্বাধীনভাবে তাদের দেশ শাষন করে। তাদের প্রথম রাজা ডেভিড বেশ ক্ষমতা সম্পন্ন ছিল কিন্তু সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে প্রকৃতির নিয়মে তাদের শাষন দূর্বল হতে থাকে।
Antiochus IV Epiphanes
ইহুদীরা জুডিয়ায় ঘাটি গেড়ে থাকে বছরের পর বছর। এক পর্যায়ে তারা ছিল পারস্যরাজের অধীন। সেখানে ইহুদীদের না ছিল কোন নির্দিষ্ট রাজা, না ছিল নির্দিষ্ট রাজ্য। কিন্তু তারা এ সত্ত্বেও তাদের ধর্মের প্রতি ছিল কঠোর নিষ্ঠাবান। ওদিকে এক পর্যায়ে পারস্য সম্রাট আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেটের অধীনে চলে যায়। আলেকজান্ডারের মৃত্যুর পর তার পারস্য তারই বিভিন্ন সেনা প্রধানের মধ্যে বাটোয়ারা হয়ে যায়, এক্ষেত্রে পারস্য চলে আসে সেনাপতি সেলুকাসের হাতে, যেনি সেলুসিড সম্রাজ্যের পত্তন করেন। খ্রিষ্টপুর্ব ১৬৮ সালে সেলুসিড রাজ্যের শাসক অ্যান্টিওকাস-৪ ইহুদীর ধর্মকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করেন। তার ইচ্ছা ছিল ইহুদীরা তাদের একেশ্বরবাদ বাদ দিয়ে গ্রীস সাংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত করবেন। বিলুপ্ত হয়ে যাবে
Judas Maccabeus - Wikipedia
ইহুদীরা এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। তাদের নেতা হন জুডাস ম্যাকাবিয়াস ও তার ভাই। এদের নেতৃত্বে ইহুদীরা গ্রীকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হন এবং প্রায় একশত বছর ম্যাকাবিস পরিবারের অধীনে শাষিত হয়। খ্রিষ্টপূর্ব ৬৩ সালে রোমানরা পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছিল, এ সময় ম্যাকাবিয়াস পরিবারের মাঝে ভয়াবহ গৃহ যুদ্ধ লেগে যায় কে হবে ইহুদীদের রাজা এনিয়ে। এই গৃহ যুদ্ধে যারা হেরে যায় তারা গিয়ে রোমানদের সাহায্য প্রার্থনা করে। রোমানরা সিদ্ধান্ত নেয় ম্যাকাবিয়ান পরিবারকে ধ্বংস করে তারা এমন কাউকে সেখানে শাসন ক্ষমতায় বসাবে যিনি কিনা তাদের হাতের পুতুল রাজা হবে।
Antipater - Ancient History Encyclopedia
রোমানরা এ সময় ইহুদী রাজ পরিবার ম্যাকাবিয়াস কে পুরোপুরি ধ্বংস করে সেখানে অ্যান্টিপ্যাটার নামে একজনকে বসায়। এই অ্যান্টিপ্যাটার কিন্তু অরিজিন্যাল ইহুদী ছিলেন না, তিনি ছিলেন ইডিউমিয়ান (বাইবেলে যাদেরকে এডোমাইট বলে উল্লেখ্য করা হয়েছে, এদের ইডুমিয়া বা এডোম ও বলা হয়েছে কোন কোন খানে) এই ইডিউমিয়ানরা ছিল জুডিয়ার দক্ষিনদিকের লোক যাদের কে ম্যাকাবিয়াসরা জোর করে ইহুদী ধর্মে ধর্মান্তরিত করেছিল। অরিজিন্যাল ইহুদী আর ধর্মান্তরিত ইহুদী যাদের কে আমরা ইডিউমিয়ান হিসাবে এখানে উল্লেখ্য করছি তাদের মাঝে ছিল এক চিরাচরিত রেষারেষি। যার কারনে অ্যান্টিপ্যাটার যখন জুডিয়ার রাজা হন তখন অরিজিন্যাল ইহুদীরা তাকে কোন ভাবে সহ্য করতে পারছিল না, যদিও ইতিহাসে দেখা যায় অ্যান্টিপ্যাটার তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছিলো জুডিয়ার ইহুদীদের ভালো করার জন্য।
