ধর্ম নিয়ে আমি পারতপক্ষে কোন আলাপ করি না। কারো সাথে না। করা পছন্দও করিনা। আমি কার সাথে ধর্ম নিয়ে আলাপ করব? সেই ধার্মিকের সাথে যে কিনা ভারতে মসজিদ ভাঙ্গছে দেখে বাংলাদেশে মন্দির ভাঙ্গার স্লোগান দেয়? আমি কোন হুজুরের সাথে ধর্ম নিয়ে আলাপ করব যে কিনা পবিত্র কোরান শরীফ পড়তেই পারে কিন্তু তার অন্তঃর্নিহিত কিছুই বোজে না?
আমি কি সেই পাদ্রীর সাথে বাইবেল নিয়ে আলাপ করব যে কিনা জানেই না যে বর্তমান বাইবেল কোন ঐশী গ্রন্থ ই না এটা ৬ষ্ঠ শতকে রাজা কনষ্ট্যানটিন এর আহ্বানে সে সময়ের ক্রিশ্চিয়ান ধর্মগুরুদের মোডিফাইড বাইবেল।
অতীত বা বর্তমান অন লাইনে কিছু মানুষ আস্তিক নাস্তিক ইস্যু নিয়ে বেজায় ঝগড়া করছে ভাব খানা যেন এমন পরস্পর পরস্পরকে বিশ্বাসীরা সব গাধা আর অবিশ্বাসীরা সব ইবলিশ প্রমান করতে পারলেই মোক্ষ লাভ। যে নিজেকে আস্তিক দাবী করছে কোন যুক্তির ধার না ধরে পবিত্র কোরানের বা বাইবেলের ইচ্ছামত ব্যাখ্যা দিয়ে নাস্তিক কে জ্ঞান দেয়ার মাঝে নিজে অনেক পূন্য অর্জন করে। আর যারা নিজেদের নাস্তিক দাবী করে তারা তো কোটি কোটি বিশ্বাসীর সৃষ্টিকর্তা বা নবী রাসুল দের অপমান গালাগালি করে নিজেকে বিশ্বাসদের ওপরে স্থান অর্জন করাতে পেরে বিশাল আত্ম তৃপ্তি লাভ করে।
আমি বিশ্বাস করি পৃথিবী অচিরেই বড় কোন মীমাংসার দিকে যাবে । সেদিকেই সায়েন্স যাচ্ছে। বিজ্ঞান এবং ধর্ম অনেকেই কন্ট্রাডাক্টরি বলে দাবী করেন। কোন ধর্ম এবং বিজ্ঞান সাংঘার্ষিক? অবশ্যই যে ধর্ম ডাইনি পোড়ান সমর্থন করে (মধ্যযুগে ইউরোপে) অথবা যে ধর্ম গরুর পেচ্ছাব খাওয়াকে পবিত্র ভাবে অথবা যে ধর্ম ইসলামের নামে নিরীহ মানুষ হত্যা করে (আই এস) সে ধর্মের সাথে বিজ্ঞান সাংঘর্ষিক।
আমি মুসলমান, আমার চোখের সামনে ধর্মের নামে আমি কোন দিন কোন অন্য ধর্মাবলাম্বীকে হত্যা অথবা তাদের উপসানলয় ভাঙ্গা হতে দেব না, ভারতে বাবরী মসজিদ ভাঙ্গছে দেখে এদেশে আমি মন্দির ভাঙ্গতে উৎসাহ দেব? ভুল ভেবেছেন আপনি। আমার ইসলাম কোন দিন এটা বলে নাই। আমিও করব না।
“কোয়ান্টাম মেকানিক্স” বিজ্ঞানের এক আধুনিক শাখা, এটা যতটা না বৈজ্ঞানিক তার থেকে আধ্যাত্মিক। পৃথিবীতে খুব অল্প মানুষ ই কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে আলাপ করার যোগ্যতা রাখে। এই আধ্যাত্মিকতাই এখন বিজ্ঞানের সর্ব শেষ শাখা। কিছু দিন আগে অন্য এক পোষ্টে “বিড়ালটি বেচে আছে আবার মরে গেছেঃ শ্রোয়েডিংগারের সংকট” নামে কোয়ান্টাম নিয়ে কিছু লিখছিলাম (আবার