Herod Antipas at the time of Jesus
অ্যান্টিপটারের দ্বিতীয় ছেলের নাম হেরোডাস (ইংরেজী উচ্চারন হেরোড) তিনি খ্রিষ্টপূর্ব ৩৭ সালে জুডিয়া দখল করে নেন, দখল করার পর হেরোড বুজতে পারলেন এই ইহুদীদের শাসন করা সোজা ব্যাপার না। ইহুদীরা হেরোড কে ঘৃনা করতে শুরু করে। আর হেরোডও ছিলেন নিষ্ঠুর প্রকৃতির। স্বার্থে আঘাত লাগলে নিজ স্ত্রী পুত্রকে হত্যা করতেও এক বিন্দু ভাবতেন না। ইহুদীরা হেরোডকে ঘৃনার পাশাপাশি মনে মনে এক আশা নিয়ে থাকত পারস্য, গ্রীস, রোমানরা তাদের শাসন করলেও ঐশী বানী স্বরূপ কোন এক দিন ডেভিডের কোন এক উত্তরসুরী এসে তাদের আবার হারানো গৌরব পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করবে।
সেকালে ইহুদীরা রাজাদের মাথায় পবিত্র তেল ঢেলে তাকে শুদ্ধ করে নিত বা রাজা হিসাবে মেনে নিত অনেকটা আধুনিক কালের রাজাদের মাথায় মুকুট পড়ানোর মত। হিব্রু ভাষায় সে রাজাকে পবিত্র করার পর তারা তাকে “মাসিহা” নামে ডাকত। ইহুদীরা দিনের পর দিন একজন কল্পিত মসিহার অপেক্ষায় থাকে। তারা অপেক্ষায় থাকে আর একজন ম্যাকাবিউসের যিনি এসে তাদের নেতৃত্ব দিয়ে যেভাবে সেলুসিড রাজাদের পরাজিত করছিলো তেমনি রোমানদের পরাজিত করবে।
জুডিয়ায় অবশ্য সে সময় বেশ কিছু তথাকথিত মসিহার আবির্ভাব হয়েছিল যারা ছিল প্রকারান্তে সুবিধাবাদী ভণ্ড, কেউ কেউ কিছুটা সমর্থন পেলেও ইহুদীদের মোহ ভঙ্গ হতে দেরী হত না, ওদিকে রোমাস শাসক হেরোড এই সব ভুইফোড় মসিহাদের কান্ডকারখানা দেখছিলেন কিন্তু তেমন কোন প্রতিরোধ করেন নি কারন তিনি দেখতে পাচ্ছিলেন এই সব ভণ্ড মসিহারা নিজে থেকেই কয়দিনের মাথায় ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।
এই যখন জুডিয়ার এবং জুডিয়ার রাজা হেরোডের অবস্থা, তখন বাইবেলের নিউ টেষ্টামেন্ট অনুযায়ী গসপেল সেইন্ট ম্যাথিউ এর দ্বিতীয় পর্বের কাহিনীর দিকে একটু তাকানো যাক, তার জন্ম হল হেরোডের রাজ্যের শেষ প্রান্তে বেথেলহেমে। এই শিশুটির জন্মের ব্যাপারে জ্যোতিষিরা আগেভাগেই কিছুটা আচ করতে পারে (এই খানে ব্যাপারটা কিছুটা অলৌকিক যেমন জ্যোতিষিদের আচ করতে পারা)। ওল্ড টেষ্টামেন্টে এনিয়ে লেখা আছে।
Herod the Abortionist | Painting, Old paintings, Art
হেরোডও এই শিশুর জন্মের খবর তার জ্যোতিষিদের মাধ্যমে পেয়ে যায়( এখানে কিছুটা বিভ্রান্তি দেখা যায়, কেউ কেউ বলেন, ইহুদীদের ধারনা অনুযায়ী এই শিশু যে মসিহা তা গুপ্তচর মাধ্যমে হেরোডের কানে চলে যায়)। হেরোড বেথেলহেমের দুই বছরের কম বয়সী সব শিশুদের মেরে ফেলার আদেশ দেয়। কিন্তু শিশু যীশুকে ততদিনে মিশরের দিকে নিয়ে যাওয়া হয় নিরাপত্তার জন্য গোপনে। বাইবেলের নিউ টেষ্টামেন্টের দ্বিতীয় বিভাগ ছাড়া এর আর কোথাও উল্লেখ্য পাওয়া যায় না। (আমি শুধু তথ্যগুলো দিয়ে যাচ্ছি, বিচারের দায়িত্ব পাঠকের)।