আমাকে কোয়ান্টাম কুতুব ভাববেন না, নিজেও কিছু জানি না তাই জানার জন্য পড়ছি সোজা ভাবে কিছু বুজতে পারলে লিখে রাখি)। কোয়ান্টাম বলে প্রতিটা ব্যাপার দুই অবস্থানে থাকে একই সাথে, “হতে পারে, না ও হতে পারে” কোন শক্তিশালী ম্যাটার সেই নিশ্চয়, অনিশ্চয় অবস্থা থেকে ব্যাপারটা বের করে আনে। প্রায় প্রতিটা ধর্মেই আছে সৃষ্টিকর্তা বলেছেন, “হও” এবং মানুষ, পৃথিবী তৈরী হয়েছে। এই হওয়া, না হওয়া কে, যে হুকুম করে হওয়ায় সেই সৃষ্টিকর্তা। আপেক্ষিক তত্ত্ব আমাদের বিগ ব্যাং পর্যন্ত নিয়ে গেছে কিন্তু তারপর কেবলই ব্লাক হোল। কোয়ান্টাম মেকানিক্স তারপর নিয়ে যাবে যদিও ব্যাপারটা এক দম প্রাক পর্যায়ে। পারমানবিক বোমা নিয়ে মানুষ যে আতংকে আছে তার থেকে হাজার কোটি গুন শক্তিশালী পাওয়ার মানুষ হাতে পাবে যে দিন এই কোয়ান্টাম শক্তিকে মানুষ কাজে লাগাবে।
তাত্ত্বিক জ্ঞানে কোয়ান্টাম হল ইলেকট্রন প্রোটন নিউট্রনের আবর্তনের দিক এবং এটা কখনো তরঙ্গ আকারে কখনো অক্ষরেখায় প্রতিফলিত হয় এখানেও অনিশ্চয়তা। আর এনিয়ে আলাপে যাব না।
বিজ্ঞানের এক বিশেষ শাখা মানুষের মনের ক্ষমতা ( অনেকে একে কল্পনা বলেন) নিয়ে কাজ করছে, এবং এটা এখনো গোপন প্রোজেক্ট এ আছে । টেলিপ্যাথি কিন্তু এখন আর অলৌকিক কিছু না, যদিও পুরো ব্যাপারটা মানুষ এখনো কন্ট্রোলে আনতে পারে নি। হয়ত কয়েক শত বছর লাগবে। আত্মা আছে কি নেই এ নিয়ে বিলিয়ন ডলারের গবেষনা চলছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান নাৎসী বাহিনী গোপনে অনেক বৈজ্ঞানিক গবেষনা করছে যেগুলো সাধারন বিজ্ঞান গবেষনার মাঝে কোন ভাবেই পরে না, এমনকি সরকারী গোপন তত্ত্বাবধানে ব্লাক ম্যাজিক এর ওপর গবেষনা চালাত যারা এই সব বিষয়ে এক্সপার্ট তাদের দিয়ে। দূর দৃষ্টি, টেলিপোর্টেশান এই সব গোপন গবেষনার পেছনে সি আই এ বা বিভিন্ন ইনিষ্টিটিউট অঢেল ডলার ঢালছে। কেন? ধর্মীয় বিভিন্ন বইপত্রে তো এগুলোর অহরহ উল্লেখ্য আছে, তবে বিজ্ঞান কেন এগুলো নিয়ে গবেষনা করবে? আর গবেষনা করে যেদিন বাস্তব প্রমান দিতে পারবে সেদিন কি ধর্মকে অবজ্ঞা করা হবে না ধর্মকে আরো জোরালো করবে? নাকি বিজ্ঞান নিজের অবস্থান থেকে নীচে নেমে যাবে?
হাজার বছরের পুরানো ধর্ম যেখানে উড়ন্ত মানুষের কথা বলে গেছে ( গিলগামেশ, পুরানো চাইনীজ ধর্মীয় বই, মায়া সভ্যতা) সেটা আজকের বিজ্ঞানে বাস্তব হয়ে দাড়িয়েছে, মানে কি বিজ্ঞান কি ধর্মকে অসাড় প্রমান করল না ধর্মকে আরো বাস্তবে রূপ দিল?