Pseudo-Dionysius the Areopagite
হেরোডের শাসন আমলের পাচশত বছর পর সিরিয়ার সন্ন্যাসী ডিওনিসিয়াস এক্সিগিউয়াস বাইবেল আর রোমান ইতিহাস ঘেটে সিদ্ধান্ত নেন যে যীশু জন্ম গ্রহন করে রোমান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ৭৫৩ সালে। এই রোমান ৭৫৩ সালকেই খ্রিষ্টীয় প্রথম বর্ষ হিসাবে ধরা হয় যা আমরা এখনো সারা পৃথিবীতে গননা করছি। কিন্তু এখানে একটা মারাত্মক গরমিল আছে রোমান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ( এখানে কিছু কনফিউশান আছে সেটা আর এখানে না টানি)। হেরোডের মৃত্যুর পর তার তিন ছেলের মাঝে তার সাম্রাজ্য ভাগ করে দেয়।
Map of Ancient Roman Galilee
যীশুর জন্মস্থান হিসাবে বেথেলহেম কে ভাবা হয়, যা কিনা জেরুজালেমের দক্ষিন দিকে একটি ছোট শহর। ইহুদী প্রাচীন মীথ হিসাবে এখানেই জন্মেছিলেন রাজা ডেভিড, আবার এই শহরেই জন্ম নেবে ইহুদীদের বিশ্বাস অনুযায়ী তাদের পরিত্রানদাতা ডেভিডের উত্তরসুরী মসিহা। যীশুর পরিবার গ্যালিলির কাছে নাযারেথ শহরে বাস করত। সেই সময় জায়গাটির নাম গ্যালিলিই ছিল। এখানেই যীশু বেড়ে ওঠে। যীশুর বেড়ে ওঠা নিয়ে কোথাও কোন বিশ্বস্ত ঐতিহাসিক তথ্য নেই, তার জীবনের মাঝ খানের বেড়ে ওঠাটা অনেকটা সময় অন্ধকারাচ্ছন্ন। কোন তথ্য নেই।
যাই হোক তিনি যখন প্রাপ্ত বয়স্ক হয়েছিলেন তখন তার এক আকর্ষনীয় ব্যাক্তিত্ব প্রকাশ পায়, তার আদর্শ, শিক্ষা, ব্যাক্তিত্ব মানুষ দের চুম্বকের মত টানত। ভুলে যাবেন না যীশু কিন্তু তখনো খ্রিষ্টান ধর্ম প্রচার করছিলেন না, ইহুদীদের ভেতর থেকেই ইহুদী ধর্মমত কিন্তু কিছুটা ভিন্ন রূপে প্রচার করছিলেন।
তার কিছু কিছু ইহুদী অনুসারী তাকে মসিহা নামে ডাকতে লাগল, এই হিব্রু মসিহা ভাষার গ্রীক প্রতিরূপ “পবিত্রকরন” আসলে “খ্রিষ্টিয়করন”। হিব্রুতে “মসিহা যশোয়া” ইংরেজীতে হয়ে দাড়ায় “জেসাস ক্রাইষ্ট” বা “যীশুখ্রিষ্ট”। হেরোড এবং রোমান কর্তৃপক্ষ দেখতে লাগলেন এই যীশুর মধ্যে ইহুদীর দাবীকৃত মসিহার লক্ষন আস্তে আস্তে পরিফুষ্টিত হচ্ছে। তারা কিছুটা আতংকিত হয়ে ওঠেন।
যীশুর জনপ্রিয়তা যখন তুঙ্গে তখন সে ডিসিশান নেয় সে জেরুজালেম যাবে, প্রকৃতপক্ষে তিনি ততদিনে ইহুদীদের কল্পিত মসীহার ভুমিকায় অবতীর্ন হয়েছেন। একটা গাধার পিঠে চড়ে তিনি জেরুজালেম প্রবেশ করেন। এবং শহরের সাধারন ইহুদীদের একটা বিরাট অংশ তাকে মসিহা হিসাবে মেনে নিয়েছিল।
রোমান রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের কাছে যীশুকে গ্রেফতার করার এক সুবর্ন সুযোগ তৈরী হয়ে গেল, কারন তারা কারন দেখাচ্ছিল যীশুর অনুসারী ইহুদী এবং যারা যীশুকে মসিহা হিসাবে মেনে নিতে পারে নি তাদের মাঝে দাঙ্গা হাঙ্গামা লেগে যেতে পারে। যীশুর অনুসারীদের মাঝে একজন যার নাম জুডাস ইসকারায়ট সে যীশুর লুকিয়ে থাকার কথা রোমান কর্তৃপক্ষকে গোপনে জানিয়ে দেয়ায় কোন রকম হাঙ্গামা ছাড়া যীশুকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়।
এখানে ইহুদী নেতাদের কাছে যীশুর অপরাধ ছিল তাদের ধর্মের প্রতি যীশুর এক ধরনের কটাক্ষ করা, তারা মনে করত যীশু নাস্তিক, তাই নিজেকে মাসিহা বলে প্রচার করছে, তাদের বিশ্বাস ছিল যীশু যা বলছে তা সত্যি না, অথচ যীশু যে খ্রিষ্টান ধর্ম প্রচার করছে তাও না, সে ও ইহুদীমত একেশ্বরবাদী কিন্তু অনেক কিছুতেই গোড়া ইহুদীদের সাথে এক মত না।
Pontius Pilate Paintings
এদিকে রোমানদের কাছে যীশুর অপরাধ ছিল রাজনৈতিক, তাদের মতে মাসিহা সেই হতে পারবে যিনি কিনা ইহুদীদের রাজা হবেন, আ ইহুদীদের রাজা নির্বাচন করার অধিকার এক মাত্র রোমান শাসক শ্রেনীর হাতেই ছিল। অন্য দিক দিয়ে দেখলে এটা রোমান শাসনের বিরুদ্ধে এম ধরনের রাষ্ট্রদ্রোহিতা। সম্ভবত ২৯ সালে (রোমান ৭৮২ সাল) যীশুকে বিচারের জন্য পন্টিয়াস পাইলেটের সামনে আনা হয়। হেরোডের তিন ছেলের মাঝে দুইজন হেরোড এ্যান্টিপাস আর হেরোড ফিলিপ শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকলেও হেরোড আর্কিলাস ক্ষমতায় আহোরন করার পরেই তাকে বিভিন্ন কারনে অপসারন করা হয়, এই হেরোড অ্যার্কিলাসের জায়গায় পন্টিয়াস পাইলেট তিন বছর আগে নিয়োগ পান।
বাইবেলের বর্ননা অনুযায়ী পন্টিয়াস যীশুকে শাস্তি দিতে ইচ্ছুক ছিলেন না, কেবল ইহুদীদের চাপে পড়েই বিচার কার্য চালান। ইহুদী ধর্মীয়নেতাদের মনে হচ্ছিল যীশুকে ছেড়ে দিলে যীশু ইহুদী ধর্মকে আঘাত করবে যার ফলে ইহুদী জাতি দুই ভাবে বিভক্ত হয়ে যেতে পারে, বাইবেলে আছে ইহুদী ধর্মীয় নেতা কাইয়াপাস বলেছেন যে “এটা খুবই যুক্তি যুক্ত যে বহু মানুষের ভালোর জন্য একজন মানুষ কে মরতে হবে। এতে যদি পুরো জাতি রক্ষা পায় তাও গ্রহনযোগ্য। "
পাইলেট ধর্মীয় আইনে যীশুর বিচার করতে পারতেন না কারন তার এখতিয়ার ছিল ছিল রোমান আইনে সেই কারনে যীশুর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী বা রোমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়, যার শাস্তি ছিল ক্রুশে বিদ্ধ মৃত্যু। এধরনের শাস্তি পূর্ব দিকের দেশে এবং রোমে প্রচলিত ছিল, কিন্তু ইহুদী বা গ্রীকরা এটা কখনো প্রয়োগ করেনি। যীশুকে ক্রুশে ঝোলানো হল। সবাই ভাবল, এখানেই যীশুর কাহিনী শেষ, সেকালের ইহুদী বা রোমানরা ভাবতেও পারেনি এই মৃত্যু যে সারা পৃথিবীতে ভবিষ্যতে কতখানি প্রভাব ফেলবে।
সংশ্লিষ্ট পোষ্টঃ ডেড সী স্ক্রোল এবং এসেন্স সম্প্রদায়
প্রথম স্বেচ্ছায় বাঙ্গালী ধর্মান্তরিত খ্রীষ্টান
সূত্রঃ বিখ্যাত বিজ্ঞান কল্পকাহিনীকার আইজ্যাক আসিমভের ইতিহাস ভিত্তিক “দ্যা রোমান এমপায়ার” এবং অন্তর্জালের বিভিন্ন প্রবন্ধ।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৫