এ নিয়ে আলাপ করার মত মানুষ কোথায়? তাই যখন এই ব্লগ বা ফেসবুকে জ্ঞানী আস্তিক নাস্তিক তর্ক দেখি নিজের অজ্ঞতায় লজ্জিত হই। আমি আসলেই কত কম জানি। ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের মূল পার্থক্য কোথায়? নিজেকে নিজে অনেক প্রশ্ন করছি, নিজের সামান্য জ্ঞানে যেটুকু বুজছি তাতে এটুকু বুজি বিজ্ঞান বাস্তব ( এই বাস্তব জিনিসটা বলতে আমরা যা বুজি সেটাও কতটা বাস্তব তাও কিন্তু প্রশ্ন সাপেক্ষ, এই বিজ্ঞান ই এখন মিরর ওয়ার্ল্ড, প্যারালাল ওয়ার্ল্ড বলে অনেক কিছু নিয়ে গবেষনা করছে যা আমাদের চেনা জানা “বাস্তব” শব্দকে দুমড়ে মুচড়ে দেয়। এনিয়ে আর কথা বাড়াব না কারন মিরর ওয়ার্ল্ড বা প্যারালাল ওয়ার্ল্ড এত বিশাল ব্যাপার লিখতে গেলে তা নিয়ে আলাদা কয়েকটা পোষ্ট হয়ে যাবে নেটে সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন) এবং প্রমান সাপেক্ষে যা সিদ্ধ তাকে গ্রহন করে আর ধর্ম হল বিশ্বাসের ব্যাপার। বিজ্ঞান যেহেতু আল্লাহ গড বা ভগবানকে দেখছে না তাই তাকে গ্রহন করছে না। আর ধর্ম কোন প্রমান ট্রমান ছাড়াই সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করছে। এই তো মুল ব্যাপার, নাকি? আচ্ছা এই পর্যন্ত এটুকু থাকুক। এর জবাব পরে খুজব। চলুন অন্য দিক দিয়ে একটু ঘুরে আসি।
পৃথিবীতে অনেক বিখ্যাত ব্যাক্তি আছে যারা মোটেই ধার্মিক ছিলেন না তারাও বিশ্বাস করত মানুষের মনে এক বিরাট শক্তি আছে। বিখ্যাত হার্মাটিক প্রবাদ, “তুমি কি এখনো জানো না, তুমি নিজেই ঈশ্বর?” যত ওপরে তত নীচে...... ঈশ্বরের আদলে মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে...... অ্যাপোথিওসিস। অনেক প্রাচীন গ্রন্থে এটা বার বার উল্লেখ্য করা হয়েছে। এমন কি বাইবেলের সামস ৮২:৬ এ জোর দিয়ে বলা আছে “তুমিই ঈশ্বর।“ আবার যদি বিখ্যাত মুসলিম দার্শনিক সুফিবাদী মানসুর হাল্লাজের দিকে তাকান যিনি তার “আনাল হাক্ক” যার মানে হল “আমিই পরম সত্য” (এটা আল্লাহ তায়ালার পবিত্র ৯৯ টি নামের একটি) এই শব্দটির কারনে নিজ ধর্মীয় মানুষদের দ্ধারা বিচারের মাধ্যমে ফাসিতে ঝুলছিলেন এই অভিযোগে যে নিজেকে সে খোদা দাবী করছে। আমি আসলে মানসুর হাল্লাজের ন্যায় অন্যায় বা পক্ষে বিপক্ষে যুক্তির অবতারনার জন্য এই পোষ্ট লিখছি না। তাই এই ব্যাপারে এখানেই ক্ষ্যান্ত দেব।
“That which is impenetrable to us really exists. Behind the secrets of nature remains something subtle, intangible, and inexplicable. Veneration for this force beyond anything that we can comprehend is my religion.” “আমাদের বোধগম্যতার বাইরে তার অস্তিত্ব আছে ; প্রকৃতির আড়ালে যে সিক্রেট সেটা খুবই সুক্ষ্ম, অস্পষ্ট এবং রহস্যময়। আমাদের বোধগম্যতার বাইরে এই শক্তিকে পুজো বা আরাধনা বা বন্দনা করাই আমার ধর্ম” কথাটা কে বলছেন জানেন? বিজ্ঞানের শেষ কথা যার কথা সেই এ্যালবার্ট আইনষ্টাইন।
এইবার আসি অন্য একটা প্রসঙ্গে, বিজ্ঞান নিয়ে যাদের কিছুটা ইন্টারেষ্ট আছে তারা “নোয়েটিক সায়েন্স” শব্দটার সাথে কিছুটা হলেও পরিচিত আছে। এই নোয়েটিক সায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম একজন এষ্ট্রোনট যার নাম এডগার মিচেল, যিনি কিনা ষষ্ঠ মানব হিসাবে মহাশুন্যে হাটছিলেন। এই নোয়েটিক সায়েন্সের গবেষনার বিষয় কি জানেন হঠাৎ আরোগ্য লাভ, ধ্যান, মানব চেতনা, অল্টারনেট হিলিং, শারিরীক মৃত্যুর পর চেতনা জীবিত রাখা ( নাস্তিক বা যুক্তিবাদীদের কথায় সো কল্ড ধর্মীয় বিষয়) The Institute conducts research on topics such as spontaneous remission, meditation, consciousness, alternative healing practices, consciousness-based healthcare, spirituality, human potential, psychic abilities, psychokinesis and survival of consciousness after bodily death. The Institute maintains a free database, available on the Internet,[2] with citations to more than 6,500 articles about whether physical and mental health benefits might be connected to meditation and yoga.Headquartered outside Petaluma, California, the IONS is situated on a 200-acre (81 ha) campus that includes offices, a research laboratory and a retreat center (originally the campus of World College West). Its current director is Cassandra Vieten. Other researchers associated with it include Dean Radin and Rupert Sheldrake. না মহাশুন্য থেকে এসে এডগার মিচেলরা কিন্তু খ্রীষ্টান পাদ্রী বা মুসলমান হয়ে যায় নি। তারা কিন্তু এগুলো করছে এক দম বিজ্ঞানের নিয়ম মেনে। এব্যাপারে আর বাড়াব না যারা নোয়েটিক সায়েন্স নিয়ে জানতে চান আমি জাষ্ট উইকি লিঙ্ক দিলাম ক্লিক করে দেখে আসুন এর বাইরেও অনেক আর্টিকেল ফিচার আছে।
প্রায় প্রতিটা ধর্মের অনুসারীদের মাঝে কিছু সিক্রেট কাল্টের দেখা যায়, যারা সাধারন ধর্মাবলাম্বীদের ওপর ওঠে কিছু প্রশ্নের উত্তর খুজে ফেরে অথবা নিজ সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য লাভের চেষ্টা করে। ইসলাম ধর্মে যেমন আছে সুফীবাদ বা মারফতীবাদ। সুফীবাদ নিয়ে কিছু বই পড়তেছি সমস্যা হল আমি প্রায় কিছুই বুজি নাই, এখন কি এর মানে এই যে আমি কিছুই বুজিনা দেখে সুফীবাদ বা মারফতী নিয়ে যারা দিনের পর দিন কঠিন ধ্যান, তপস্যা করে সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য লাভ করছে তা কি মিথ্যা হয়ে যাবে?! তবে এটুকু বুজতে পারছি এরা কঠিন তপস্যা বা ধ্যানের মাধ্যমে নিজের মনকে কন্ট্রোল করার একটা ক্ষমতা পেয়ে যায়। আর নিজের কন্ট্রোল থেকে এরা কি দেখতে পায় বা অনুভব করে তা আমাদের সাধারনের বোধগম্যের বাইরে। পৃথিবীতে যুগ যুগ এত মানুষ যে সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য লাভের জন্য এত এত ত্যাগ করছে তা কি সব বৃথা? সবাই কি বোকা?
প্রতিনিয়ত আমাদের জ্ঞানের বিস্তার ঘটছে বিজ্ঞানের মাধ্যমে, যতই জানতে পারছি ততই শেখার ক্ষমতা বাড়ছে, বাড়ছে আমাদের জ্ঞানের পরিধি। বিজ্ঞানে এটা আমরা সব সময়ই দেখে আসছি একটা নতুন আবিস্কার আর একটা নতুন আবিস্কারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে...... এভাবেই চলছে। জ্যামিতিক অনুপাতে এটা বিকশিত হচ্ছে। এজন্যই বিগত পাচ হাজারে বছরের চেয়ে গত দশ বছরে বিজ্ঞান অনেক এগিয়েছে। এখন তো প্রতি মুহুর্তে এগিয়ে যাচ্ছে, প্রতি নিয়ত গতি বাড়ছে।
ধর্ম মানে দেওয়ানবাগী বা বাবা নিত্যানন্দ না, ধর্ম মানে ঐশী বানীকে বিজ্ঞানের ওপর স্থান দেয়া না অথবা সব বিজ্ঞানের এক এনসাইক্লোপিডিয়া না। বান্দর দিয়ে মানুষ, না মানুষ দিয়ে বান্দর এই প্রশ্নের তর্ক বিতর্কের হার জিতের মধ্যে ধর্মের বিজয় যে লুকিয়ে নাই এব্যাপারে আমার ক্ষুদ্রজ্ঞানে কোন সন্দেহ নাই। মঙ্গল গ্রহে মানুষ যখন যাবে তখন কেউ যদি কোরান শরীফের মাধ্যমে প্রমান করতে চায় যে এটাতো কোরান শরীফে আগেই লিখছে তার জন্য যেমন একরাশ করুনা তেমনি কেউ যদি মঙ্গলে মানুষ পাঠিয়ে যুক্তি দেয় কোথায় তোমার সৃষ্টিকর্তা তেমনি তার জন্য একরাশ সমবেদনা।
ধর্ম আর বিজ্ঞান কখনো কেউ কারো পরিপুরক বা প্রতিস্থাপক না। যে যার টা নিয়ে থাকুক না, শুধু লিমিটটা যেন ক্রস না হয়। এই সময়ে অবিশ্বাসীকে বিশ্বাস করানো যেমন আমার দায়িত্ব না তেমন বিশ্বাসীর বিশ্বাসকে আঘাত হানাও আমার হীনমন্যতার ই প্রমান মাত্র।
ধর্ম নিয়ে এটা প্রথম এবং শেষ ষ্ট্যাটাস। বিরক্ত লাগে অহেতুক তর্ক দেখে। ধর্ম অনেক বিশাল, সেই বিশাল জিনিসটা কে বিজ্ঞান নাম একটা যন্ত্র দিয়ে বিভিন্ন অংশ দেখার চেষ্টা চলছে মাত্র। যে জিনিস নিজেও ভালো বুজি না তা নিয়ে আলোচনা হবে না। তবে ধর্মের নামে ঘৃনা আর হত্যা যারা করে তারা যদি স্ব ধর্মের হয় তাদের ও আমি ঘৃনা করি।
অথচ এই ধর্ম নাম দিয়ে এখন বিশ্বকে বিভক্ত করে নোংরামি চলছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল আমি কি নোংরা গায়ে লাগাব কি না? অনেক অনেক কিছু লেখার ছিল, কিন্তু ব্লগের সীমিত পরিসরে সেটা সম্ভব না। যুক্তি হোক, যুক্তির বিপক্ষে পালটা যুক্তি হোক কিন্তু সেটা যেন যুক্তিসঙ্গত হয়।
একান্ত ব্যাক্তিগত একটা অভজার্ভেশান এখানে শেয়ার করি, যারা মৃত্যুকে খুব কাছ দিয়ে দেখছে যেমন ডাক্তার বা সামরিক বাহিনীতে যারা সত্যিকারের যুদ্ধের বা কোন যুদ্ধ বিধ্বস্ত এলাকায় কাজ করছে তারা কেন যেন অন্যান্য প্রফেশানের তুলনায় কিছুটা বেশী হলেও ধার্মিক ( এই ধার্মিকতা মানে নামায রোযা, প্রার্থনা বুজিয়েছি)। এটা আমার একান্ত ব্যাক্তিগত মতামত। কেন?
সবশেষে একটা ছোট ঘটনা দিয়ে লেখা শেষ করি, পাকিস্তানী নোবেল জয়ী পদার্থবিদ প্রফেসর সালাম কে একবার এক সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করছিলো, “আপনি বিজ্ঞানী হয়েও নামায পরেন কেন”? জবাবে প্রফেসর সালাম উত্তর দিয়েছিলেন, “ পড়ি কারন মৃত্যুর পর যদি দেখি সত্যি সত্যি আল্লাহ আছে তখন তাকে কি জবাব দেব?”
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:১৪